পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আণশ্বিন পদ্ম ও শ্রী প্রতীক সম্বন্ধে একটি কনফারেন্সের ব্যবস্থ৷ করিবেন বলায় কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বরাদ্দ ছাটাইয়ের প্রস্তাব প্রত্যাহৃত হয়। কনফারেন্সের ফল যথাসময়ে জানা যাইবে । মুসোলিনীর মুঘল ব্রিটিশ রাষ্ট্রশক্তির প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন মুসোলিনী অনেক দিন হইতে করিয়া আসিতেছেন। এখন তিনি ভূমধ্যসাগরে ব্রিটিশ জাহাজ আক্রমণ করাইতেছেন, এইরূপ সন্দেহ কেবল ইংরেজরা নয়, ফরাসী ও অন্যেরাও করিতেছেন। ‘হ্যাভক’ নামক একটা জাহাজকে সম্প্রতি একটা অজ্ঞাত সবমেরিন আক্রমণ করে, তাহার পর “উডফোর্ড' নামক অার একটা জাহাজকে অজ্ঞাত কোন সবমেরিন টর্পেডো ছুড়িয়া আক্রমণ করে । তাহাতে উহার দ্বিতীয় এঞ্জিনিয়ার নিহত হয় ও আট জন অক্ষ লোক আহত হয় এবং জাহাজটি তিন ঘণ্ট। পরে ডুবিয়া যায়। ইংরেজ ও ফরাসীরা বলিতেছেন, সকলে জোট বাধিয়ু ভূমধ্যসাগরের বাণিজ্যপথ নিরাপদ করিতে হইবে । মানুষ যদি মুঘল সংগ্ৰহ করিতে সমর্থ হয়, তাহা হইলে তাহা ব্যবহার করিবার জন্য তাহার মনটা উসখুধ করা আশ্চর্য্যের বিষয় নয়। ইটালীর প্রভুর নাম মুঘল হইতে মুসোলিনী হইয়াছে, এরূপ যেন কেহ মনে না করেন । ব্যাকরণ অনুসারে এরূপ অকুমানে একটা বাধা ও অাছে। সংস্কৃত ও বাংলায় নামের শেষে "ইনী" থাকিলে সেটা স্ত্রীলোকের নাম হয় । তবে আজকাল তার ব্যতিক্রমও হইতেছে। একটা কল্পিত দৃষ্টাস্ত লউন । কোন বালকের নাম তাহার পিতামাতা “ভামিনীরঞ্জন রাহা” রাখিলে পুত্র লায়েক হইবার পর নিজের নাম সহি করেন “ভামিনী রাহ”—লোকেও তাহাকে ভামিনী বলিয়া ডাকে। মুসোলিনীকে কিন্তু কোনক্রমেই কেহ ভামিনী মনে করিতে পরিবে না—যদিও স্বভাবট। তার কোপন বটে। এত দূর লিখিবার পর দেখিলাম, আরও একটি জাহাজ টর্পেডে করা হইয়াছে । ] বিবিধ প্রসঙ্গ—জমিদার ও রায়ত سي عصوا بصوب জমিদার ও রায়ত আগ্র-অযোধ্যা, বিহার, বাংলা, ও উড়িষ্যায় জমিদার ও রায়তের স্বার্থের বৈপরীত্য বহু পূৰ্ব্ব হইতেই লক্ষিত হইয়া আদিতেছে । বর্তমান সময়ে আগ্রী-অযোধ্য, বিহার ও উড়িষ্যা প্রদেশের ব্যবস্থাপক সভায় কংগ্রেসী সদস্যদের সংখ্যাধিক্য হওয়ায় তথায় কংগ্রেস-গবন্মেণ্ট স্থাপিত হইয়াছে। ব্যবস্থাপক সভাগুলির সদস্য নিৰ্ব্বাচনের সময় কংগ্রেসী প্রার্থীরা বলিয়াছিলেন তাহারা নিৰ্ব্বাচিত হইলে রয়তদের দুঃখ মোচন করিবেন। বাংলা দেশের ব্যবস্থাপক সভায় কংগ্রেসী সদস্যদের সংথ্যাধিক্য হয় নাই বটে, কিন্তু, ভারত- . শাসন আইনের ব্যবস্থা অনুসারে মুসলমান সদস্যদের সংখ্যা অন্য যে-কোন দলের সদস্যদের চেয়ে বেশী, এবং মুসলমান সদস্যদের মধ্যে অনেকেই কৃষক-প্রজা সমিতির সমর্থন পাইয়৷ নিৰ্ব্বাচিত হইয়াছিলেন । তদ্ভিন্ন, বঙ্গে রায়তদের মধ্যে মুসলমান বেশী ও জমিদারদের মধ্যে হিন্দু বেশী, মুসলমান কম। সেই জন্য বঙ্গে জমিদার ও রায়তের দ্বন্দ্ব অনেকটা হিন্দু-মুসলমান বিরোধের আকার ধারণ করিয়াছে। অন্ত তিনটি প্রদেশে যেমন কংগ্রেসীদের প্রাধান্যবশতঃ রায়তদের দুঃখমোচনের চেষ্ট হইতেছে, বঙ্গে তেমনি মুসলমানদের ও কৃষক-প্রজাদের প্রাধান্যবশতঃ রায়তদের দুঃখমোচনের চেষ্ট হইতেছে । রায়তদের দুঃখমোচন একান্ত ৭. শকু, ও একান্ত কর্তব্য। কিন্তু জমিদারদের ন্যায্য অধিকারে হস্তক্ষেপ না করিয়া তাঙ্গ করা উচিত। এ বিষয়ে কোনও পক্ষের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করিবার কোন কারণ আমাদের মত এমন অনেক সম্পাদক ও সাংবাদিকের নাই যাহারা কোন পুরুষে জমিদার ছিলেন না এবং এখনও যাহারা জমিদার নহেন, রায়ুতও নহেন } জমিদারদের মধ্যে অনেকে অলস ও অত্যাচারী ছিলেন ও আছেন, ইহা সত্য হইতে পারে । কিন্তু সকলের সম্বন্ধে ইহা বলা চলে না। অত্যাচার নিবারণ দৃঢ়তার সহিত করা গবষ্মেন্টের একান্ত কৰ্ত্তব্য। তাহার জন্য নূতন আইন প্রণয়ন আবশ্বক হইলে তাহাও করা উচিত। কিন্তু আইন করিয়া আলস্য দূরীভূত করা যায়ঃনা। অবশু, যদি রাষ্ট্রয় ও সামাজিক বিপ্লব দ্বারা এমন

  • いs * ,