পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অজগর পুষিবার বিচিত্র অভিজ্ঞতা সাপ সম্বন্ধে অনেকেরষ্ট ঘূণা, ভয়, বিদ্বেষ মিশ্রিত একটা বিসদৃশ ধারণ আছে। অদ্ভুত চালচলন ও দৈহিক গঠন, হিংস্র স্বভাব এবং মারাত্মক বিধ ইতাদিগকে সকলের নিকট অপ্রীতিকর করিয়া তুলিয়াছে। সাধারণের মধ্যে সাপ সম্বন্ধে এমন একটা ভয়াবত ধারণ জন্মিয়া গিয়াছে যে সাপ মাত্রেই বিষাক্ত বলিয়! লোকে মনে করে এবং কেহই ইতাদের সংস্রবে আদিতে চায় না । পুথিবীতে বিভিন্ন জাতের অসংখ্য সাপ আছে । কিন্তু তাঙ্গদের অনেকেই বিষধর নষ্ঠে । আমাদের দেশে ও অন্যান্ত দেশে বেদের ও যাদুকরের অর্থোপীজনের আশায় - বিষাক্ত ও অবিষাক্ত উভয় জাতের সাপই পুষিয়া থাকে। অনেকে আবার সখ করিয়াও সাপ পোষে । নিৰ্ব্বিষ সাপের মধ্যে বোয়ু, চিতি, পাইথন প্রভৃতি বৃহদাকৃতির অজগরষ্ট সহজে পোষ মানিয়া থাকে । মাদ্রাজ লয়োল কলেজ মিউজিয়মের কিউরেটার চালর্স লে-র কৌতুহলোদ্দীপক অভিজ্ঞতার কথা বলি। তিনি নিজে কখনও বিষধর সর্প পোষেন নাই ; কিন্তু বৃহদাকার অজগর পুষিবার অভিজ্ঞতার ফলে এই অভিমত জ্ঞাপন করিয়াছেন যে ইহাদিগকে niঞ্চয়ে পোষ মানানো যায় ; অল্পদিনের মধ্যেই ইঙ্গর শত্রfম ৭ চিলিঘু লয় । কিরূপে প্রথম তিনি অজগর পুষিতে উৎসাহিত হইয় উঠেন সই সম্বন্ধে তিনি লিখিতেছেন—একদিন সন্ধ্যাবেলায় আমার সাপুড়ের স্ত্রী মাথায় একটা মস্ত বোঝা লইয়। আসিয়া হাজির । তাঙ্গার স্বামী বোঝাটা খুলিলে দেখিলাম এক বিরাট পাহাড়িয়া সাপ—প্রায় আট হাত লম্বা একটা পাইথন । পাচ শিলিং দিয়া সেই বিপুলকায় অজগরটাকে কিনিয়। রাখিলাম। সাধারণ অবস্থায়, মিউজিয়মের কিছু আয় বাড়াইবার জন্য ইহার চামড়াটা বেচিয় ফেলিতাম, কারণ ব্যাগ, জুতা প্রভৃতির জঙ্গ এই চামড়ার খুবই চাহিদা । কিন্তু এই পাইথনটার পেটে ডিম আছে বুঝিয়া ইহাকে একটা বড় পাচার মধ্যে পুরিয়া রাখিয়া, কাক, চিল ও ছোট বড় নানা রকমের ইদুর প্রভৃতি নানাবিধ উপাদেয় খাদ্য জোগাইতে লাগিলাম ; কিন্তু আশ্চর্য্যের বিষয় সে ইহার কিছুই স্পশ করিল ন!—দিনের পর দিন উপবাসে কাটাইতে লাগিল । প্রায় একমাস পরে অজগরট ডিম পাড়িল-প্রায় পৌনে দুই মাস ধরিয়া পাইথনট ডিমের চতুর্দিকে কুণ্ডলী পাকাইয়া, কোন খাদ্য গ্রহণ না করিয়া, দিনরাত্রি নিশ্চলভাবে পড়িয়া রহিল। ইহাদের শরীরে এত মেদ জমা থাকে যে অনেক দিন কিছু না খাইলেও ঐ মেদ ইষ্টতে দেহরক্ষ হইয়া থাকে। সাত মাস অনাহারে থাকিয়াও একটা পাইথন বেশ জীবিত ছিল । একদিন আর সকালবেলায় দেখা গেল—পাইথনট おbー● পূর্বের জায়গায় ডিম আগলাইয়া বসিয়া নাই । ডিম ছাড়িয়া লে খাচার অপর এক কোণে শুইয়া আছে । দেখা গেল-মামুষের হাতের মুঠার মত বড় কুড়িটা ডিম রচিয়াছে । প্রত্যেকটি ডিমের মুখে এক-একটা সরু ছিদ্র এবং সেই ছিদ্রের ভিতর দিয়া এক-একটি ছোট মাথা এই অচেনা নূতন জগতের প্রতি অবাক হইয়া চাহিযু রহিয়াছে। তাহারা তাহদের উপরের ঠোটের শক্ত হুচালো অগ্রভাগের সাহায্যে নিজেরাই ডিমের মুথে ছিদ্র করিয়া লইয়াছে। দুই দিনের মধ্যেই তাহারা ডিম ছাড়িয়৷ বাহিরে আসিয়া পড়িল । তৃতীয় দিন সকালে দেখিলাম ৪ আউন্স ওজনের, প্রায় ২৪ ইঞ্চি লম্ব সুপুষ্ট কতকগুলি বাচ্চ পরিত্যক্ত এগার মাদ বয়স্ক পাইথন পরিবেষ্টিত প্ৰযুও গ