পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* অণশ্বিন ছিল ? কত দেখেছি, জানি না আর কত দেখতে হবে ।” এই বিষণ্ণতার আবহাওয়া স্বধার ভাল লাগিতেছিল ন, সে বলিল, “পিসিম, আজ রাত হয়েছে মাকে শুইয়ে দিই, কাল দিনের আলোয় অনেক গল্প হবে এখন।” যে-ঘরে স্থধারা ছেলেবেলায় শুইত সে-ঘরটা জিনিষপত্রে ঠাস পড়িয়া আছে, অনেক কাল তাহ খোলা হয় নাই । সুধারা পিসিমার ঘরের মেঝেতেই বিছানা পাতিয়া শুইল । রাত্রি হইতেই বৃষ্টি স্বরু হইয়াছিল, সার। রাত্রি কানের কাছে ঝর ঝর করিয়া বৃষ্টির শব্দ হইয়াছে। কখন যে সকাল হইয়া গিয়াছে স্বধা টেরও পায় নাই । বেশ খানিকট বেলায় বাহির হইয়া আসিয়! দেখিল, বৃষ্টির এখনও বিরাম নাই । সমস্ত আকাশ কান-ঢাকা ব্যালাক্লাভা ক্যাপের মত মেঘের টোপর পরিয়াছে ; কোনখানে একটুও ফাক নাই। তাঁহ৷ হইতেই ঝুরু ঝুরু বৃষ্টি গুড়া বালির মত ঝরিয়া কলিকাতায় এমন বৃষ্টি মামুষের সহ হয় না, কিন্তু এখানে দিনের আলোয় স্বধার মনট প্রসন্ন হইয়াছিল, - এ-ষ্টি তাহার ভালই লাগিল । পশ্চিম দিকের সুবিস্তুত ধানের ক্ষেতের পর যে শালবনটা ছিল, এবার স্বধা দেখিল কোন কাঠের ব্যবসাদার আসিয়া তাহ নিৰ্ম্মল করিয়া কাটিয়া লইয়া গিয়াছে। পিছনের নদীর জলরেখা এখন দেখা যায়। বর্ষায় নদীর জল তাল-ক্ষীরের মত রাঙা হইয়া উঠিয়াছে, ফাপিয়াছে যেন ফুটন্ত দুধের কড়া। ওপারের বালুর চর ডুবাইয়া একেবারে সবুজ অরণ্যানীর বুকে গিয়া ঠেকিয়াছে স্ফীত রক্তাভ নদী। ঝণকে ঝণকে বক নদীর দিক হইতে উড়িয়া ওপারে কোথায় চলিয়াছে । তাহাদের শেষ নাই, কোথা হইতে আকাশের বুকে দোদুল্যমান এই বলাকার মালায় একের পর এক করিয়া পদ্মের মত শুভ্র বকগুলি গাঁথিয়া দেওয়া হইতেছে কেহ জানে না। ইহাদের ডানার দ্যুতি দেখিয়া দশ বৎসর পূৰ্ব্বেকার বালিকা মৃধা যেন স্বপ্নময় ঘুম হইতে জাগিয়া উঠিল। মনে হইল ওই শৈশবের দৃষ্টি দিয়া পৃথিবীর সহিত প্রথম যে বিস্ময়-ঘন পরিচয়, তাহাই সত্য, তাহাই শাশ্বত, যৌবনবেদনার এ কোন দুঃখময় গহনবনে সে ঘুরিয়া মরিতেছিল ? ওদিকে আর ফিরিয়া না চাহিয়া এই হারানো শৈশবে সে যদি আবার চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করিতে পারিত তাহা হইলে অলখ-ঝেণর। mموع سيا জীবনে কোনও সমস্তার পদতলে মাথা কুটিতে হইত না, আপনার কাছে আপনি নিরস্তর জবাবদিহি করিবার কোন ভাবনা থাকিত না। ওই বর্ষার মেঘ, ওই নদীর জল, ওই বকের ডানার দ্যুতি তাহার। আজও সেই অতীতের ধারাভেই চলিয়াছে, কেন মানুষের জীবনের মিথ্যা এ দুঃখময় পরিবর্তন ? তবু তাহার এ দু:থকে সে ভুলিতে চাহে না, এই wo সৌন্দর্ঘ্যের সহিত ছন্দ রাখিয়া তাহা তাহার অস্তরের ঐশ্বৰ্য হইয়া থাকুক। মালীম স্বরধুনীর মত মনোমন্দিরেই চির-জাগর প্রদীপ জালিয়া সে দেবতার আর৮ি করিয়া যাইবে । সে আরতিতে অশ্রুর অন্ধকার যদি না থাকিত, দুঃখজন্ধের গৌরব যদি প্রদীপ-শিখার མཱ་ཅུ་བའི་སར་མཆར། তবেই সার্থক হইত তাহার প্রকৃতির ক্রোড়ে সাধনা ৷ কিন্তু এ পণ টিকে না । যে-মাটিতে স্থাখের ফসল ফলিয়াছিল তাহ ছাড়িয়া আসিয়া মনে একটু স্থৈৰ্য্য আসিয়াছে বটে, কিন্তু এই মূক পৃথিবীর সহিত প্রাণের কথার বিনিময় যে চলে না । - স্বধা দিন শুনিতে লাগিল কবে কলিকাতায় ফিরিয়া যাইবে, কবে মানুষের আবেষ্টনে প্রাণে হাসিকান্নার ঢেউ আবার দুলিয়া উঠিবে। তপনের আশা সে হারাইয়াছে’ বিশ্বাস হয় না, দূরে আসিয়া মনে হয় হৈমন্ত্রীর ঘরের সেই রাত্রির কাহিনী সবই বুঝি স্বপ্ন। কি করিয়া তাহা সে বলিতে পারে না, কিন্তু কোনপ্রকারে হয়ত সে স্বপ্ন তাহার টুটিয়া যাইবে । ঘটনাবৈচিত্র্যহীন দিন কাটিতে লাগিল। সেদিন ভর বর্ষার পর সুৰ্য্যের আলোতে আকাশ ছাইয়া গিয়াছে। কালে মেঘের পুঞ্জ সাদা হইয়া উঠিয়াছে। স্বৰ্য্যরশ্মি মেঘের বুক চিরিয়া চিরিয়া আলোর তুবড়ীর মত সহস্রমুখী হইয়া ফাটিয়া বাহির হইতেছে, কোথায়ও वा cभाषब भाथाश्र भाषाब शैद्राब भूक्षैब भड खन জল করিতেছে। মাঠে পুকুরে ক্ষেতে থালে বিলে জল টল টল করিতেছে। তাহার উপর স্বর্ঘ্যের তির্যাকরশ্মি প্রতিফলিত হইয়া অকস্মাং প্রকৃতি যেন একটা, বিরাট শিশমহল হইয়া উঠিয়াছে, যেন হাজার দর্পণের ভিতর দিয়া f / . f