পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰবাসী—-আষাঢ়, ১৩২৪ [ ১৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড ভারতীয় স্থায়ী বাসিন্দার বহুবিবাহ ঐ উপনিবেশে যাইবার তৃতীয় প্ৰস্তাব। দ্বিতীয় প্ৰস্তাৰ অনুসারে কা পূৰ্ব্বে হইয়া গিয়াছে বলিয়া প্ৰমাণ অাছে, তাহারা একটা করা অসম্ভব হইলে, মী থিা স্থায়ী বসবাসের নিৰ্দিষ্ট সময়ের মধ্যে স্বী ও সন্তানদিগকে আনিতে পানিবে, বিদেশগামা গণে ভারতবৰ্ষ ও বিশেষ বিশেষ উপনিবেশের তাহার পর আর কেহ একাধিক শ্ৰী বা তাহার সন্ধান মধ্যে ব্যতীহার হবে যদি কোন উপনিবেশ এই দুই আনিতে পাব্লিবে না। বিবাহিতা নারীদের প্রতি সুবিচার বামের ভারতীয় মাত্ৰীকে কিতে না দেয়, তাৱতবৰ্ষ করিবার জয় এই নিয়ম কবিতে বলিতেছি তাছা হইলে ঐ উপনিবেশের এই দুরকম যাত্ৰী এদেশে প্ৰথম প্ৰস্তাবে ইহাও বলা হইয়াছে, যে, অন্যান্ত বিধয়ে, আসিতে দিবেন না পরিস্কার কবিয়া মানিয়া ইতে স্বাকী ভারতীয় বাসিন্দাদের সুবিধা ও অধিকার স্থায়ী হইবে, যে, জাতিগত প্ৰতিকুল সংঘাথ (ncial prejudic জাপানী বাসিন্দাদের চেয়ে কম হইবে না । ইয়া মঞ্চের ভাল, বশতঃ কাহারও প্ৰবেশ নিধি হইবে না, কেবল ভারতা কারণ এখন আমাদের সুবিধা ও অধিকার জাপানীদের ও উপনিবেশ-বিশেধের নোৎপাদনাদি বিষয়ক পাৰ্থবো চেয়ে কম আছে। কিন্তু আমরা ব্রিটিশ সামালোর অধিবাসী জনাই (owing to different economic condition) জাপানীরা নহে । সুতরাং আমাদের সুবিধা ও অধিকার হইবে জাপানীদের চেয়ে বেশী এবং ব্রিটিশ সামাজোর শ্বেত এই তৃতীয় প্ৰস্তাবটিতে আমরা কখনই সম্মত হতে অধিবাসীদের সমান হইলে ব্রিটিশ সামালোর মধ্যে সাম্য পারি না। প্রকৃত এবং সাব্য ধাতীয়া হইতেছে এই স্থাপিত হয়। আমরা কিন্তু চাই যে আমাদের ৪ জাপানী- যে, তোমরাও আমাদের দেশে আসিয়া কোন প্ৰকাৰে দেয়, উভয়েই অধিবার শ্বেত ব্রিটিশ প্রজাদের সমান রোগার করিতে পারবে না, আমরাও তোমাদে গোল উক । যাহা হউক, আমাদের অধিকার জাপানীদের গিয়া কোন উপায়ে রোজগার কবিতে পারিব না । অথ চেয়ে কম হইবে না, ইহা মানে, অস্বতঃ সমান হইবে তোমরাও পরিবে, আমরাও পাৰিব। কি উপায়ে যোদা বেশীও লাইতে পারে সুতরাং যদি আমাদিগকে বেশী করা হতে পারিখে বা পরিবে না, তাহা বেতাৰে নিৰ্দেশ অধিকার দিয়া পুরে জাপানীদিগকেও তাপ অধিকার দেয়া করা হইছে, তাহ ভারতবাসীদিগকে ঠকিতে হৰে হয়, তাহা হইলে কাহারও মন ক্ষু দুনী ঔপনিবেশিকো মজুৱা করিবার জন্তু বা স্থায়ী বাথি দ্বিতীয় প্ৰস্তাব সম্ভব হইলে, উপনিবেশে মজুৰী বা হইবার জন্য এদেশে মাসে মা ; জল্প আসিবার তাবাদে বসবাসের জন্ম ভবিষাতে ভারতীয়দেৱ প্ৰবেশ অনু কোন দরকার নাই । তাহারা সরকারী বা বেসরকারী চাকী এসিয়াজাত লোকদের প্রবেশের বিধি অপেক্ষা কম সুবিধা বাণিজ বাথান স্থাপন, এই সব করে তাহাতে যা জনক বিধি দ্বারা নিয়মিত হইবে সধব হইলে’ হইবে না। ভ রতবর্ষে লোকরা কানাডা, দক্ষিণ অা কথা হাঁটতে আপত্তি আছে। উহা উঠিয়া যাওয়া উচিত। অষ্টেলিয়ে প্ৰভৃতি দেশে ী করিতে ও তথাকায় স্থা দ্বিতীয় মন্তব্য এই যে আমরা ব্রিটিশ সামাজ্যের অধিবাসী বাসিন্দা হইতে যাইতে চাহিতে পারে ; অনেকে সুতরাং অন্য কোন এশিয়াবাদী জাতিৰ সঙ্গে তুলনা না গিয়াছে ইহাতে এনে যেমন বাধা আছে, তা করিয়াই অামাদিগকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া কৰ্তব্য থাকি য়া যাইবে সুতরাং এই তৃতীয় প্ৰস্তাব আলী মন্তব্য এই, যে, এশিয়ার লোকেরা ইউরোপের লোকেদের ব্যতীহারে আমাদের গতি আছে, ঔপনিবেশিক চেয়ে নিকৃষ্ট বলিয়া কেন ধরিয়া লণ্ডয়া হয় ? ইউরোপের কোন গতি নাই । কথামালার শৃগাল ও সায়সের যত শ্বেত ভবঘুয়ো এশিয়ার সব লোকের চেয়ে সুবিধাজনক মনে পড়িতেছে। শৃগাল সারসকে থাইতে নিমন্ত্ৰণ কৰি, নিয়মে ব্রিটিশ উপনিবেশ-সকলে যাইবার, খাবার ও থালায় কোল রাখায়, শৃগালের চাটা চাটা ইয়া থাকিবার অধিকার পাইবে কেন ? ইহা ধাবিকৃদ্ধ ও সুবিধা হইল, কিন্তু সাবাসের হইল না । অবশ্য গৱে থা ভায় । ইহাতে আমরা সায় দিতে পারি না। যে সাৱল শৃগালকে নিমন্ত্ৰণ কবিয়া কুজো মতে যে ৩য় সংখ্যা] বিবিধ প্ৰসঙ্গ—চুক্তিবদ্ধ কুলি চালান বন্ধ খিয়া তাহার ভ্যতার ঋণ শোধ কলি ঘণ এই হইল, কাহারও কাহারও উপকার তাহাঁদের স্বাৰ্থসিদ্ধির উপাহ যে, কুলোর মধ্যে সারসের ঠোঁট চুকিল, কিন্তু শৃগালের মুখ স্বরপ আনুষঙ্গিক ঘটনা মাত্ৰ। পদারে, তায়তৰালী তার হাকে উপবাসী থাকিতে হইল। আমাদের কিন্তু শ্ৰমজীবীদের ধােৱ উপনিবেশসকলের ধনবৃদ্ধি হইয়াছে। উপনিবেশিকদিগের সৌজন্য এই-প্রকারে শোধ দিবার , তাছাড়া নিরপেক্ষ লোকেরা বলেন যে কানাডা, দক্ষিণ নাই আরও একটা গল্প আছে, ৰে, যখন বাদে আফ্ৰিকা, প্ৰকৃতি উপনিবেশে প্ৰাচ্য শামিকের প্রয়োজন হাতীতে বদ্ধ ছিল, তখন এই বন্দোবস্ত হইয়াছিল আছে। অষ্ট্ৰেলিয়া বিস্তৃত মহাদেশ । তথাকায় অপেক্ষ তাদের মধ্যে কখনও শত্ৰুতা হইলে তাহারা পরস্পরের বিস্তীৰ্ণ প্রদেশ কেবল উষ্ণদেশবাসীদেৱ বাসের ও সেয়, যুদ্ধে সব কম অস্ত্ৰ ব্যবহার করিতে পাকিবে না। উপযোগী বলিয়া অনধুধিত ও অকৃষ্ট অবস্থায় পড়িয়া আছে বাম বলিল যে কেবল খাবা মারিয়া যুদ্ধ চলিৰে ষ্ট্ৰলিয়ার লোকসংখ্যা অতি সামাল, তাহাও অতি গাই বোকা হাতী তাতেই বাজী হই পরে যাপন শক্ৰতা বাড়িতেছে অষ্ট্ৰেলিয়গণ এশিয়াবাসীদিগে প্ৰবেশ বন্ধ শতঃ লড়াই হইল, তখন বাথ গাবার এক এক আঘাতে কথামালা বৰ্ণিত অশ্বগণের আহাবস্থানশাহী ফুকুরে চামড়া ও মাংস কতকগানি কৰিয়া ছিাড়িয়া , মত ব্যবহার করিতেছে লাগিল হাতী কিন্তু তাহা তীক্ষনখীন , ভারত প্ৰবাসী সকল ঔপনিবেশিক কলঙ্কাখানা মেয় মত পাওলা দ্বারা বাথকে আঘাত কবিতে পালি স্থাপন কবিয়া শত শত মজুরের আগ্নে সংস্থান করিয়া দে সা। সে বাঘের মত ধূৰ্ত হইল, বহুত্বে সময় বলিহ না অনেকে অল্পপ্ৰকারে উপাৰ্জন করে থিয় যে কেবল শুড় দ্বারা ভাইয়া ধৱিা ! পায়ে থাৎ, আগ্ৰা-অযোধ্য প্রদেশের ইন্‌স্পেক্টর জেনারেল অব ইয়া যুদ্ধ করিতে হইবে পুলিস ম্যারিস নামক ঔপনিবেশিকের নাম করা যাইকে জাতিগত প্ৰতিকুল সংস্কার বশতঃ কেহ কাহারও পারে বেশ রোধ করিতে পা ব না, এই কথা তুলাই হাত চতুৰ্গ প্ৰস্তাব । উল্লিখিত প্রবেশনিষেধ সম্বন্ধীয় ঘৰে কেননা, ঔপনিবেশিকেরা স্বয়ং বরাবর ইউরোপের বস্তের সঙ্গে সঙ্গে , ভ্ৰমণকারী, ছাত্ৰ, প্ৰতির যাতায়াতে এশিয়ার লোকের মধ্যে জাতিগত কারণে প্ৰভেদ কবিয়া পূৰ্ণ সুবিধা দেওয়া হইবে ; কিন্তু ইহাৱা কেহ মই করিতে বা স্থায়ী বাসিন্দা হইতে পাব্লিবে না কোন কোন এংলো-ইণ্ডিয়ান কাগজ বলিতেছে , অনেক ছাত্ৰ মজুৰী করিয়া শিক্ষার ব্যয় নিৰ্বাহ কৰে নিবেশি করা এদেশে কলকারখানা স্থাপন করিলে অনেক আমাদের ছাত্ৰো কানাডা বা অন্ত উপনিবেশে দিয়া লোক চাকরী ও মজুরী পায়, তাহাতে দেশের এক কহিতে চাহিলে তাহা করিতে দেওয়া উচিত। অধ দোকদের উপকার হয় ; কিন্তু ভারতবীয় লোকৰ তাহাদিগকে কলেজের সাটিফিকেট দেখাইয়া প্ৰমাণ করিতে উপনিবেশে মজুরী কবিতে গেলে মজুীর দর কমি যাওয়ায় হইবে যে তােহাৱা ছাত্ৰ এইরুপ সামা কয়েক জন থাকার শ্বেত শ্ৰমজীবীদের অসুবিধা হয়। ইহা উত্তর ছাত্রের প্রতিযোগিতায় ঔপনিবেশিক শ্ৰমজীবীদের এই যে, এদেশে কোন কোন ব্যবসা বাণিজ্য ও কল. হইবে না । কাৰখানার ক্ষেত্ৰ বিদেশীরা বে-পরিমাণে অধিকার কবিয়া চুক্তিবদ্ধ কুলি চালান বন্ধ । বিৰে সেই পরিমাণে আমাদে কাৰ্যাক্ষেত্ৰ সংকীৰ্ণ হইবে গত ২৩ শে মে তারিখে ভারতসচিব হাউস অব কমলে আমাদের সেই সেই কাজে প্ৰবৃত্ত ও লাভ বলিয়াছেন যে ভারতবৰ্ষ হইতে কোন ব্রিটিশ উপনিবেশে ৰ ইবার পথে ঐ বিদেশীরা বাধা দিবে। ঔপ- পুনৰ্ব্বার কুলি চালান প্ৰথা আরম্ভ করা হইবে না। কিয়া ত আমাদের কাহারও উপকারের অল্প এখানে যুদ্ধ উপলক্ষে অমজীবীর দরকার বলিয়া উহা বন্ধ আছে । বৈ না ; আসে টাকা রোজগারের জন্য । আমাদের আনন্দের বিষয় ।