পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭৬ প্রবাসী ১৩৪৪ স্বরের অন্তরাল দিয়া ওই নবীন প্রাণ কাহাকে কি বলিতে 5ß | হৈমন্তী কোমরে আঁচল জুড়াইয়া ট্রের ভারে ঈষৎ হেলিয়া উপরে আসিয়া পড়িলে ছেলেদের মধ্যে কোলাহল পড়িয়া যাহত, স্থধার চিস্তার ধারা কাটিয়া যাহত । সরবতের পর সেতার বাজিত হয়ত নূতন শেখ। কোনও গানের স্বর সকলের মুখে গুন গুন করিয়া ফুটিয়া উঠিত । এ-পাশের শু-পাশের বাড়ী হইতে মেয়েরা গানবাজনা শুনিবার জন্য জানাল কি ছাদের আলিশা হইতে মুখ বাড়াইত। তার পর আবার ইস্কুল কলেজ, স্বদেশী গানবাজনার কত ছোট ছোট কথা উঠিত, যাঙ্গর আয়ু এক মুহুর্তের বেশী নয়। মহেন্দ্র অনেক সময় গম্ভীর স্বরে বলিত, “মাতুষের জীবন কি এই রকম ছোট কথার আলোচনাতেই নষ্ট করবার জন্তু ? জীবন ত খুব লম্ব। জিনিষ নয়, দু-দিনেই ফুরিয়ে যাবে, তাকে হিসাব করে খরচ করা দরকার ” তপন বলিত, “কথা হাল্ক ব’লেই নিঃশ্বাসের বায়ুব মত মানুষের প্রাণকে বাচিয়ে রেখেছে। গুরুভার কথাকে পরিপাক করা যায় না। ভারী হাওয়ায় নিশ্বাস আটকে যায়, ভারী খাবারে বদহজম হয় একথা মান ত!” মহেন্দ্র বলিত, “তাই বুঝি তুমি এত হাল্কা কথা বল যে কালে শোনা যায় না ?” নিখিল বলিত, “কেন, গানের স্বরের চেয়ে সুমিষ্ট কথা কি আর কিছু আছে ? ও কথা বলে গানে, কিন্তু কাজ করে কোদাল কুপিয়ে ।” মহেন্দ্র বলিত, “ও, আহ বেগ ইওর পার্ডন, তুমি যে ব্যাক টু ভিলেজের বড় পাণ্ড, তা ভুলে গিয়েছিলাম। বাস্তবিক এ-বিষয়ে আমাদের মধ্যে কখনও ভাল ক'রে আলোচনা হয় না, এটা বড় দুঃখের বিষয় । এক দিন একটা বন্ধু-সভা ডাকা যাক, কি বল ? কার কি মত ঠিক জানা যাবে। আমার মনে হয় না এই উন্নতির যুগে মানুষের আবার পিছন ফেরা উচিত।" হৈমন্তী বলিত, "মহেন্দ্র-দ, গাছের পরিণতি তার ফুলে ফলে, কিন্তু তাই বলে তার শিকড়গুলোকে কেটে ফেললে উন্নতির পরাকাষ্ঠী হয় না । গ্রাম যে আমাদের প্রথম ধাত্রী, তাকে এক গণ্ডুষ জল দিতেও যদি আমরা ভুলে যাই, তাহলে আমাদের প্রাণে রস জোগাবে কে ?” মহেন্দ্র বলিত, “কেন, গ্রামকেও কি ক্রমশ শহরের এাদর্শে তুলে আনা যায় না । শহরের যা মন্দ তা বাদ যাবে, যদি প্রতি গ্রামই শহর হয়ে ওঠে। তাহ’লে শহরে মামুষের ভীড়ে স্বাস্থ্য খারাপ হবে না। রোজগারী পুরুষরা চলে আসাতে গ্রামে স্ত্রীলোক বেশী আর সহরে পুরুষ বেশী হয়ে ব্যালান্স নষ্ট, নীতি দুষ্ট হবে না। যে যার নিজের গ্রামে বসে নাগরিক সুখ সুবিধা ভোগ করবে ।” স্বধ অনেক ক্ষণ পরে কথা বলিত, কারণ গ্রাম তাহার জন্মভূমি, শৈশবের লীলাভূমি। সে বলিত, “যদি গ্রামে বসে আমরা মিউনিসিপ্যাল মার্কেটে ফল কিনি, বাথ-টবে স্নান করি, চড়ে কাপড়েব দোকালে য’ক, লণ্ডিতে কাপড় কাচাই, তা হলে যে-মাটির পৃথিবীতে ૮તાન ૬ fજન જtહદી মোটর আমরা জন্মেছি, তার স্পর্শ জীব.ে তবে না ; আমরা কল হয়ে উঠবে কিন্তু জীবনের শ্রেষ্ঠ আনন্দ ও সৌন্দয্য থেকে কথোনি যে বঞ্চিত হলাম সেট জানবার সুযোগ পর্য্যস্ত পাব মা । লাগিয়ে তার সাদা ফুলগুলি ফোট থেকে লাল টকটকে পাক লঙ্কাটি পাড়া পৰ্য্যস্ততে গ্রামের মেয়ে যে আনন্দ পায়, শহরে এক পয়সায় এক মুহুর্বে এক ঠোঙা লঙ্ক কিনে শহুরে মানুষ কি সে স্বপ্ন পায় ? সে কেনে পয়সার বদলে শুধু মশলা, আর এ পায় প্রতি পায়ে পায়ে নূতন আনন্দ আধ মাইল হেঁটে গিয়ে গ্রামের ছেলেমেয়ের যখন রোদপোড়! শরীর নিয়ে নদীর জলে ঝাপিয়ে পড়ে তখন সেই স্রোতের শীতল জলের ভিতর যে স্নিগ্ধতা সেই খোলা আকাশের নীচে জলধারার মধ্যে যে মুক্তি স্বানের ঘরে টবে বসে শহরের ছেলেমেয়ে কি কথনও ত কল্পনা করতে পারে ? জীবনের অনেক নিfবড় আনন্দেং সঙ্গে শহরের ছেলেমেয়ের কথম পরিচয়ত হয় না।” মহেন্দ্র বলিল, “আপনি ভ বেশ পয়েণ্ট ধরে তর্ক করতে পারেন । আপনার কি ইচ্ছ যে আমরা আবার সব সে বৈদিক যুগে ফিরে যাত ? মেয়ের ঘরে ঘরে দুধ দুইবে ছেলেরা লাঙল চালাবে আর গাছতলায় বসে বেদগা করবে।” fমঞ্জের হাতে লস্ক গাছ