রবীন্দ্র-প্রসঙ্গ ঐকিরণবালা সেন ৩রা কাৰ্ত্তিক, হেমস্তের শুরুসন্ধা। আশ্রমের হিমকুরী গাছগুলিতে থাকে থাকে ফুলের ঝরণ নেমেছে। গাছগুলির তলাও সাদা ফুলে ছেয়ে আছে। এই সন্ধ্যা, গুরুদেবকে প্রণাম করতে র্তার গাছপালাঘের মাটির ঘরের দিকে গেলাম। ঘরে গিয়ে দেখি, ঘরখানি আলোতে উজ্জল আর তার মধ্যে বসে আছেন শুভ্র সুন্দর তাপসমৃষ্টি। তার চোথদুটিতে ফুটে আছে শিশুর মত সরলতা আর একটা ব্যাকুল ভাব। এ ব্যাকুলতা কিসের ? সামনে একখানি মোটা বই থোলা রয়েছে। পড়ছিলেন মনে হ’ল। এখন ছোট্ট একটা টেবিলের সামনে, চেয়ারে সোজা হয়ে বসে, অধ্যাপক প্রভাত গুপ্ত ও অধ্যাপক শৈলজ বাবুর সঙ্গে কথা বলছেন। পড়ায় ওঁর যে কি প্রীতি সেষ্ট কথা বলছিলেন, অথচ এখন সময় পান না এই দুঃখ ৷ এখন বুঝলাম এই ব্যাকুলত প্রবল জ্ঞানতৃষ্ণার। তর ধারার মত কথা চলেছিল, তাই আমিও ব’লে পড়লাম সেইখানে । বই পড়তে চিরকালই কি আনন্দ পেয়েছেন সেই কথ: বলছিলেন। সকল রকম বিষয়েরষ্ঠ বই পড়বার একান্ত আগ্ৰহ ছিল। কবি তিনি, কিন্তু শুধু সাহিত্য পড়েষ্ট যে ওঁর পিপাস মেটে তা নয়। বিজ্ঞানও খুব পড়েন। কঠিন নীরস বিষয় আমরা যাকে বলে থাকি, তাতে ৪ তার কৌতুঙ্গল কম নয়। কবি হ'লেও তিনি মান বিষয়েই রীতিমত অভিজ্ঞ। পৃথিবীত দুত রকম চিন্তার ধারা প্রাচীন কাল থেকে আধুনিক কাল পর্য্যন্ত চলে এসেছে, কোনটাতে বঞ্চিত হ'তে তার ইচ্ছা নেই। তার পর সেই সব চিন্তার সঙ্গে তার চিন্তাও মিলিত হয় । পড়বার এত আকাঙ্ক ছিল, অথচ প্রথম বয়সে এমন সময়ও গিয়েছে যে এই পড়া ওঁকে কষ্ট ক'রে পড়তে হয়েছে। ইচ্ছাতুযায়ী বই কিনে পড়বার মত অর্থের সচ্ছলতা তখন ছিল না। তাই হয়ত এক প্রস্থ বই কিনতেন, পড়া হ’লে সেই বই বিক্ৰী ক'রে সেই অর্থ দিয়ে আবার অন্য বই কিনে পড়তেন । পড়ার আনন্দের কথায় বলেছিলেন, এক সময়ে তিনি বোটে নির্জনে থাকতেন। সারাদিন বিস্তর কাজ থাকত, সময় পেতেন না, রাত্রে আবার পোকার উপদ্রব &িল । তাই বোটেৰ কামর-জোড় একটা মস্ত মশারি ছিল । সন্ধ্যার পরে সেই মশারিট ফেলে তার মধ্যে অালে ছেলে রাত দুপুর অবধি পড়তেন । কোন কোন দিন দুপুর রাত ও পার হয়ে যেত । gBBB BBBB KBB BBBS BBBLSKBB BSBB খুব পান, কিন্তু সময় কোথায় ? এখন কাজের বোঝ; কত ! BB BB BBS BBBB BBStttBD CggD DSgBB S তাই এক এক সময় ওঁৰ মনে হয়, আর একবার যদি অsীতের সেই দায়মুক্ত আমদের দিনগুলির মধ্যে ফিরে যেতে পারতেন। অবকাশ-সময়৪ তবে পূর্ণ করে নিতে পারতেন, নিরালায় চুপ ক'রে বসে থেকে । এই জন্যই এক এক সময় ব্যাকুল হয়ে ওঠেন । এই কথা প্রসঙ্গে অতীতের স্মৃতি ভেসে উঠল তার মনে । ব'লে যেতে লাগলেন, বোটে এক সময়ে কি রকম নিচান ছিলেন। এমন একলা কি ক'রে দিনের পর দিন তিনি কাটিয়েছেন, ভাবলে অবাক হই। থাকতেন নির্জন পদ্মার চরে, বোটে। কোন লোকের সঙ্গে দেথ-সাক্ষাং ছিল હસ્વિનિ যে, দিনে একটি কথা বলবারও কারণ ઘઉંડ ના ! જ્ઞાન ૮૭ હજા નts sાન, 18 નઃনা। তার সঙ্গে একজন বুড়ো মাঝি আর একজন অমুচং থাকৃত । অন্তচরটির নাম ছিল ফটিক । সেও কথা কইর্তা না, তার নাম সার্থক ক’রে স্ফটিকের মতই নীরব থাকৃত শুধু সময়মত প্রয়োজনীয় জিনিষটি সামনে দিয়ে যেত প্রয়োজনেরও কোন বাহুল্য ছিল না । সমস্ত দিনে শু ੋਡ਼ না | ඇ`ද්
পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।