পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৩০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰবাসী—ভাদ্র, ১৩২৪ ১৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড ধীয়েলে এই কথা শুনিয়া মায়ার অত্যন্ত রাগ ও মতন কি জাত গতিতেই চলিয়া গেল এবার নিশ্চয় লঙ্কা হইল এই ভাবিয়া যে, ধীরেনের এ ফায়া তাহার মাের গোলাপ তাহার বিধান্থের দিনের আগেই বরিয়া পvিel. খাইয়া নহে। এবং সে তবে শুধু শুধুই ধীয়েনের কাছে থাটো ছিল, পাহাড়ে গাছের ফলগুলো যেন ভাঙা ইয়া অ্যাশ- হইল । কিন্তু সে বুঝিতে পারিতেছিল না ধীরেনের কাপ্লাৱ উঠবার জন্য বড় বেশী ব্যস্ত হইয়া উঠিাছিল, শরৎ অপর কি কারণ থাকিতে পারে ? ভাবিতে ভাবিতে কালটাকে টানিয়া আনিতে পালিলেই ধেন বঁাচে ; তখনি হঠাৎ মাথা পুী হইয়া বলিয়া উঠিল—মী ঝগড়া করে ত এ দুঃখিনীর দুঃখের ভরা পূৰ্ণ হইবে ; অ্যাণ্টনি তাহার গেছে বুদ্ধি । বেশ হয়েছে, তুমি যেমন তাকে খেলতে চোখের সামনে মধুৰ হাসি, মিষ্ট কথা, মুদৃষ্টি, সকলি অৱ ডেকেছিলে ( ক্ৰমশ ) একজনকে সঁপি দিবে চার বন্দোপাধ্যায় । জুলাই মাস শেষ হইবার আগেই কাপ্তেন উইরো খবর পাঠাইয়াছিলেন যে লেডি আশার ও তাহার কক্কা অা বেশী দিন বাথের গরম আর আমোদপ্ৰমোদের মধ্যে স্মৃতির সেীরভ থাকিতে পারিতেছেন না, শীঘ্ৰই “লে’তে ৩াহাদের পাঁচের পরিচ্ছেদ । নিতৃত নিৰ্জ্জন ছায়:ঢাকা পল্লীতে ফিরিয়া বাইৰেল তাহাকেও সঙ্গে ধাইতে নিমন্থণ করিয়াছেন। … তাহার চিঠি আছে মানুষের হৃৎপিণ্ডটা যেমন দপদপ, করিয়া গা পত্ৰেৰ ভাবে মনে হয় যে দুইটি মহিলার সঙ্গেই তাহার দিতে থাকে, ঘড়ির বঁাটা তেমনি টিক্‌টি করিয়া বাছিয়া বেশ সাব, এবং কোন প্ৰতিদ্বন্দীর আশঙ্কাও নাই। তাই চলে, দাম তাহার গতি কোনো পরিবর্তন করিতে চিঠিগুলি পড়িয়া সাৱ ক্ৰিষ্টফায়ের মনটা খুব বেশী রকমই পারে না । প্ৰকৃতির প্রকাও এটাও ঠিক এমনি করিয়াই পুী। আগষ্টর শেষে খবর আসিল, কানে উইৰো সফল ভেদি ফুল ফুটিয়া বরিয়া পড়ে, তাহার পরে হইয়াছেন দুই পরিবারে দিন-কতক পুৰ চিঠিপত্ৰ চলি মাঠ ভরিয়া লালচে ২ ঘাস মাথা লাইতে থাকে । তাহার পর বোঝা গেল যে আগামী লেপ টেম্বর মাসে ভাৰী যাসের ঢেউও আর বেশীদিন খেলিতে পায় না, তখন কুটুধিনী ও তাহার কা শ রেল-প্রাসাদে বেঞ্চাইতে খন সবুজ কোপের আবিৰ্ভাবে সমস্ত মাঠ মরকত মণির আদিতেছেন এই সুযোগে ভাৰী বধু তাহার শাৰী মত উজ্জল হইয় উঠে; সোনালি শস্যের ভারে ক্ষেতের ী য়দের সঙ্গে পরিচিত হইবেন এবং বিবাহ সম্বন্ধীয় সব চারার মাথা নীচু হইয়া যায়, কৃষকেরা তাহার মধ্যে হেট রকম কথাবাৰ্ত্তাও পাকা হইবে। কাণ্ডেন উইরো এগৰ ইয়া শস্য কাটিতে থাকে ; তখন নুতন বীজ বপনের লেখানেই থাকিবেন, পরে মহিলাদের সঙ্গেই আসিবেন । আশার মাটি চার ধুম পড়ে ; শস্যহীন পুৱানো খড়ের নুতন কুটুম্বদের অভ্যর্থনার আয়োজনে সকলেই মৰা গোড়াগুলি লাল মাটি মাদিয়া পড়িয়া থাকে এই যে জমিদার মহাশয় সারাদিন নায়েব মোক্তা দেয় নানা দ্বাপর খেলা একটির পর আর-একটি থুরিয়া ঘুরিয়া সঙ্গে পরামৰ্শই কৰিতেছেন । মাঝে মাকে জানসেয়োকে আসে, সুখী মানুসের কাছে তাহা মিষ্টস্বরের প্রবাহের মতন তাড়াতাড়ি ঘরখানা শেষ করি। ফেলিতে তাড়া দিতে, আনন্দ বিলাইয়া যায় ; কিন্তু কত মানুষের মনে এই রুপের ছেন। মিস আশার এক মস্ত গোদোয়ার। কাজেই মি খেলাই ভবিষ্যৎ বেদনার আগমনী গাহিয়া যায় ; সে যেন গিলকিলের উপর ভাৱ পড়িাছে মেয়েদের চড়ার যোগ কোন অদৃশ্য যাদুকরের ক্ষণ ধরিয়া মুর্তগুলিকে একে একটি ঘোড়া খুজিয়া আনিবার। লেডি শেভারেল এখন একে হরণ করিয়া ভয়ের ও আতঙ্কের ছায়াকে জীবন্ত মত স্নানোর বাড়ীতে দেখা করিয়া আর নিমন্ত্ৰণ কবিয়া মিনৱাপার স্পষ্টমূৰ্ত্তিতে পরিণত করিতে থাকে করিয়া ফিরিতেছেন । মিঃ বেট্‌সেৰ ঘাসের ময়দান, স্কুলো ১৮ অঙ্গের খ্ৰীষ্মটা টিনার সামনে দিয়া নিয়ে কেয়ারি, পাথর বানানো রাস্তা, সব আগে থাকিতেই সংখ্যা] পরিষ্কার, তাহার আর বিশেষ কিছু কৱিবার নাই। আর নুতন রেশমী বিতে জোগাড় করে রাখিল । গাইছে জা মালীটাকে মাঝে-মাকে একটু ধমক্-ধামক পাণী বলে যেন পাকিলে রঙের পোষাকটাই পয়ে বিতেই হয়, তা’ সে বিষয়েও মিঃ বেট্‌সের কোনো খুৎ বসি না ” নয়ত বলিতেন, নার পথ নাই “কি রে, এইবার ত তোর পালা । দেখি বেশী খেয় বিষয় বলিতে হইবে যে টিনারও কাজের অভাব মাথা উচিয়ে চলে বাসনে । বেচারাকে একটু নাগাল নাই। কাটাইতে ত হইবে ? দিস। মেনা বেচারাকে একটু সহজেই ছাড়া দেওয়া নিরানন্দ দিনগুলো| মেৱ চোরগুলির জন্য লেডি শেভাৱেল একবৎসর উচিত । । টা একসেট কারুকাৰ্য্য করা গদি করিতেছিলেন ; এই টিনা তাহাকে বড় ভালবাসিত ; তাই বৃদ্ধ জমিদার লিই তাহার বাড়ীর একমাত্ৰ দেখিবার মতন আসবাব । ঘথন আদর করিয়া তাহার গালে টোকা দিতেন কি একটু গদি বাকি আছে, টনাকে সেই কাটুকু সারিয়া হাসিয়া তাহার দিকে চাহিতেন, তখন বেচান্ধী অতিকষ্টেণ্ড তৈ হইবে এই সেলাই হাতে কবিয়াই তাতার মুখে একটু হাসি দুটাইতে পারিত । কিন্তু এমনি সময়ে কাটে। বেচারীর ঠোঁট দুখানি থাকিয়া থাকিয়া কন্‌কনে কান্না যেন ফাটিা পড়িতে চাহিত। সে যে কি কষ্টে উচ্ছসিত অশ্ৰধারা লেজি চাপিয়াঁ রাখিত তাহা বলা যায় না। ইয়া উঠে, বুকের ভিতর সমস্তক্ষণ কঁাপিয়া কঁাপিয়া চোখে জটা আদিতে আসিতে থামিয়া যায়। ভিতরের শোরেল আসিলে কিংবা কথা বলিলে অত বিপদ বই চেয়ে চোখের জলকেই তাহার ভয় বেশী, তাই না। পরিবারের এই ঘটনায় তাহার সম্ভোব হইয়াছিল বটে ত দয়ে বেদনাই বরণ করিয়া লইয়াছিল । রাবির কিন্তু তিনি যে সব’ কাজেই চুপচাপ। তাছাড়া কাৱে চোখের জল তাহার দুঃখ বেদন৷ মুছাইতে ক্ৰিষ্টফারের স্মৃতির মন্দিরে করুণ-নয়না সুন্দরী যোগী সার ক্ৰিষ্টকারকে কাছে আদিতে দেখিলেই মূৰ্ত্তিতে বিনি প্রতিষ্ঠিত, সেই লেডি আশায়কে আবার জাধাব সকলের চেহে ভয় । তাহার দৃষ্টি এখন যেন দেখিবাের আনন্দে যে তিনি পুলকিত, এটাতেও লেডি বা কত উৰণ, ষ্টতে চলিতে পায়ের জোর বাড়িয়া শেভারেলের মনে একটু ঈৰ্ষার উদয় হইয়াছিল। প্ৰথম যাহে ; নেহাৎ জপিও মনমরা কি স্বাগপ মানুষ ধখন স্তর ক্ৰিষ্টফার ভ্ৰমণে বাহির হন, তখন এই সুন্দী যায় আর কেহ েয এমন সুখেৱ পৃথিবীতে হিীনভাবে সঙ্গে তিনি কেশ বিনিময় করেন। লেডি ো য়েল আৰম্ভ নগ সকে দুরে সরাইয়া পড়িয়া থাকিতে পাৱে ইহা মরিলেও এই ঈৰ্ষার কথা স্বীকার করিবেন না, তবে তাহার গা ধারণারই অতীত । বুড়ো ভদ্ৰলোক জীবনটা মনে-মনে আশা ছিল বৰ্তমান লেডি আশারের মধ্যে তাহা নিজের ইচ্ছার জয়ের উয়াসেই কাটাইয়াছেন ; শেষ স্বামী সে মানসী সুন্দরীকে আর দেখিতে পাইবেন না । ছিাট ত পূৰ্ণ হইতে চলিল। আনন্দ হইবেই বা না বাহাকে তিনি ভুবনমোহিনী ভাবিতেন, এখন তাহাৰ কপ ক্ষৰ দুদিন পরে সাধের নাতি আসিয়া এত সাধের দেখিৱা তিনি নিজেই লজ্জা পাইবেন ঘানি উজ্জল কৱিবে । পরের হাতে আর তুলিয়া আজকাল টিনাকে দেখিয়া মিয়া : গিলক্তিলের মনে এফ দিতে হইবে না। কপালে থাকিলে তাহার সুন্দর কিশোর সঙ্গেই দুই -রকম ভাবের উদয় হয় । তাহার ছাখে ভাষায় হয়ত দেখিয়া যাইতে পারেন নাইবা দেখিবেন প্ৰাণ কঁদে বটে, কিন্তু আনন্দেরও একটা কারণ আছে । নো বাট বৎসর কি আর একটা বস যে ভালবাসার ফল কোনো দিন ভাল হইবে না, তাহার নাকে দেখিলেই স্যর কিষ্টকার একটা কিছু হাসি বৃথা আশাটুকুও যে কাটিা গেল, ইহাত টিনায় টানা করিয়া পারেন না। হাত বলিতেন, তাই তিনি মনে-মনে না ভাবিয়া পারতেন না-হয়ত কিয়ে বাদী, গলা ভাল আছে ত ? তুই হলি গিয়ে আর কিছুদিন পরে টন ওই পাষাণ লোকটা কথা তুলে যাদের বাড়ীর চারণ । দেখ, একটা সুন্দর পোষাক যাবে ; তখন হয়ত ।