পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

船 সঞ্চয়িতী—ঐরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর । তৃতীয় সংস্করণ। বিশ্বভারতী গ্রন্থালয়, ২ • নং কর্ণওয়ালিস স্ট্রীট, কলিকাত । ডিমাই আট পেঞ্জি, ৬৪৭ পৃষ্ঠা। মূল্য-কাগজের মলাট ৪N , বাধান ৫২ ৷ কবিদিগের কাব্য-গ্রন্থাবলী হইতে বাছিয়া কতকগুলি কবিত নমুনার মত পাঠকসমাজে উপস্থিত করিবার কাঙ্গ সাধারণতঃ কবির • নিজে করেন নং অন্যেরা করেন । রবীন্দ্রনাথ এই প্রধার ব্যতিক্রম ~ఙe= করিবার কারণ এই বলিয়াছেন, "ধারা আমার কবিতা প্রকাশ করেন অনেক দিল থেকে তাদের সম্বন্ধে এই অনুভব করছি যে, আমার অল্প বয়সের যে সকল রচন। স্থলিত পদে চলতে আরম্ভ করেছে মাত্র, যার ঠিক কবিতার সীমার মধ্যে এসে পৌছয় নি, আমার গ্রন্থাবলীতে তাদের স্থান দেওয়া অামার প্রতি অবিচার ” “যে কবিতাগুলিকে আমি নিজে স্বীকার করি তার দ্বারা অামাকে দায়ী করলে আমার কোনে। নালিশ থাকে না। বন্ধুরী বলেন ইতিহাসের ধার। রক্ষ কর চাই। অাম বলি লেখ যখন কবিত হয়ে উঠেছে তখন থেকেই তার ইতিহাস । এ নিয়ে অনেক তর্ক হোতে পারে সে কথা বলবার স্থান এ নয়।” কোন কবির কাব্য-গ্রন্থাবলী প্রকাশ করিতে হইলে অল্প বয়সের সব মুদ্রিত কঁাচ লেখাও প্রকাশ করা, ইতিহাসের ধারা রক্ষা করা ছাড়া আর একটি কারণে আবশ্যক মনে হইতে পারে । তাহ। কবির কবিশ্বশক্তির ক্রমবিকাশ বুঝিবার ও বুঝাইবার সুবিধ । কিন্তু চয়নিক বা “সঞ্চয়িতা’র মত সংকলন-গ্রন্থে ঐ প্রকার কাচা লেখা দেওয় অনাবশ্বক, এবং কেহ দিলে তাহার সমর্থন করা যায় না । সুতরাং ‘সঞ্চয়িত ’ হইতে সেরূপ লেখা প্রায় বাদ দেওয়া সমীচীন হইয়াছে । কবির সমগ্র কাব্য-গ্রন্থাবলীর মধ্যে ঐৰূপ সমস্ত লেখাই স্থান পাইলেও কোনও বুদ্ধিমান পাঠক সেগুলির জন্ত কবিকে প্রতিভাহীন মনে করিবেন না । ‘সন্ধাদঙ্গীত, ‘প্রভাতসঙ্গীত, ও ছবি ও গান হইতে কবি “ইতিহাস রক্ষার খাতিরে এই সঙ্কলনে” মোট পাঁচটি কবিতাকে স্থান দিয়াছেন। তিনি লিথিয়াছেন, “তা ছাড়া ওদের থেকে আর কোন লেথাই অামি স্বীকার করতে পারব না ।” পুস্তকখানিতে ৮৮টি কবিত সঙ্কলিত হইয়াছে। কবি বলেন, “এই গ্রন্থে যে কবিতাগুলি দিতে ইচ্ছ। করেছি তার অনেকগুলিই দেওয়া হোলে না। স্থান নেই। ছাপ অগ্রসর হোতে ৰোতে আয়তলের স্ফীতি দেখে ভীত মনে আত্মসংবরণ করেছি। এ রকম সংকলন কখনই সম্পূর্ণ হোতে পারে না।" তাহ৷ সত্য । কিন্তু এই সংকলনটি যেরূপ হইয়াছে, তাহাতে ইহা হইতেই রবীন্মনাথের নানাবিধ খণ্ডকাব্য-রচনার প্রতিভা সম্বন্ধে যে ধারণ জন্মিৰে তাই ভ্রমস্যুল ইষ্টবে না। ইহাতে বা শ্রেষ্ঠ কবিতা স্থান পাইয়াছে । বহি থানির ছাপ ও কাগজ উৎকৃষ্ট। রামমোহন রায় ও মূৰ্ত্তিপূজা— অমরত্রে ভট্টাচাৰ্য । প্রথম সংস্করণ। পূর্ব বাঙ্গাল ব্রাহ্মসমাজ, ঢাকা । মূল্য আট আনা। 'திரி fo"סצמה: تخزنس تم تخترنت وطريقة પૂll) i. |エ চষ্ট্র ডবল ক্রাউন ষোল পেজি পৃষ্ঠার (অর্থাৎ প্রবাসীর অৰ্দ্ধেক আকারের পৃষ্ঠার ) ২২ পৃষ্ঠা। ছাপা ভাল। এরূপ বড় বহির আট আন মূল্য খুব কম। গল্পের বহিও কচিং এত সস্তী হয় । কয়েক দিন পূৰ্ব্বে বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভায় যখন এক জন মুসলমান সদস্ত কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিশান ও সীলমোহরের মধ্যে শ্ৰী-যুক্ত পদ্মের সমালোচন প্রসঙ্গে হিন্দু ধৰ্ম্মকে পৌত্তলিকতা দোষদুষ্ট বলিতেছিলেন, তখন ব্যবস্থাপক সভার কংগ্রেস দলের নেতা হিন্দু ধৰ্ম্মাবলম্বী শ্ৰীযুক্ত শরৎচত্র বহু তাছাতে আপত্তি করিয়া এই মৰ্ম্মের কথা বলেন, যে, হিন্দুধৰ্ম্ম পৌত্তলিক ধৰ্ম্ম লছে, তাহার শ্রেষ্ঠ শাস্ত্রগুলি পৌত্তলিকতা শিক্ষা দেয় না। শ্রেষ্ঠ ছিন্দু শাস্ত্রগুলি যে অপৌত্তলিক, ইহা সত্য ৰথ । খ্ৰীষ্টীয় মিশনারিদিগের আক্রমণের উত্তরে আধুনিক যুগে রামমোহন রায়ই প্রথমে প্রকৃত হিন্দুধর্মের পক্ষ সমর্থন ও গৌরব ঘোযণ করেন। অথচ ইহ। কালের বা অদৃষ্টের বা ইতিহাসের বা অন্ত কিছুর ক্রুর পরিহাস, যে, সেই রামমোহন রায় তাহার জীবিত কাল হইতে এখন পৰ্য্যস্ত হিন্দুধর্মের উgবপ গৌরব ঘোষণ করিয়াছিলেন বলিয়া প্রশংসা অপেক্ষ নিম্বাই অধিক পাইয়া আদিতেছেন । হিন্দুধর্ক্সের এবং অন্য সকল ধর্থেরও-কেন্দ্রীভূত সত্যটির প্রচার ও প্রতিষ্ঠার চেষ্ট রামমোহনের জীবনের প্রধান কাজ । আটত্রিশ বৎসর পূৰ্ব্বে বিচারপতি গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ের সভাপতিত্বে যে রামমোহন-স্মৃতিসম্ভ হয়, তাহতে সভাপতি মহাশয়কে ধগুবাদ দিতে উঠিয় বিখ্যাত হোমিওপ্যাধিক চিকিৎসক ডাক্তার মহেন্দ্রলাল সরকার বলেন, ঈশ্বরের একত্ব-প্রতিপাদন ও প্রচার-কাৰ্য্যই রামমোহনের জীবনের भङ्खम छक झिल । তিনি লাল ছিন শাস্ত্রের লান উক্তির সাহায্যে কি প্রকারে মূৰ্ত্তিপূজার অশ্রেষ্ঠত্ব ও নিরাকারোপাসনার শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিপাদন করিয়াছিলেন, তাহা এই গ্রন্থে স্বনিপুণভাবে দেখান হইয়াছে । যাহারা মূৰ্ত্তিপূজায় বিশ্বাস করেন, এবং রামমোহনের ভ্রম দেখাইতে চান, তাহাদের এই বহিখানি পড়া উচিত ; আবার যাহারা মূৰ্ত্তিপূজায় বিশ্বাস করেন নাযেমন প্রচেষ্টাণ্ট খ্ৰীষ্টিয়ান, মুসলমান, ব্রাহ্ম ও আর্য্যসমাদীর তাহাজেরও ইহ পড়া উচিত। কাহারও “সব জানি” মনে করিয়া জ্ঞান লাভে বিরত থাকা উচিত নহে । খ্ৰীযুক্ত সতীশচন্দ্র চক্ৰবৰ্ত্ত ইহার একটি উৎকৃষ্ট এগার পৃষ্ঠ ব্যাপী ভূমিক লিখিয় দিয়াছেন । রামমোহন রায়ের সময়ের বাংলা অনেকের পক্ষেই এখন দুর্বোধ্য। গ্রন্থকার অনেক স্থলেই রামমোহনের যুক্তি আধুনিক বাংলায় পাঠকদিগের সমক্ষে উপস্থিত করিয়াছেন। তিনি সমুদয় যুক্তি মুলাররূপে সাজাইয়াছেন । পুস্তকখালি ভারতীয় অন্যান্য প্রধান প্রধান ভাষায় ও ইংরেজীতে অনুবাদিত হইবার যোগ । বঙ্গীয় মহাকোষ-প্রধান সম্পাদক শ্ৰীঅমূল্যচরণ বিদ্যভূষণ । প্রকাশক শ্ৰীসতীশচন্দ্র শীল, ইণ্ডিয়ান রিসার্চ ইন্সটিটিউটের