পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফলিত রসায়ন চর্চার নূতন দিক “ শ্রীকানাইলাল মণ্ডল, এম-এসসি গত শতাব্দীতে ফলিত রসায়নের পরস্পর-সংলগ্ন দুই শাখা গড়িয়া উঠিয়া দুইটি বিশেষ দিকে পরিণতি লাভ করে। একটি বৈজ্ঞানিক উপায়ে রং প্রস্তুত, পার্কিন কর্তৃক ১৮৫৬ সালে কোলটার বা আলকাতর হইতে রং প্রস্তুত-প্রণালীর উদ্ভব হইতেই তাহার সূত্রপাত। অপরটি বৈজ্ঞানিক উপায়ে ঔষধ প্রস্তুত বা ঔষধের ট্রিন্থিসিস্ । পূৰ্ব্বে উদ্ভিঙ্গ রং ও উদ্ভিজ্জ ঔষধ সাধারণতঃ ব্যবহৃত হইত। রসায়নবিজ্ঞানের উক্ত দুই শাখা গড়িয়া উঠায় এক দিকে যেমন ইচ্ছামত বর্ণ বৈচিত্র্য স্বষ্টি করা সম্ভবপর হইল ও স্বভাবজাত রঙের প্রচলন প্রায় উঠিয়া গেল, অন্য দিকে তেমনি জীবদেহে বিশিষ্টরূপে ক্রিয়া করিতে পারে এরূপ বিশেষ গুণসম্পন্ন *ষধ প্রস্তুত হওয়ায় স্বভাবজাত ঔষধের পরিবর্তে কৃত্রিম ঔষধগুলি বেশীর ভাগ ব্যবহৃত হইতে লাগিল। বর্তমান শতাব্দীতে উদ্ভিদ- ও জীবজন্তু- সংক্রান্ত ব্যবহারিক রসায়নের একটি বিশেষ বিভাগ এইভাবেই প্রসার লাভ করিতেছে। কলাইগাছের শিকড়ে উৎপন্ন স্ফোটক ; ইহাতে যে বীজাণু জন্মে তাছা বায়ুর নাইট্রোজেনকে উদ্ভিদ খাদ্যে পরিণত করে। ইহার এক দিক গড়িয়া উঠিতেছে জীবনপোষক কতকগুলি সামগ্রীকে লইয়া। দেহের পুষ্টির জন্য অতি অল্প পরিমাণেও এইরূপ প্ৰব্য একান্ত প্রয়োজনীয়। এখনও পর্য্যস্ত কেবলমাত্র স্বভাবজাত উক্ত প্রকার দ্রব্যের দ্বারা উদ্ভিদ ও জীবের দেহের পোষণ ও বৰ্দ্ধনকাৰ্য্য সাধিত হইতেছে। তবে রসায়ন-বিজ্ঞানের সাহায্যে দ্রব্যগুলি প্রস্তুত হইতে আরম্ভ হওয়ায় ও দেহের উপর তাঁহাদের ক্রিয়া স্বভাবজাত ত্রব্যের অন্তরূপ হওয়ায় এবং কোন কোন ক্ষেত্রে অধিক কায্যকরী হওয়ায় পূৰ্ব্ব পুৰ্ব্ব দৃষ্টান্ত হইতে এরূপ অনুমান করা যায় যে কালে স্বভাবজাত দ্রব্যের পরিবর্তে কৃত্রিম প্রবাসমূহ ব্যবহারের প্রসার ও প্রচলন হইবে। প্রসঙ্গক্রমে উভয়ের মধ্যে তুলনায় বৈজ্ঞানিক প্রণালীতে প্রস্তুত জিনিষগুলি ব্যবহারের এই সুবিধার কথা উল্লেখ কর। যাইতে পারে যে, স্বাভাবিক ভাবে উৎপন্ন দ্রব্যে নানা প্রকার জটিল প্রকৃতির জিনিষ এমন ভাবে মিশিয়া থাকে যে অণুবীক্ষণে এজোব্যাক্টোরিয়া দেখা যাইতেছে