পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আধেক উড়ে যায় সুদূর নীলিমায় নামে নি বরষার শীতল বারিধার আষাঢ় আসে নি ঘন কালো গভীর নীলিমায় মাধুরী ভেসে যায় লাগিয়া নবীন মেঘে আলো । মুরতি নানা রূপ ধরে সে অপরূপ স্বদুরে হেসে সে ভেসে যায় সকল তার রবি কথনে মান ছবি আড়াল করে সে নীলিমায় । দেখে সে নানা বেশ নয়ন অনিমেষ পাহাড় চাহিয়া রয় দূরে এ মেঘে ঢেকে তার দেহের চারি ধার ভাসিতে চায় সে কোন স্বরে। ধরার হৃদিকুল ভেদিয়া শতমূল মেলিয়া নিজেরে যেন বঁাধে কঠিন দেহমাঝে আপন শত কাজে নিজেরি তরে সে জাল ফাঁদে । লভিতে চায় পাখা, তাই কি মেলে শাখা নিজেরে চায় সে প্রসারিতে ? खलतःि भtग्नांभघ्र c८िशं देि भग्न इट्च কী আশা জাগে তার চিতে ? যে গতি মনোমাঝে বেদনা অনিয়াছে যে নাচে হৃদয়ে লাগে দোল স্বদূর দেয় ডাক বঁাশীতে শত লাখ গতির ছন্দে উতরোল । পাহাড় দেথে তার হৃদয় গুরুভার পাথরে পাথরে বাধা কেন ? স্বদূর ব্যোমে হায় কি আশা ভেসে যায় হাজার মুরতি একে যেন। দেখে সে চলিবার, ছন্দ অনিবার ছোটে কী মৰ্ম্ম হ’তে নদী ঐমৈত্রেয়ী দেবী তাহার মন আশা, সে বেগে পায় ভাষা বাধায় মোহন তার গতি । বদ্ধ মন হায় বাকিয়া ছুটে যায় পাথরে পাথরে নেচে চলে নিজের জাল ছিড়ে মুক্তি পায় কি রে মৰ্ম্ম ভাসায়ে সেই জলে । তবুও চায় দূরে উড়িতে ঘুরে ঘুরে পরশ করিতে মেঘখানি তাই সে তরুশাখা করিতে চায় পাখা দোলায় পাগল বায়ু আনি । আমার মনোমাঝে দেখি ধে রহিয়াছে ভাবনা এমনি কত শত কখনো জাল ফেদে অামারে রাখে বেঁধে হৃদয় গুমরে অবিরত ৷ চাহিয়া বহুদূরে সে চায় যেতে উড়ে সংখ্যাবিহীন বাধা রয় ছিড়িতে লাগে বল কঠিন শৃঙ্খল তবু কি বাসনা মনোময়। হৃদয়ে অপরূপ দেখি যে কত রূপ অামারে নিয়ে যে চলে খেলা কখনো ছেড়ে দিয়ে আকাশে যায় নিয়ে মুক্ত বাতাসে ভাসে ভেলা । কারণে-আকারণে কথনে আনে মনে অচল গিরির মত স্থিতি বঁাশীর স্বরে স্বরে সে চায় যেতে উড়ে বেদনা কি বাজে নিতি নিতি । নানান্‌ মনোরথ খোজে যে নান পথ নিজেরে তাই এ ভাঙাগড় আধেক উড়ে যায় স্থদুর নীলিমায় আধেক আকড়ি রয় ধরা।