পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

كالاسوسية পাটনায় প্রবাসী বঙ্গসাহিত্য সম্মেলনের অধিবেশন প্রবাসী বঙ্গসাহিত্য সম্মেলনের আগামী অধিবেশন বিহারের রাজধানী পাটনায় হইবে। বিহার দীর্ঘকাল বঙ্গের সহিত এক প্রাদেশিক শাসনের অধীন ছিল এবং বঙ্গে পাশ্চাত্য শিক্ষার বিস্তার বিহারের আগে ও বিহারের চেয়ে বেশী হইয়াছিল। সেই জঙ্ক, রাজকাৰ্য্য উপলক্ষ্যে ও রাজকাৰ্য্যসংশ্লিষ্ট ওকালতী অাদি কাজে অনেক বাঙালী বিহারনিবাসী হইয়াছিলেন। তাহার পর, যখন বিহারকে বাংলা হইতে পৃথক শাসনের অধীন করা হইল, তখন বাংলাকে বঞ্চিত করিয়া মানভূম জেলা প্রভৃতি বঙ্গের কোন কোন জঙ্গকে বিহারের সহিত জুড়িয়া দেওয়া হইল। এই কারণে, ব্রিটিশ গবক্সেণ্ট খাহাকে বিহার প্রদেশ বলেন, এরূপ বন্ধ লক্ষ বাঙালী তাহার অধিবাসী পরিগণিত হইলেন ধাহাদের পূর্বপুরুষেরা অনেক শতাব্দী ধরিয়া বঙ্গের অঙ্গীভূত নানা স্থানে বাস করিয়া আসিতেছিলেন। বিহার প্রদেশে বহু লক্ষ বাঙালীর অবস্থিতির ইহাই ইতিহাস ও কারণ। যে-প্রকারেই হউক, বিহারে অনেক বাঙালীর বসবাস -খটিয়াছে । ব্যক্তিগতভাবে প্রত্যেক বাঙালী) প্রত্যেক दिशन्नैौ च८°फ cथ8 न श्रणe, विशन्नैौtभद्र मt५] বিদ্যাবুদ্ধিপরার্থপরতায় শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি থাকিলেও, সমষ্টিগত ভাবে বাঙালীরা শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে ঐ প্রদেশের লোকদের মধ্যে অগ্রগণ্য। উহাদের মধ্যে বিদ্যাবুদ্ধিতে অগ্রগণা অনেক লোক আগে ছিলেন, এখনও আছেন। তাহারা বিত্তহীনও নহেন। সম্প্রতি সরু মন্মথনাথ মুখোপাধ্যায়, ভক্টর দ্বারকানাথ মিত্র প্রভৃতি পাটনায় গিয়া তাহাম্বের দল পুষ্ট করিয়াছেন। সুতরাং প্রবাসী বঙ্গসাহিত্য-সম্মেলনের পাটন। অধিবেশন সাফল্যমণ্ডিত ও স্মরণীয় করিবার নিমিত্ব যাহা কিছু আবশ্বক, তাহী বিহারে অাছে, পাটনায় আছে। তথাকার বাঙালীয়া কিরূপ আয়োজন করিতেছেন, সমগ্র ভারতের বাঙালীরা ক্রমে ক্রমে তাহ জানিতে পারিবে । বঙ্গীয় সাহিত্য সম্মিলনের কৃষ্ণনগরে অধিবেশন ভবানীপুরে বঙ্গীয় সাহিত্য সম্মিলনের অধিবেশনের সাত প্রবণসী స్ప్రిలి98 বৎসর পরে চন্দননগরে তাহার অধিবেশন গত বৎসর হইয়াছিল। এ বৎসর কৃষ্ণনগরে তাহার অধিবেশন হইবে । কৃষ্ণনগরের পৌরজনের কাজের আরম্ভ ইতিমধ্যেই করিয়াছেন অবগত হইয়াছি । কৃষ্ণনগর শহর ছাড়া সমগ্র নদীয়া জেলারও যে এ বিষয়ে দায়িত্ব ও কর্তৃবা আছে, তাহা আগে একবার লিখিয়াছি । তাহারা সেই কৰ্ত্তব্যপালনে ' অবহিত হইলে কৃষ্ণনগরের লোকদের দায়িত্বভার কিছু কমিবে। কলেজে না-পড়িয়া আই-এ ও বি-এ পরীক্ষা দেওয়া কলিকাতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান নিয়ম অনুসারে কোন ছাত্র যদি কলেজে না-পড়িয়া আই-এ বা বি-এ পরীক্ষা দিতে চায়, তাহা হইলে তাঁহাকে কোন বিদ্যালয়ে শিক্ষক হইতে হয়, নতুবা সে পরীক্ষা দিতে পারে ন, এবং সে মূনকল্পে মাটিকের তিন বৎসর পরে আই-এ এবং আই-এর তিন বৎসর পরে বি-এ পরীক্ষা দিবার অধিকারী বিবেচিত হয়। তাহার পূৰ্ব্বে নহে। কলেজে না-পড়িয়া অভ্যস্ততঃ তিন বৎসর পরে পরীক্ষা দিবার অধিকারের এই যে নিয়ম, ইহা অযৌক্তিক নহে। কারণ, যে কলেজের ছাত্ররূপে পরীক্ষা দেয়, সে নিজের পড়াশুনা করিবার যত সময় পাইতে পারে, যে শিক্ষকরূপে পরীক্ষা দেয় পরীক্ষার বিষয় ও পুস্তকগুলি অধিগড় করিবার ডাহার তত অবকাশ থাকে না। কিন্তু শিক্ষকতা না করিলে কেহ কলেজে না-পড়িয়া পরীক্ষা দিতে পারিবে না, এইরূপ নিয়ম সম্পূর্ণ যুক্তিসঙ্গত নহে। ইহা একেবারেই অযৌক্তিক, এমন কথা অবগু বলা যায় না। কারণ, শিক্ষকের কাজ ভাল করিয়া কfরতে হইলে, শিক্ষকের জ্ঞান ক্রমবর্ধমান হওয়া আবশ্বক এবং এই ক্ৰমবৰ্দ্ধমান জ্ঞান পরোক্ষভাবে উচ্চতর পরীক্ষাদানের যোগ্যতা বাড়ায় । কিন্তু শতকরা কয় জন শিক্ষকের জ্ঞান ক্রমবৰ্দ্ধমান ? অফ দিকে, অল্পশিক্ষাপ্রাপ্ত যে-সব লোক শিক্ষকতা লাকরিয়াও পুস্তক, সাময়িক পত্র ও সংবাদপত্র পড়িয়া নিজেদের জ্ঞান বাড়ায়, তাহদের সংখ্যা নিতাস্থ কম নয়। ইহাদের মধ্যে কতকগুলি লোক বেকার,