পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԳծՖ2 প্রবণসী ১৩৪ উদ্ধাবেগে ধরাপারে খৰূপরেখায়, ওই সদ্ধাতারাসম দিগন্তের স্বদুর গগনে বাষ্পীভূত বহ্নি-দীপ্তি শূন্যে গলে যায়। মনে হয় তারে, যদি সে ভস্মাবশেষ রত্নোপল লাগিত এ বুকে নিশাস্তের শুকতারকারে মরিতাম মুখে । কেন স্মরি, সে ধখন অচল নয়ানে প্রাণ মোর উড়ে যায় উৰ্দ্ধপানে অণধারের পার্থী, চাহে মুখপানে ? ওই যে জলিছে তার তারি পানে স্থির দৃষ্টি রাখি। লক্ষ তারকার মাঝে কেন চাই তারে, কে বলিতে পারে ? তোমরা ত নয় শুধু তারা, প্রথম মেলিয়া অভ্যাধি যেদিন চাহিষ্ণু শূন্যপানে, তোমরা যে অনন্তের আলোক-ইসারা করুণ নয়ানে মরতের প্রাণে । স্নিগ্ধদৃষ্টি চেলেছিল সে কি মুখপ’রে মও শুষ্ক জালাময় জ্যোতিষ্কমণ্ডলী বহু স্নেহভরে ? নিশাস্তে নিfভয়া যাও সারা নিশি জলি । মোর সদ্য চেতনায় সে দৃষ্টি কি গিয়াছিল মিশি ? তোমরা পেয়েছ প্রাণ নরজন্মে এ মোর অস্তরে তাই প্রতিনিশি গুঢ় fচদম্বরে । সে অামারে ডাকে “আয়’ ‘আয়,” কিরণ-রণিত ইসারায় ? তাই কি জীবনপথে চলিতে চলিতে মনে হয় চকিতে চকিতে, জলিছে নিভিছে যেন অন্ধকারে নক্ষত্রনিচয় .এ বিপুল জনসঙ্ঘ নিত্য যারা ভিড় করি রয় আমার চৌদিকে, কেহ চায় অনিমেযে, কেহবা নিমিথে ? নরনারী কভু নয় এর, শুধু আলোকের বিন্দু অন্ধকারে ঘেরা জটলা বেঁধেছে চারিধারে, ভেসে যায় কাতারে কাতারে তিমির সাগরচক্রবালে। সেই জনজার মাঝে কে যেন কিরণ-ইন্দ্রজালে বন্দী করে মোরে, কী অটুট ডোরে পড়ি বাধী নয়নে নয়নে । বুস্তহার অবন্ধন আলোকের ফুল, শূন্যেও গতিতে বদ্ধমূল । তাই তোমাদের মাঝে ফিরি আমি আত্মীয়-সভায় যাদেরে বেসেছি ভালো তারা দীপ্তি পায় তোমাদের মাঝে । রশিয়া রশিয়া বীণা বাজে তোমাদের কিরণে কিরণে প্রাণের গহনে ৷ বহু স্মৃতি অনুভূতি বিস্ফুরিত ফেনেচ্ছিাসরাশি তোমরা যে, হৃদয়ের মহাশূন্যে উঠিতেছ ভাসি । নভোনীলে ভাসমান আলোকের দ্বীপপুঞ্জ নহ, দরিয়ায় ভাসায়েছি জালিয়া যে প্রদীপনিবহু তোমরা তাহারা, নহ শুধু গগনের ক্ষুত্র গ্ৰহতারা।