পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

"b一8 ●वांमौ ১৯e৪৪ অর্থাৎ অস্বরাক্রমণ-সঞ্জাত অতিশয় চিত্তচাঞ্চল্যে আন্দোলিত হইয়াও ইন্দ্র যেরূপ ধৈর্ধ ধারণ করিয়াছিলেন, দিব্যের পক্ষভুক্ত প্রজাবর্গের অতিশয় আক্রমণে আন্দোলিত হইয়াও রামপাল সেইরূপ ধৈৰ্য্য অবলম্বন করিয়াছিলেন । সম্ভবতঃ রামপাল দ্বিব্যবংশের প্রজাবর্গের হস্ত হইতে বরেন্দ্রীর পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করিয়া প্রচণ্ডভাবে পরাজিত হইয়াছিলেন। পুরাতন রাজবংশের বিরুদ্ধে বরেন্দ্রীর প্রজাবর্গের এইরূপ প্রচণ্ড উদ্যম কি ইহাই স্বচনা করিতেছে না যে, তাহাজের হৃদয়ের সমস্ত শ্রদ্ধা নূতন নায়কদিগের প্রতি বধিত হইয়াছিল । ইহার পর বরেন্দ্রী উদ্ধারের পূর্বসূচনা-স্বরূপ রামপাল যখন “রাষ্ট্রকুটমাণিক্য” শিবরাজকে শত্রুরাজ্য আক্রমণ করিতে পাঠাইলেন, তখন শিবরাজ কিরূপ আচরণ করিলেন । দেবব্রাহ্মণভোগ্য ভূমিরক্ষার জন্যই তিনি বিষয় ও গ্রামের নাম জিজ্ঞাসা করিতে করিতে যাইলেন, তাহার আসিবলে বরেন্দ্রী বিপৰ্য্যস্ত হইল, র্তাহার প্রতাপে ভীমের রক্ষকবৃহে বিনষ্ট হওয়ায় সৰ্ব্বত্রই ভীমের প্রভুত্ব বিলুপ্ত হইল, ফলে কোনও পুরীর অধিবাসিগণ স্বচ্ছন্দভাবে বাস করিতে সমর্থ হইল না। নবস্থাপিত রাজশক্তির প্রতি প্রজাবর্গের অতিশয় অনুরাগই কি আক্রমণকারীর এইরূপ নৃশংস বৰ্ব্বরতার কারণ নহে । ইহার পর যখন শিবরাজ তাহার রক্তাক্ত অভিধানের সাফল্য রাজসমীপে নিবেদন করিলেন, তখনও রামপাল নিশ্চিভ হইতে পারিলেন না। অতঃপর রামপাল ষে বিরাট সমরায়োজন করিলেন তাহার বিপুলভ হইতে কি ইহাই প্রমাণিত হইতেছে না, যে বরেন্দ্রীর সমস্ত প্রজাশক্তি র্তাহার বিরুদ্ধে অভুখিত হইয়াছিল । ইহার পর রামপালের বিশাল বাহিনীর সহিত ভীমের ষে যুদ্ধ হইল তাহার বর্ণনাপ্রসঙ্গে বিরচিত রামচরিতের নয়টি পরস্পরসম্বন্ধ শ্লোকের (২১২—২২০ ) উল্লেখ করা ধাইতে পারে। এই শ্লোকসমষ্টিতে এক পক্ষে সেতুবন্ধ-রচয়িত রামচন্দ্ৰ ৰূৰ্বক সমুদ্রবন্ধন ও অপর পক্ষে রণে নিযুক্ত রামপাল কর্তৃক উীম নৃপতির বন্ধন বর্ণিত হইয়াছে। ইহার শেষ শ্লোকটি এই— সমাগমুগত্তরসাশেনাপ্রথমসহোদরেশ রামেণ । ভীম: স সিন্ধুরগতোরণং রচয়তা কিলাৰন্ধি ॥ ২২ এই শ্লোকটির এক পক্ষের অর্থ, রাক্ষসরাজ রাবণের “অপ্ৰথম' ( অর্থাৎ দ্বিতীয় ) সহোদর বিভীষণকে সম্যকৃরূপে অনুগতভাবে লাভ করিয়া এবং পর্বতমালাদ্বারা সেতু রচনা করিয়া রামচন্দ্র ভয়ঙ্কর সমুদ্র বন্ধন করিলেন। অপর পক্ষে ইহার অর্থ, পৃথিবীর দিকৃসমূহ সমাকৃরূপে প্রাপ্ত হইয়া এবং যুদ্ধে প্রবৃত্ত হইয়। রামপাল ভয়ে কাতর হস্তিপৃষ্ঠারূঢ় ভীমকে বন্ধন করিলেন। এখানে দেখা যাইতেছে, শত্রুপক্ষীয় কবি বিভীষণের প্রসঙ্গ উত্থাপন করিয়াও ভীমের পক্ষে অনুরূপ গৃহশত্রুর উল্লেখ কfরতে সমর্থ হন নাই। ইহাই কি ভীমের প্রতি প্রজাবর্গের অস্তিরিক অনুরাগের চুড়াস্ত প্রমাণ নহে ? আমরা দিব্যের প্রসঙ্গের অবতারণা করিতে গিয়া তদীয় কৃতী ভ্রাতুপুত্র ভীমের উল্লেখ করিতে বাধ্য হইয়াছি। আমাদের মনে হয়, দিব্যের কীৰ্ত্তিকলাপের আলোচনায় ভীমকে বিস্মৃত হইলে কেবল যে র্তাহার প্রতি ঘোর অবিচার করা হয় তাহী নহে, দিব্যের চরিত্রেরও সম্যকু বিশ্লেষণ সম্ভব হয় না। কিরূপে ভৗম রাজ্যলাভ করিলেন, তাহ রামচরিতের একটি শ্লোকে বিবৃত হইয়াছে – ত্রস্তামুজতমুজস্ত চ ভীমস্ত বিবরপ্রহরকৃত: । সাভিখায় বরেন্দ্র ক্রিয়াক্ষমস্ত থলু রক্ষণীয়াভুৎ । ১৩৯ রামপালপক্ষে টাকা :–“সা ভূমি অভিধ্যয় নাম বরেন্দ্রী জন্ত অস্ত দিব্যোকস্ত যে অমুজো কুদোকঃ তদীয়তনয়স্য ভীমনাম রন্থ প্ৰহারিণ: ক্রিয়াক্ষমস্য অলংকষ্ট্ৰীণস্য যথোক্তক্রমেণ রক্ষণীয়াভূং। স তত্র ভূপতিঃ বর্তমান।” অর্থাৎ দিব্যের পর তদীয় ভ্রাতা রুদোক এবং রুদোকের পর তৎপুত্র ভীম বরেন্দ্রীতে প্রভুত্বলাভ করিলেন। কিন্তু কি দিব্য কি ক্লদোক, কাহারও শাসন স্বপ্রতিষ্ঠিত হয় নাই। দিব্য যাহা করিয়া যাইতে পারেন নাই, ভীম কর্তৃক তাহ নিম্পন্ন হইল । তিনি বরেন্দ্রী প্রদেশে স্বীয় প্রভুত্ব সম্যকৃরূপে প্রতিষ্ঠিত করিলেন এবং ‘রাজা' উপাধি গ্রহণ করিয়া তাহার যাথার্থ্য প্রতিপন্ন করিলেন। এই কাৰ্য্য সম্পাদনে তাহার কিরূপ যোগ্যতা ছিল, তাহ উল্লিখিত শ্লোকে উদ্ধত ‘ক্রিয়াক্ষম’ * “বিবরপ্রহরকৃৎ (অর্থাৎ রন্থ গ্রহারী) বিশেষণ দ্বারাই প্রতিপন্ন হইতেছে। রামচরিত কাব্যের প্রারম্ভে রামপালের প্রশস্তি-প্রসঙ্গে উক্ত হইয়াছে :– श् बीचक्षक्षश: । हूंकृ ] श्लक्ष्णं शृशैखरिष्ठः । ग निद्रांइश्छकणब्र। राइयोरवाििक्षः शशिन् ॥ s२०