বৈশাখ সুধা বলিল, “তা মেয়ের ঘরে ঘরে বসে মোট হওয়া আর ছেলেরা চোখে চশমা দিয়ে ডিসপেপসিয়া করার চেয়ে তা অনেকট ভাল বইকি !” নিখিল বলিল, “ভাগ্যিস আমার চোথে চশমা নেই, ন৷ হ’লে আমি ত একেবারে ডিসকোয়ালিফায়েড হ’য়ে যেতাম । যাই হোক তপন তোমারই জয় জয়কার । বল দেখি তোমার আদর্শ গ্রামে কোন চাকরি খালি আছে কি না । তাহলে আমরাও সব সেখানে ঢুকে পড়ব ।” তপন বলিল, “আমার গ্রামের লোকের চাকরি করে তারা লাঙল চালায়, কোদাল কোপায়ু, চরক! কাটে, তাত বোমে ” ब्राँ ! হৈমন্তী বলিল, “মিথিলদা’র ঠাট। আপনাদের গ্রামে কি রকম কাজ সব হয় সত্যি বলুননা !" গুলবেল ল । তপন খুব বেশ কথা বলে মন । সাধারণ সব কাজ আর কি ! সে বলিল, “এই ভাঙ্গ দলবদ্ধ হয়ে করা আর বুদ্ধি থাটিয়ে বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে একটু উন্নতি কর । আমি মুপে আর কি বলব ? আপনার একদিন গিয়ে দেখে এলে ত বেশ হয় ।” হৈমন্ত্রী যাইতে তৎক্ষণাং রাজি । যেতে দেম নিশ্চয় যাব সবাই দল বেঁধে ।" “বাবাকে বলি, যদি মিথিল বলিল, “খালি মহেন্দ্রকে বাদ দেওয়া হবে । ও সেখানে কিনা কি চেয়ে বসবে তার ঠিক কি ৷” নীচতলা হইতে ডাক আসিত, সেদিন সতু আসিয়া বলিল, “মহেন্দ্র-দ, জ্যাঠাইমা বললেন আজ আপনার এখান থেকেই খেয়ে যাবেন ।” নিখিল বলিল, “আর আমরা ? হৈমন্তী হাসিয়া বলিল, “বোকা ছেলে, সকলেব নাম বলতে পার না ? প্রত্যেককে বল ।” সতু বলিল, “দিদি, সুধাদি, মহেন্দ্রদ, নিখিলদ, তপনদী আপনার সবাই দয়া ক'রে আমাদের সঙ্গে দুটি শাক-ভাও থাকেন চলুন।" সভা ভাঙিয়া গেলে দূরের ঘড়িতে ঢং ঢং করিয়া নয়ট বাজার শক শুনিতে শুনিতে সকলে নীচে নামিত । ૨. આ হৈমউীদের বাড়ী হইতে রাত করিয়া ফিরিলে স্বধার অলখ-বে।ণরণ ግግ ভাল করিয়া ঘুম হষ্টত না । মাথার ভিতর অনেক রাত পৰ্য্যস্ত কত কথা যে ঘুরপাক খাইত তাহার ঠিক নাই । মুখে সে সেখানে খুব কমই কথা বলিত ; কিন্তু ফিরিয়া আসিয়া মনে মনে কাহারও ব যুক্তি খণ্ডন কাঙ্গার ও বা পক্ষ সমর্থন অনেক রাfয় পৰ্য্যস্ত চলিত । অপর পক্ষের হইয়া নুতন নুতন কথার অবতারণ সে আপনার মনেই কfরত, আবার তাহার উত্তর ও নিজেই দিত। কে ধে কি রকম কথা বলিবে তাহার একটা খসড়া তাহার কাছে ধেন লেথ থাকিত । প্রত্যেকের মুখে প্রত্যেকের মত কথা দিয়া এবং নিজে তাহার জবাব দিয়া যে নৈপুণ্য সে দেখাহত, তাহাতে তাহার মনট। খুশী হইত। কিন্তু এমন করিয়া একটা কথাও যে সে বলিতে পারে মা, ইহাতে তাহার দুঃখ ও তহঁত ! তাতার ইচ্ছা করিভ মহেন্দ্রের সব কুট তর্ক ও নিপিলের রসিকতার জবাব সে বিছানায়ু শুইয়ু নিজের মনে যেমন করিয়া দেয় তেমন করিয়াত দিতে পারে ; কিন্তু সে জগনিত কথা বল সম্বন্ধে অহেতুক লজ্জাকে সে অল্প দিনে কাটাহয়; উঠিতে পাfরবে না । তাহাড়ের সামলে ও ঘেল তপন তাহারই মত কম কথা বলে, তাহার হইয়া ও সুধা মহেন্দ্র ও নিখিলের অনেক কথার জবাব নিজের মনে দিয়? রাখিত । এ জবাব কখনও কাহারও কানে পৌছিত না । কিন্তু সুধী কলেজে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে তাহার পড়াশুন অনেক বাড়িয়া গিয়াছে, এখন কলেজে যাইবার আগে সকালে ও fফরিবার পর সন্ধ্যায় যেটুকু সময় সে পায় তাহাতে তাহার সংসারের কাজ ও কলেঞ্জের কাজ হুইয়া উঠে না । কাজেই সকালে তাহাকে উঠিতে হয় ভার পাচটায়, রাত্রেও যখন শুইতে যায় তখন প্রায় এগারটা বাজে, পথে “কুলুফি মালাই”এর ডাক থামিয়া গিয়াছে, শেষ ট্রামণ্ডল লোক ভারের অভাবে ঘড়াং ঘড়াং আওয়াজ করিয়া নাf8য় চলিয়াছে, ফুটপাথে ও বাড়ীর বাfহর দিকের রোয়াকে ও বাংলায় সারি সারি ছিন্নবাস কুলি মজুর গুইয়া পড়িয়াug । হোলির দিনের আগে বাড়ীর সামনে ংি দুস্থানী ফিরিওয়ালার সারা দিনের কচুরি, ঘুনি, গজ, ইত্যাদির ফিরি সারিয়া পুকুরের ধারে ছারপোক-ভত্তি খাটোলা ও থাটিয়া পাতিয়া রাত্রি একটা দুটা পৰ্য্যস্ত থস্থানী ও ঢোল পিটাহয় এক স্বরে গান গাহিয়া চলিত। বিছানায়ু শুইলেও
পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।