পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ն-Գg জয়পুরী মর্শ্বরের তৈরি বাজে মূৰ্ত্তি অপেক্ষ বহুগুণে স্বন্দর। যথেষ্ট যাত্রী পায় নাই বলিয়া সকালে মাঝি নৌকা ছাড়িতে চাহিল না। শেষে ভাড়া দ্বিগুণের উপর কবুল করায় অনেক বেলায় নৌকা ছাড়িল । নদীপথে দুই পাশের গ্রাম ও পাহাড়ের শোভা দেখিতে দেখিতে চলিলাম। ছুই ঘণ্টা চলিবার পর ইঙ্গিক দীপঙ্কর প্রজ্ঞানের চরণদ্ধৃলিপুত হেরু-বা পাহাড় দেখা । দ্বিপ্রহরে লাস পৌছিলাম। ৫ই এপ্রিল লাসা ছাড়িয়াfছলাম, তখনও শীত আছে। ১৫ই এপ্রিল ফিরিয়া দেখিলাম গরম পড়িয়াছে। আরও দেখিলাম টাকার দাম চড়িয়াছে। আমার পক্ষে ইহা সুসংবাদ, কেননা টাকার বদলে তিব্বতীয় টঙ্ক অধিক পাওয়ায় পুতুলুঞ্জি" করা সহজ হইল। এখন প্রত্যাবর্তনের মুখ, লিপত্র বাধিতে লাগিলাম। দামী চিত্রপট ও পুস্তকাদি মোমজামায় মুড়িয়া কাঠের বাক্সে প্যাক করাইলাম। বাল্প প্রথমে চটে মুড়িয়া তাহার উপর য়াকের চামড়া ঢাকিয়া সেলাই করাইলাম। ইহার ফলে আমার কোনও জিনিষ नष्ट इच्च नरें । 蠱 參 臺 ২৩শে এপ্রিল প্রাতে লাস হইতে বিদায় লইলাম। সওয়ানয় মাস একত্রে থাকার ফলে ছুশিঙ-শ। কুঠির স্বামী জ্ঞানমান সাহ, তাহার পত্নী, তাহার সহকারী গুভাদু ধীরেন্দ্র বজ্র প্রভৃতি সকলের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠতা হইয়াছিল। সে গৃহ যেন নিজের বলিয়া মনে হইত। তাহারা সকলে বিদায় দিতে শহরের বাহির পর্যন্ত আসিলেন। বিদায়ের কথা আর কি বলিব ? পথের জন্য দুইটি খচ্চর চোঁদ দোজে মূল্যে কিনিয়া ছিলাম। বন্ধুগণ বলিয়াছিলেন ইহাতে পথ-চলার স্ববিধ হইবে, উপরন্তু কালিম্পং বাজারে দাম ঘা পাওয়া যাইবে डाशरङ भांग्र श्रृंtश्वब्र थंब्रफ़ गयझे यांझांग्न श्रें★। शाझेtश । বন্ধুদের কাছে বিদায়ু লইবার পর পোতলা প্রাসাদের সম্মুখ দিয়া আমাদের সওয়ারী চলিল। এই পোতলা এক দিন স্বপ্লের মত মনে হইত, কয় মাস ধরিয়া ক্রমাগত দর্শনে ইহার মাহাত্ম্য অনেক কমিয়া গিয়াছে। খাওয়া পরা শোওয়া ইত্যাদির সরঞ্জাম বাদে আমরা প্রত্যেকে এক একটি পিস্তল লইয়াছিলাম। ধৰ্ম্মকীৰ্ত্তি পিণ্ডল ঝুলাইয়া প্রবণসী S\రీ88 কাৰ্ত্ত জের মালার উপবীত পরিয়া চলিতেন, আমিও প্রায় তাই। এ দেশের ডাকাতের উৎপাত খুবই বেশী এবং আমরা দুইজন মাত্র লোক, সেই জন্তই এত সজ্জা। আমাদের ইচ্ছা ছিল সো-খণ্ড গিয়া যেখানে দীপঙ্কর ঐজ্ঞান দেহত্যাগ করিয়াছিলেন সেখানকার সেই তারামন্দির দর্শন করিব। দ্বিপ্রহরে গন্তব্যস্থলে উপস্থিত হইয়া যে-গৃহে লাস যাইবার পথে ঠাই পাইয়াছিলাম সেখানেই উঠিলাম। গৃহস্বামী আমাকে চিনিতে পারিল না, যদিও তাহার বেশ মনে ছিল যে এই পথে কিছু দিন পূৰ্ব্বে এক লদার্থী ভিখারীর বেশে লাসা গিয়াছিল। কিঞ্চিং বিশ্রামের পর ভাৱ-মন্দিত্ত্বে কথা জিজ্ঞাসা করায় শুনিলাম তাহ নিকটেই, সুতরাং খচ্চরে চড়িয়া ধাইবার প্রয়োজন নাই। ধৰ্ম্মকীৰ্ত্তি খচ্চরগুলির দানাপানির ব্যবস্থায় রহিলেন, পথপ্রদশিকারূপে একটি বালিকাকে সঙ্গে লইয়া আমি মন্দির দর্শনে চলিলাম। গ্রামের পরই একটি, টিল, তাহার উপর হইতে অদূরে মন্দির দেখা দিল । বস্তৃত মন্দির প্রায় দুই মাইল দূরে, কিন্তু তিব্বভের স্বচ্ছ নিৰ্ম্মল यांबूरङ (यझेद्भ” नकü-अभ श्ध्न । ७झे मन् ि१७ श्रछ অনেক মহত্বপূর্ণ স্থানের স্থায় উপেক্ষিত ও জীর্ণ। ভিতরে তারা-দেৰালয়, বাহিরে বিরাট রক্তচনান-কাষ্ঠের স্তম্ভাবলী, তাহাদের শুষ্ক কর্কশ রূপ আট-নয় শত বৎসরের প্রাচীনত্বের পূর্ণ পরিচয় দিতেছে। এখানকার সাধুমণ্ডলীর সকলেই বালক। পূজারী বালক ও তাহার সহায়কবর্গও বালক । আমি দুই-চারি জানা পয়সা বিতরণ করিতে তাহারা মহা উৎসাহে জামাকে সকল ভ্রষ্টব্য দেখাইতে লাগিল &মন্দিরের ভিতরে দীপঙ্করের ইষ্ট ২১টি তারাদেবীর হুন্দর মূৰ্ত্তি রহিয়াছে। সেই মন্দিরেই বাম দিকে দলাইলামার সীলমোহরযুক্ত বন্ধ লৌহপিঞ্জরে দীপঙ্করের ভিক্ষাপাত্র, দও ও তাম্র-জলাধার ( লোট ) রক্ষিত, সেই সঙ্গে কিছু রৌপ্যমুন্ত্র ও শস্যও রাখা হইয়াছে। মন্দিরের পশ্চাম্ভাগে তিনটি পিতলের সূপে যথাক্রমে দীপঙ্করের পাত্র, সিদ্ধ কারোপার হৃদয় ও দীপঙ্করের প্রিয় শিষ্য ডোম-তোন-পার বস্ত্র রক্ষিত। বামভাগে অমিতাবের মন্দিরের বাহিরের দুইটি জীর্ণ পুরাতন শুপ দেখিতে গিয়া বোধ হইল সদ্ধা জাগতপ্রায়, স্বতরাং গৃহের দিকে ফিরিয়া আসিলাম ।