পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

بسون ۹ سوا প্রষণসী సిv988 ২৬শে মে সকালে রওয়ানা হইলাম। কিছুদূর চলিবার পর মহাসরোবরের শেষ দেখা গেল। তাহার পর বিস্তীর্ণ প্রান্তর, দূরে তুষারাচ্ছাদিত শৈলমাল, নিকটের পর্বত নগ্ন ও শুষ্ক। পথে দেখিলাম তারের থামের উপরে চীনামাটির ইন্সলেটর প্রায় সবই ঢ়িল ছুড়িয়া ভাঙিয়া দিয়াছে। এ-পথে গ্রত্যেক ঘরই লাস-কালিম্প যাত্র ব্র্যাপারদিগের চটি বা সরাই। সম্মুখে এক বিশাল প্রাস্তর, পথ তাহার মধ্য দিয়া চলিয়াছে । অল্পস্বল্প ঘাসযুক্ত ময়দানে ভেড়া চরিতেছে দেখিলাম। বামের অতুাচ্চ ধবল শিখর দেখিয়া মনে হইল যদি তাহার উপর উঠিতে পার! যাইত তবে ভারত ও তিব্বতের দুগু একসঙ্গে দেখিতে পাইতাম। আরও আগে ডাকবাহীদিগের ঘর ছাড়াইয় একটি ছোট নালা পার হইলাম, তাহার পর একটি শুষ্ক থালের পাশ দিয়া দক্ষিণভাগে সমকোণে ঘুরিয়া একঘণ্ট। চলিবার পর উৎরাই আরম্ভ হইল। এখন পাহাড়ের রং বদল হইল, ঘাসও অধিক হওয়ায় অনেক ভেড়ার পাল ও দুই-দশটি চমরীও দেখা গেল, কিন্তু বৃক্ষের চিহ্ন এখনও নাই। এই জনশূন্ত দেশ ছাড়িয়া ফ-র প্রদেশে (ফগ-রী=বরাহ প্রদেশ) প্রবেশ করিয়া বেলা ৩- টায় আমরা ফ-রী জোঙ পৌছিলাম। এখানেও ছু-শিঙ-শার একটি শাখা আছে এবং সম্প্রতি গুভাজু ধীরেন্দ্র বক্স এখানে রহিয়াছেন, স্বতরাং মহা সমাদরে ৯ ২৪•২ টাকায় বেচিতে হয়। নূতন ব্যবসায়ের এইরূপষ্ট ফল হয় । ফ-রী উপত্যকায় বর্ষ যথেষ্ট হয়, ঘাসও প্রচুর, কিন্তু শীতের একোপে কৃষি সুবিধার হয় না । ২৯শে মে আমি যাত্র আরম্ভ করিলাম । ছু-শিঙ-শার ফ-রী শাখার অবসরপ্রাপ্ত কৰ্ম্মচারী এবং সত্বাধিকারীর ভাগিনেয় কাঞ্ছা আমার সঙ্গে চলিল । ইহার বয়স মাত্র আঠার-উনিশ ছিল বুদ্ধি-বিবেচনাও বিশেষ ছিল না। এদিকে তিব্বত, ভূটান ও ভারতের যত ধূর্বের মিলনস্থল ফ-রীতে তাহাকে সৰ্ব্বেপৰ্ব্ব করা হইয়াছিল। নেপালী কারবারের ধরণ অনুযায়ী হিসাব-কিতাবের কোন কড়াক্কড়ি ছিল না, যখন হিসাব লওয়া হইল তখন দেখা গেল বহু সহস্র টাকা লোকসান। সকলে বলিল, জুয়া, মদ্য ও স্ত্রীলোকে সব গিয়াছে। এদেশে মদ্যের বিশেষ দাম নাই, স্ত্রীলোকও তথৈবচ, উপরন্তু কাঞ্ছার ভোটীয়ানী “স্ত্রী" বলিল, সে বিশেষ কিছুই লয় নাই, কেন-ন, সে বয়সে বড় এবং এই ছোকরার উপর তাহার অত্যন্ত টান ছিল । তথন সকলে বলিল, টাকা জুয়াতেই গিয়াছে। আমি বলিলাম, “দোষ তোমাদের । এরূপ অপরিণত-বয়স্কের হাতে এত টাকা ছাড়িয়া দিয়া তাহার প্রলোভন ও কুপ্রবৃত্তির পথ তোমরাই পরিষ্কার করিয়াছ ; আর যদি টাকা উড়াইয়াই খাকে তবে মামার টাকা ভাগিনেয় উড়াইয়াছে, মুতরাং

  • অভ্যর্থনা হইল। এখানকার প্রায় সকল ঘরের মেজেই কাহার কি বলিবার আছে।”

বাহিরের জমি হইতে নীচু এবং নিকটেই জঙ্গল থাকায় গৃহ- : নিৰ্ম্মাণে কাষ্ঠই অধিক পরিমাণে ব্যবহৃত হয়। নিকটস্থ পূর্বে পাহাড়ের উপর দুর্গও ছিল, কিন্তু ১৯০৪ খ্ৰীষ্টাম্বে ব্রিটিশ । অভিযানের ফলে তাহার ধ্বংস হয়। এখান হইতে ভূটান বাম দিকের পাহাড়ের পারে অঙ্কদিনের পথ, তাই প্রত্যহই । বরাহাকৃতি পাহাড়ের জন্ত এখানকার নাম ফ-রী। ভূটানীর দল শাক-সঞ্জী, আনাজ, ফল ইত্যাদি লইয়া একটি অত্যন্ত নীচু-ছাদের অন্ধকার বাড়ীতে হাট বসাইয়া যায়। " খবর পাইলাম, আমার মালপত্রের গাট প্রায় সবই ; যাত্রার পথ প্রথম খানিকট সমতল, তার পর উৎরাই । এবার ঝরণা ও নিঝরের ধারার সংখ্যা বাড়িয়া চলিল, সঙ্গে সঙ্গে হামল তৃণময় উপত্যক। তাহার পর উৎরাই দ্রুত নামিতে লাগিল এবং ক্রমে ঘণ্ট। দুই-তিন পরে আমরা বনস্পতির রাজ্যে আসিলাম । মনে হুইল আমরা যেন অন্ত এক লোকে আসিয়াছি । পূর্ণ বংলরাধিক পরে খাম বনশ্রেণীর শোভা দেখিয়া এবং কালনবিহারী নানাবর্ণের পার্থীর কলকৃজন শুনিয়া চিত্ত পুলকিত হইল। দেবদারুর শ্রেণীতে প্রথমে আসিয়াছে। সতরটি খচ্চর ভাড়া লইয়া কালিম্পং যাত্রার } ছোট ছোট গাছ পরে বিরাট বনস্পতি দেখা দিতে লাগিল । আয়োজন করিলাম। আমার খচ্চরগুলির জন্তু ২৭•২ টাকা দর পাইয়াছিলাম, কিন্তু কালিম্পণ্ডে আরও অধিক পাইবার আশায় বিক্রয় না-করায় শেষে কালিম্পং পৌছিয়া এখানের লোকজনের চেহারাও স্বন্দর এবং তাহদের শরীর ও বস্ত্র পরিষ্কার। বনের হরিৎ শোভা, বিহঙ্গের কাকলী ও পুম্পেন্ন স্বগদ্ধে আনন্দিত মন লইয়া সন্ধ্যার সময়ে আমরা