*\s প্রাচুর্য্যের মধ্যে আত্ম-সমর্পণ করিয়া দেয় কেহ বলিতে পারে না। কোন রাত্রের অন্ধকারে কিশোর বালক বাল্যলীলার মাঝখানে ঘুমাইয়া কোন যৌবন-প্রাতে জীবনের নূতন রসের সন্ধানে ছুটিয়াছে কেহ কি জানে ? কিন্তু দূর হইতে ইহাদেরও যেন একটা সীমারেখা দেখা যায়। স্বধী কথন যে জীবনের পথে শৈশবকে পিছনে ফেলিয়া আসিল তাহা সে নিজে বলিতে পারে না, কিন্তু স্কুলের পর্ব শেষ করিবার বৎসর খানিক পরে অনেক সময় সে দূর হইতে যেন কলিকাতায় নবাগত সুধার দিকে মমতার সহিত ডাকাইয়া দেখিত। আজিকার সুধা সে সুধা নয়। তাহার জীবনের গতি কোথায় যেন একটু মোড় ফিরিয়া গিয়াছে, তাহার প্রসার অনেকখানি বাড়িয়া গিয়াছে । শৈশবে ও কৈশোরে জীবনে যে সম্পদ সে অর্জন করিয়াছিল তাহ হারাষ্ট্রয়া যায় নাই, কিন্তু নূতন জীবনের যাত্রাপথে অসংখ্য বৈচিত্র্যের অন্তরালে তাহারা যেন একটু চাপা পড়িয়া গিয়াছিল। হৈমন্তীর প্রতি সুধার টানে কিন্তু কিছুমাত্র ভাট পড়ে নাই । বরং তাহার মনে একটা অভিমান জমা হইয়া উঠতেছিল যে মিলি-দিদি রেঙনে চলিয়া যাওয়ার পর হইতেই হৈমন্তী যেন ধীরে ধীরে কেমন একটু বদলাইয়া যাইতেছে। সেই স্বল্পভরা চোখ, সেই ধ্যানমগ্ন ভাব সবষ্ট আছে, কিন্তু তাহার স্বপ্ন, তাহার ধ্যানের রূপ যেন পরিবর্কিত হইয়া যাইতেছে । সে এখন স্বপ্নে ধ্যানে যে-লোকে বিহার করে সেখানে স্বধা যেন প্রবেশপথ খুজিয়া পায় না ; বুধকে যেন পিছনে ফেলিয়া সেখানে সে ব্যাকুল আগ্রহে ছুfয়া চলিয়। যাইতে চায় । সুধা তাহণকে দৈবাৎ সচেতন করিয়া দিলে হৈমন্তী মধুর হাসিয়া স্বধার দুষ্ট হাত চাপিয়া ধরে, বলে, “সুধা, তুমি আমাকে কি ভাব ? আমার উপর খুব রাগ কর তুমি, না ?” কেন যে স্বধা তাহার উপর রাগ করিবে একথা হৈমন্তী স্পষ্ট করিয়া বলে না, তবু যেন স্বীকার করে কোন একটা কারণে সে তাহার বন্ধুত্বের মধ্যাদা রক্ষা করিয়া চলিতে পারিতেছে না, বন্ধুর একাগ্রচিত্ততার প্রতিদান সে দিতে পারিতেছে না। স্বধা কিছু বলিত না, কিন্তু ক্ষুন্ন হইত কেন হৈমন্তী তাহার কাছে মনের কথা বলে না, হৈমন্তীর মনে কি বেদনা, কি স্বপ্নের মায়া তাহাকে আপন-ভোলা প্রৰণসী ১৩৪৪ করিয়াছে সুধাকে বলিলে সে ত খুশীই হইত, হৈমন্ত্রীর দুঃখ মুখ সব কিছুকে আপনার করিয়া লইবার ক্ষমতাতেই ত তাহার বন্ধুত্বের মূল্য । সন্ধ্যার পর হৈমন্ত্রীদের বাড়ীতে গেলে হৈমন্তী মুধাকে লইয়। ছাদের উপর চলিয়া যাহত । সূৰ্য্যাস্তের সোনালী রং তখনও আকাশের গায়ে একটুখানি লাগিয়া আছে, পিছন হইতে রাত্রির অন্ধকার ছায়া অৰ্দ্ধেক আকাশ ঢাকিয়া ফেলিয়াছে। ছাদে বসিবার জন্য তৈমস্তী একটা সস্তা মাদুর সংগ্ৰহ করিয়া আনিড, কিন্তু সেখানে তাঙ্গদের বসা হঠত যেখানে ছাদের আলিসার উপর হৈমন্তীর জ্যাঠাই মা ঘিয়ের টিমে মাটি দিয়া বেল ও যুক্ত ফুলের গাছ লাগাইয়া ছিলেন, হৈমন্তীও একটা রঙীন চীন টবে রঞ্জনীগন্ধার ঝাড় গন্ধের মধ্যে অলিসার अ1 { বসাকুয়াছিল, সেইপানে ফুলের উপর হেলান দিয়া তাহারা দাড়াহঁত ! হয়ত হৈমন্থী গুনগুন করিয়া গান ধরিত, "মিলাব ময়ল তল নয়নের সাথে রাখিব , হাত ত’ দ - "ন্তে , সুস্থ ম স্তে হু গ %ি; , , - - তাহার হাত সুধার হাত দুপানির ভিতর থাপিত, কিন্তু তাহার দৃষ্টি কোন সুদূরের পথে চলিয়া ধাইত, তাহা নিশ্বাস গভীর হইয় ফুলের গন্ধের ভিতর মিলাঃ য়ু ধাইত । তৈমষ্টী বলিত, তোমার মুখে ভাঙ্গ ঐ গানটা ভাfর সুন্দর লাগে, তুমি গাও না' -- “ওগো সুদূর বিপুল শুদূৰ তুমি যে হাফ ব্যাকুল ইশার । BB Btt SB gg BB GGg E BB D DD Kgg S সুধা গাহিবার সঙ্গে সঙ্গে ত্মৈস্থী ধরিত, “দিন চলে যায়ু, আমি আনমনে তারি অাশা চেয়ে থাকি পাতায়.ে ওগে। প্রাণে মনে আমি য তাঙ্গার পরশ পাবার প্রয়াস ।" হৈমন্তীর দৃষ্টি সজল হইয়া উঠিত, তাহার চোখে এমন করিয়া জলকণ কাপিয়া উঠিতে স্বধী কখনও দেখে নাই । কেন হৈমন্তী কোন কথা বলে না, সুধার মন ব্যথায় ভরিয়া উঠিত। কিন্তু সে ব্যথা সে বেদন কি শুধু হৈমন্তীর জন্য । স্বধী বুঝিতে পারিত, এ বেদনা স্বধু হৈমন্ধীর বেদনার সহানুভূতি নয়, কোন স্থদ্বরের আকুল পিয়াস তাগর বক্ষেও জাগিয়া উঠিয়াছে, সেও যেন কাহার আশা-পথ চাহিয়া
পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।