পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

}% বিবিধ ভািসয়ে আবার ত্রী ও সরোজ পদ্মফুল ও শ্রীর বিরুদ্ধে আধুনিক বঙ্গীয় মুসলমানদের { সকলেরই কিনা অজ্ঞাত ) আপত্তি মরিতেছে না, মধ্যে মধ্যে চাঙ্গ হইয়া উঠিতেছে । আমরা এ বিষয়ে কয়েক বার কিঞ্চিং লিখিয়াছি। আবার লিখিতে হইতেছে। সম্প্রতি বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার এক জন মুসলমান সদস্য ঐ সভায় কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকারী সাহায্যের ছাটাই প্রস্তাব করেন, যেহেতু ঐ বিশ্ববিদ্যালয় পদ্মফুল ও শ্রী শব্দটি নিশানে ও সীলমোহরে ‘প্রতীক’ রূপে ব্যবহার করেন ও যেহেতু ঐ দুটি সাক্ষাং বা পরোক্ষ ভাবে হিন্দু পৌত্তলিকতার সহিত জড়িত। পদ্ম ও শ্ৰী সম্বন্ধে আগে অাগে যাহা লিখিয়াছি, আবার আগাগোড় তাহার পুনরাবৃত্তি করিতে চাই না। পদ্মফুল মুসলমানেরাও ভালবাসেন, এবং শ্রীর যতগুলি অর্থ আছে তাহার মধ্যে সৌন্দর্য, সম্পদ, অত্যুদয় প্রভৃতি মুসলমানদেরও কাম্য। তথাপি যেহেতু শ্রীর মানে হিন্দু দেবীবিশেষও বটে এবং সেই দেবী পৌরাণিক মতে কমলাসন, অতএব পদ্মের মধ্যে স্থিত "শ্র" আপত্তিজনক । বঙ্গের প্রধান মন্ত্রী ফজলল হক সাহেব বলিয়াছেন, তাহার পদ্মে আপত্তি নাই, শ্রতেও আপত্তি নাই, আপত্তি উভয়ের একত্ৰ স’যেfrগ । কথায় অনেকে হাসিয়াছেন, কি । ডাইনামাইট নামক : ' রাসাকি *; ए** বর্ণমালাকেই বাদ দিতে হয়। অ হইতে আরম্ভ করিয়া সমুদয় বা প্রায় সমুদয় অক্ষরেরই অর্থ কোন দেবতা। প্রতীক’ ব্যবহার মুসলমানেরাও করেন। তাহাদের নিশানে এবং মৌলানা সোঁকং আলী প্রভৃতি খিলাফৎ কনফারেন্সের নেতাদের টুপিতে যে চন্দ্রকলা ( “ক্রেসেণ্ট” ) দৃষ্ট হয়, তাহাও প্রতীক। তাহার বলিতে পারেন, তাহারা ঐ প্রতীকের পূজা করেন না। কিন্তু কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়৪ ত পদ্মের চিত্রের মধ্যস্থিত শ্ৰী শব্দটির পূজা করেন ন, ধান করেন না । মুসলমান ধর্মের প্রবর্তন এবং চন্দ্রকলা ইসলামের প্রতীক রূপে ব্যবহারের অগণি বহুবৎসর পুৰ্ব্ব হইতে হিন্দুদিগের দেবতা শিব চন্দ্রশেখর বলিয়া বিদিত। তিনি ভালচন্দ্র, অর্থাৎ চন্দ্র তাহার ললাটের ভূষণ। যাহারা চন্দ্রকলাকে ইসলামের প্রতীকরূপে প্রথম গ্রহণ করেন, তাহারা যদি জানিতেন যে হিন্দুর এক দেবতা চন্দ্রকলাকে ললাটে ধারণ করেন এবং যদি তাহার সরোজশ্ৰী-বিরোধী বঙ্গীয় মুসলমানদিগের মত হিন্দুফোবিয়- বা হিন্দু আতঙ্ক-গ্ৰস্ত বা ঈর্ষ্যপরায়ণ হইতেন, তাহা হইলে ক্রেসেণ্ট বা চন্দ্রকলাকে আপনাদের ধৰ্ম্মের সাম্প্রদায়িক চিহ্ন নিৰ্ব্বাচন করিতেন না । আমরা - ‘দেবের "تعه