পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

し〜8め প্রবাসী ১৬৪৪ ভাইটামিন এ. লইয়! নিয়ন্ত্রিত পরীক্ষা। ভাইটামিন এ-বিহীন খাদ্য দেওয়ায় এই ইদুরটির লোম কর্কশ হইয়াছে, ওজন কমিয়াছে ও চক্ষুর রোগ জন্সিয়াছে। তাহাতে একসঙ্গে সকলগুলিই ব্যবহার করিতে হয়, সুতরাং বিশেষ ক্রিয়ার জন্য বিশেষ গুণসম্পন্ন কোন একটি, এবং উহার যতটুকু আবখ্যক সেই পরিমাণ, পাওয়া যায় না, কিন্তু কৃত্রিম দ্রব্যগুলির প্রত্যেকটি পৃথক্ভাবে এবং প্রয়োজনমত মাত্রায় ব্যবহৃত হইতে পারে ; দ্বিতীয়ত, শেষোক্ত দ্রব্যগুলি অনায়াসলভ্য ও স্থলভ হয় ; তৃতীয়তঃ, এইগুলির প্রত্যেকটি রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় কিছু কিছু গুণের পরিবর্তন দ্বার বিবিধ আকারে ব্যবহার করা চলে ও অনেক সময় উহাদিগকে বেশী শক্তিসম্পন্ন করিয়া তোলা যায়। জীবনপোষক জিনিষগুলির এক শ্রেণীর নাম ভাইটামিন। ভাইটামিন এ. বি. প্রভৃতির কথা আমরা সকলেই কমবেশী শুনিয়াছি। উদ্ভিদের পক্ষে পুষ্টিকর অক্সিন (auxin ) নামে আর এক শ্রেণীর দ্রব্য গত কয়েক বৎসরের মধ্যে আবিষ্কৃত হইয়াছে । ভাইটামিন এ. বি. প্রভৃতির ন্যায় এইগুলিরও অক্সিন এ. বি. ইত্যাদি নাম দেওয়া হইয়াছে। তৃতীয় শ্রেণীর এইরূপ দ্রব্য জীবজন্তু ও উদ্ভিদ দেহে উৎপন্ন zoála (hormone) বর্তমানে এই তিন শ্রেণীর জিনিষ লইয়াই গবেষণা চলিতেছে । প্রত্যেক শ্রেণীর সামগ্ৰীগুলিকে এখন রাসায়নিক দ্রব্যের সমষ্টি বলিয়া চিনিতে পারা গিয়াছে। প্রতি শ্রেণীর জিনিষগুলি অত্যস্ত জটিলপ্রকৃতির এবং একসঙ্গে মিশিয়া থাকে। সুতরাং তাহাদিগকে পৃথক করা, বিশুদ্ধ করিয়া চিনিয়া লওয়া, তাহাদের প্রকৃতি ৪ গঠন নির্ণয় করা, দেহের উপর তাহাদের ক্রিয়া নিরূপণ করা বিশেষ বৈজ্ঞানিক দক্ষতাসাপেক্ষ। ইউরোপ ও আমেরিকায় বৰ্ত্তমানে সুদক্ষ ও বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন বৈজ্ঞানিকের অভাব না থাকায় এ বিষয়ে গবেষণা সকল দিক দিয়া অতি দ্রুত গতিতে অগ্রসর হইতেছে । অবশু, ব্যবহারিক জগতে কাজে লাগিবার মত অবস্থা হইতে এখনও দেরি অাছে। ভাইটামিন সম্বন্ধে কিছু না জানিয়াও অষ্টাদশ শতাব্দীতে নৌ-সার্জেন লিণ্ড উহার ব্যবহার করিয়াছিলেন । ব্যবহারিক বিজ্ঞানে এরূপ উদাহরণ আরও পাওয়া যায়। যে-বীজাণুর বিষয় কিছু ন জানিয়াও অষ্টাদশ শতাব্দীতে জেনার বসন্ত রোগে টীকা দেওয়া প্রথার প্রবর্তন দ্বারা তাহার হাত হইতে নিষ্কৃতি পাওয়ার ব্যবস্থা করিয়াছিলেন, পরে সেই বীজাণুর আবিষ্কার করিয়া লুই পাস্তুর চিকিৎসাশাস্ত্রে বীজাণুতত্বের নূতন শাখা হুষ্টি করিয়াছিলেন। লিও স্বাঙি রোগের কতকগুলি রোগীকে লেবুর রস খাওয়াইয়া এবং কতকগুলি রোগীকে তাহা না দিয়া ও অন্যান্য অবস্থা ঠিক সমান রাখিয়া প্রমাণ পাইলেন যে তাজা ফলের মধ্যে এমন কতকগুলি দ্রব্য আছে যাহা অতি অল্প পরিমাণে প্রয়োগ করিলে রোগ নিবারণ হয় এবং তাহীদের অভাবে রোগের উৎপত্তি হয়। বিংশ শতাব্দীতে উন্নত ধরণের এইরূপ কণ্টে ল্ড বা নিয়ন্ত্রিত পরীক্ষায় ভাইটামিনের আবিষ্কার সম্ভবপর হইয়াছে। ভাইটামিন এ, বি. প্রভৃতির প্রত্যেকটি একটি বিশেষ রাসায়নিক দ্রব্য এবং এই রাসায়নিক ভ্র ব্যটি খাদ্য তাইটামিন এ, পাই এই ইঁদুরটি স্বাভাবিক ভাবে বাড়িয়াচ।