পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ডালভাতের ব্যবস্থা শ্রীউপেন্দ্রনাথ সেন বাংলার প্রধান মন্ত্রী মহাশয় নিরয় বাঙালীর ডালভাতের ব্যবস্থা করিবার সদিচ্ছা লইয়া মস্তিত্ব গ্রহণ করিয়াছেন। তিনি নিশ্চয়ই উপায়-উদ্ভাবনের চিন্তা করিতেছেন। এই প্রবন্ধে বিষয়টির একটু মর্যালোচনা করিলে তাহার এবং দেশনেতৃগণের চিন্তার সামগ্ৰী হইতে পারে। বাংলার সপ্তকোটী লোকসংখ্যা এখন রাষ্ট্রবিধানে প্রায় পাচ কোটতে দাড়াইয়াছে। সরকারী গণনায় হয় ৫,০১,২২,৫৫০ । ইহা হইতে অস্থায়ী অবাঙালী অধিবাসীর সংখ্যা বাদ দিলেও বাংলার স্থায়ী অধিবাসীর সংখ্যা ৫ কোট ধরিয়া লইয়া আলোচনা করা কর্তব্য। এই ৫ কোটী লোকের মধ্যে কত সংখ্যক লোক কি কি বৃত্তি অবলম্বন করিয়ু জীবিক নিৰ্ব্বাহের চেষ্টা করিয়া থাকে তাহার মোটামুটি আন্দাজ পাওয়া যায় ১৯২১-২২ সালের বাংলার বিস্তুত শাসন-বিবরণীত্বে। এইখানে তাহার একটু বিশদ পরিচয় দেও, ধাইতেছে। এই পনর-ষোল বৎসরে হয়ত এই ংখ্যার কিছু পরিবর্তণ হইয়া থাকিবে, কিন্তু তাহাতে অবস্থার পরিচয় লাভে বিশেষ ব্যাঘাত হইবে না। છૂમિ ৩,৭৪ ২৯ হাজার (হাজারের নীচের অঙ্ক বাদ দেওয়া হইল) খনিজ সম্পদ ; শ্রমশিল্প ৩৬ ২১ , বাণিজ্য *8,\లిన যানবাহনাদি কার্যে নিযুক্ত ৭,৩৯ , শাস্তিরক্ষা কার্য্যে নিযুক্ত পুলিদ ইত্যাদি সাধারণ শাসনকাৰ্য্য স্বাধীন ব্যবসায় (যেমন চিকিৎসা আইন-ব্যবসায় ইত্যাদি ) ৭.৮৩ পঞ্চিত আয়ের উপর নির্ভরশীল ৩৭ , গৃহস্থের পরিচর্য্যায় নিযুক্ত চাকর বেহাল ইত্যাদি ৬,৮৮ , ষে বৃত্তিতে দেশে ধন উৎপন্ন są zit (unproductive) 8,ax ৰিবিধ ৯,৮s S,88 ,, উপরিউক্ত অঙ্কগুলি বিশ্লেষণ করিলে দেখা যায়, কুষিকৰ্ম্ম এবং কৃষকের নিকট হঠতে কর গ্রহণ করিয়া বাংলার ; অংশ লোক বাচিয়া থাকিবার আশা রাখে। খুব সম্ভব ইহাদের মধ্যে কতক লোকের অন্ত উপায়েও উপার্জমের চেষ্ট হইয়া থাকে। কিন্তু বর্তমান প্রবন্ধে এই ংখ্যার অন্দিাজ দেওয়া সম্ভব নহে, সরকারী কাগজপত্রেও তাহার পরিচয় নাই। তবে শাসন-বিবরণীতে এইটুকু আন্দাজ আছে যে বাংলার লোকসংখ্যার স্ট্র অংশ সাধারণ কৃষক। শ্রমশিয়ে নিযুক্ত লোকসংখ্যার পরিমাণ শতকরা ৭ই জন মাত্র। সরকারী শান্তিরক্ষা এবং শাসনকার্ষ্যে নিযুক্ত লোকসংখ্যার পরিমাণ দশমিক ০.৭ জন মাত্র । স্বাধীন ব্যবসায় শতকরা ১৫ জন মাত্র। অপেক্ষাকৃত ধনী গৃহস্থের বাড়ীতে দাসদাসীর কার্য্য করিয়া জীবিক অর্জন করিয়া থাকে শতকরা ১২ জন লোক। আর দেশের দুর্দশার চরম প্রমাণ এই যে, প্রতি ১০০ স্ত্রীপুরুষের মধ্যে এক জন হয় ভিক্ষাবৃত্তি, না-হয় অন্ত অসদুপায়ে জীবিকা নিৰ্বাহ করিয়া থাকে। সরকারী কার্ধ্যে নিযুক্ত লোকসংখ্যার পরিমাণ (হাজারে ৭ জন মাত্র ) দেখিয়া মনে হয় এই জগুই কি আমরা হিন্দু-মুসলমানে কলহ-বিবাদ—প্যাক্ট করিয়া হয়রান হইয়ু পড়িতেছি 1 অবশিষ্ট ৯৯৩ জন অধিবাসীর ভালভাতের ব্যবস্থার কথা এত দিন কেহু দুশ্চিস্তার বিষয় বলিয়া আস্তরিকতার সহিত গ্রহণও করে নাই । ভরসার কথা, এখন এই দিকে কংগ্রেসের আন্দোলনের ফলে বহু লোকের দৃষ্টি ও দরদের পরিচয় পাইতেছি। যখন সৰ্ব্বাপেক্ষা অধিকসংখ্যক বাঙালীই কৃষিজীবী, তথন এই প্রবন্ধে এই শ্রেণীর কথাই আলোচনা করা যাক । ১৯২৯-৩০ সালের শাসন-বিবরণীতে বাংলা দেশের কত পরিমাণ ভূমি কোন কোন কৃষিকার্ধ্যে নিযুক্ত ছিল তাহার আন্দাজ দেওয়া আছে। যথা—