পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৩০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰবাসী—ভা, ১৩২৪ স্মৃতির সেীরভ [ ১৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড এতদিন ধরিয়া সকলেই বেনিটর অপেক্ষা করিতে দে েপাষাকা হয়েছে। ক্ষুদে খাদীকে সাজাতে থ পুতুলটির মতন বেশ দেখাই । মিস আশার মাট করতে ও একেবারেই নারা। অ্যাণ্টনিয় কাছে ছিল, একদিন সেদিনটি দেখা দিল। শরতের সোনার সালের বেশী কাপড়ের কোনো দরকার দেখিনা। ণে বন্ধ, শরীরের গঠনে বেশ কমনীয়তা আছে, কিন্তু শুনেছি, এই বাড়ীর পিছনে আপনি যত সময় জার কাজ মালোয় লঘু-গাছেয় মাথাগুলি তখন ঝলমল করিতেছিল লেঙি আশারের দিকে একবারটি চাহিয়াই নি, ল ল ছিপছিপেন চলার মধ্যে কেমন একটা চিন্তা কল্পনাই না থরচ করেছেন । বাড়ীটা আগাগোড়ামা সেদিন তখন পাঁচটা বাজে-বাজে এমন সময় লেডি বুধিয়াছেন যে সৌন্দৰ্য্যে তাহকে ইনি হায় মান আছে সেই সঙ্গে বেশ একটা আত্ম-তৃপ্তির দেখে আর এর সব নক্সার ইতিহাস না শুনে ত জানা মন স্থির হচ্ছে না । আশারের গাড়ী আসিয়া গাড়ী-বারান্দার তলায় তুলি পারেন না। আনন্দে তাই তাহার প্ৰশান্ত মুখখানি যেন ফুটয়া উঠিতে চায়। চুল গুলির গাঢ় পিঙ্গল : জমিদার মহাশয় বলিলেন, “দেখো, বুড়ো যাকে ক্যাটরিনা ধরে বসিয়া কাজ করিতে-করিতে গাড়ীর চাকার পাউডারের সঙ্গে কোনো সম্পৰ্ক নাই, মুখের চারি হইয়া উঠিয়াছে । টিনার স্কপের তারিফ গুদিয়া তিনি পুরোনো কথা মাতিয়ে দিয়ে বিপদে পোড়ো না যেন । শব্দ, দরজা খোলা, বদ্ধ করা ও কথাবাৰ্ত্তার শব্দ শুনিল। হাসিয়া সায় দিলেন । টিনার ধরণটা তখন অত্যন্ত কতকগুলি চুল পোকা থোকা হইয়া পিরিয়া হিয়াছে ; হাটার সময় খাবার ঘণ্টা পড়িৰে ; লেডি শেভারেল বলিয়া উদাসীনের মতন। মনের মধ্যে তুমুল সংগ্ৰামের পয় ঐ দিকে ধন কেঁকড়া চুল কোমর পর্য্যন্ত একপিণ্ঠ রেনো ছবি আর নক্সার পাতা উপোনোেৱ চাইতে তাল কাজ বোধ হয় তোমায় একটা দিতে পারব। আমাদের দিয়াছেন, সে যেন একটু আগে থাকিতে স্কমে যায় একটা গুটিাপড়ার মতন ভাব আসে। টনা সরিাসি গিয়াছে । ঠোট দুটি পাংলা, কপাল খুব সংকীৰ্ণ, বন্ধুবর গিলফিল তোমার জন্ধে একটা সুন্দর ঘোড়া জোগাড় টনা তাড়াতাড়ি উঠিয়া কাপড়-চোপড় পরিতে আরম্ভ পিয়ানোর কাছে বসিয়া গানের বইগুল সাজাইতে লাগি চলনসই রকমের, কিন্তু চোথা ঘাড়া নাক আর করেছেন ; সেটা চড়ে সারা দেশটা ঘুরে আসতে পাৱ । কলি। হঠাৎ নিজের এতটা শক্তি ও সাহস দেখিয়া সে সকলের প্রশংসমান দৃষ্টিতে অবশ্য গা গোলাপী গালে সমস্ত থানা বেশ জমকাল হইছা তাহার বেশ এ তুমি যে কেমন জ’নয়েল ঘোড়সোয়ার সে কথা অ্যাণ্টনি নিজেই বেশ খুশী হইয়া উঠিল। আপনি বাড়ী আসিয়াছে, আনন্দই হইতেছিল, সঙ্গে সঙ্গে মনে হইতেছিল, এা ৰছে। পোষাকটি গাঢ় কালে, শোকের পরিচ্ছদ, গহনা আগেই আমাদের জানিয়েছে । সি কাশাকে দেখিতেও হইতেছে, নুতন পুলিলেই কাহেন উইৰো ঢুকিযে, তাহা সা ই একটি আছে তাহাও কালো পাথরের মিস অাশা হাসিতে মুখখানা আলো করিয়া মিঃ লোকজনের সামনে নিতান্ত শাদামাটা চেহার দেখাইবারও খুব প্ৰাণ মুখে কথা বলিতে হইবে । কিন্তু পাৱে । হাত দুখানি ও মুখখানি কালোর মাঝখানে বেশ ফুটিয়া বিশেষ ইচ্ছা নাই, এই-সকল নানা উত্তেজনায় টিনার ঠোটে ছে। মেয়েটিকে প্ৰথম দেখিলে, চোখ যেন ধাধিয়া গিলফিলের দিকে তাকাইয়া তাহাকে ধন্থবাদ দিল ; ধরণটা গায়ের গোলাপের গন্ধে তাহার সাড়া পাইবামাই দিমা এমনি, যেন দয়া আর ধরে না, যাহার দিকে চাছিবেন সেই একটু রক্তের উচ্চাস দেখা দিল, সাজ-সজ্জাও একটু সহজ বুকের ভিতর কি যেন ধড়া ধড়া করিয়া উঠি লেডি শেভারেল টিনার সঙ্গে পরিচয় করিয়া দিলে সে যেন মুগ্ধ না হইয়া পরিবে না ইয়া আসিল । আজ যখন সন্ধ্যাবেলা সকলে তাহাকে আণ্টনি আসিয়া তাহার হাতখানা চাপিয়া ধরিয়া পুরা সদয় হাসি হাসিয়া তাহার দিকে চাহিল, টন মি: গিলফিল্‌ বলিলেন, “ঘোড়াটা দেখেশুনে না। নিয়েই গান কয়িতে বালিবে, তখন সে গানে সকলকে মাতাইয়া সুরে “কি ক্যাটরিনা, ভাল আছে ত ? বাঃ বেশ ) বা লে। বেচারীর এতদিনের স্বপ্ন এক নিমেষেই অামায় ধন্যবাদ দেবেন না গত দু’বছর লেডি সারা তুলিৰে । মিস অ্যাশার যে তাহাকে নেহাৎ একটা ৰে-সে দেখাচ্ছে ত তোমা বলিৰার পর যেন টনা তি মিশাইয়া গেল লিণ্টর এই ঘোড়াটােয় চড়েছিলেন । তরে সকল কাজেই ভাবিব তাহাটিনাকি কবিতা সহ করে : তাই সে নিজের লেডি আশার কাহা যেন নকল করিতেছেন, এমনি. হইল যখন সব মহিলার মিল হয় না, তখন এক্ষেত্ৰে এই শ্ৰেষ্ঠতাটুকুর আনন্দেই সযত্নে তাহার নূতন ধূসর রঙের তাহাকে অমন িদব্য উদাসীন ভাবে কথা লিতে েদিখ তাৰ মূৰ আড়ম্বরের ভান করিয়া বালিলেন, “রক্রিযৈার হতে পারে পোষাকটি ও চেরি রঙের ফিতাটি লইয়া সাজ-সজ্জাম, মন রাগে টিনার গাল দুটি লাল হইয়া উঠিল আপনার দরবাড়ী দেখে আমি একেবারে মুগ্ধ হয়ে গেছি দিকে যখন নানারকম কথাবাৰ্ত্তা চলিতেছে অ্যাণ্টনি দিল। সে-ই যেন বাগদত্তা বধু ! মুক্তার স্কুল দুইটি পরিতেও অ- একজনের ভালবাসায় বিয়া হিয়াছে। টা তারা আপনার ভাগের না-জানি কি বিশ্ৰীই লেগেছে তখন চিমনীতে ঠেস দিয়া ছাড়াইয়া। মিস আশার কথা সে ভুলিল না। টিনার কান দুটি আমন সুন্দর বলিয়া স্তর সম্ভ তাহার মনে ঘা লাগিতে যাইবে কি ছাখে। গ ত আর বাড়ীঘর-মাঠ-ময়দানের দিকে নজর ছিল না বলিতে বলিতে তাহার দিকে তাক ইতেছিল, সে ক্ৰিষ্টফার গৃহিণীকে বলিয়া তাহাকে গোল মুক্তার এই দুল মুহূর্বেই আবার টনার মন বদলাইয়া গেল, জা ৰি দিকিছু বয়েই বলতেন ‘স্থা, হুঁ, রেখে দাও, যদিন কবার করি। তাহা মলস চোখদুটি তুলিয়া চাহনিতে জোড়া দেওহাইয়াছিলেন । কি বোক বান্ধবকে ভাল করে ভোজ দিতে অার ভ 1ল এক বেচার লোকের সামনে ত আর কিছুক্ষ সাদ দিতেছিল। টনা ভাবিতেছিল, ‘মেরেট ওকে কি অত তাড়াতাড়ি গিয়াও টিনা দেখিল কুমে স্তর কইতে পারে না। বিপরীত মনোভাবের এই কৰে তেল মদ জোগাতে পারব, তদিন বাড়ীর ছাদ ধোঁয়ায় ভালই বাসে !" অ্যান্টনি যে কেবল সায় দিয়াই ক্ষা , ষ্টিফার, লেডি শেভারেল ও মিঃ লিফিলের গন্ন চলিতেছে উনি যা অতিথির মূৰ্ত্তগুলিই টনার কাছে যুগ্ম হইয়া া সো হলেও কেউ কথা বলবে না ইতেছিল। দরজাট নিজের তরফ থেকে বিশেষ কিছু দেখাইতেছে না , ইহাতেই কর্তা ও গৃহিণী পুরোহিতকে ভাবী বধু ৰূপ বৰ্ণনা শুনাই তখনি আবার খুলিতেই তার চমক্‌ ভাঙিল।ে সৰাষ্টা করতেন, সে আর কি বলুব কিন্তু টিনার মনে একটু শান্তিও আসিতেছিল। তাছা তেছেন —মেয়েটি খাসা দেখিতে, কিন্তু মারে ম সকলে চাহিয়া লেখিলেন দুইটি মহিলা ঢুকিতেছেন পাছে কোনো দুঃখের কথা তুলিয়া বসেন, তাই মিস মনে হইতেছিল, আণ্টনিকে যেন আগের চেয়েও ক্ষীণ একেবারেই নয়, ৰাপের মতন বোধহয় আদল আসে মেয়েটির চেহারাই বেশী করিয়া চোখে পড়ে, গোলগাল আমার তাড়াতাড়ি বলিয়া উঠিল, “সাকোটা পার হয়ে ও কুত্তহীন দেখাইতেছে । সে তাবিল, যিনি টিনা ঘরে ঢুকিতেই তাহার দিকে ফিরিয়া স্তত্ব ক্ৰিষ্টফার বেঁটেখাটো মাটি ঠিক উট। এক কালে ইনিও হুগী বার সময় দেখলাম, বাগান থেকে বাড়ীটা ভারি মেয়েটিকে খুব বেশী তাল না বাসে, যদি আগেকার কথা বলিলেন, “বাং, বা, কিহে মেনাৰ্ড, তোমার কি মনে হয় ? বলিয়াই পরিচিত ছিলেন রংটা ছিল জোলো - দেখায় । অ্যাণ্টনি ত আগে থাকতে একটা কথাও মনে ওর একটুও দুঃখ-হয়, তবে বোধ হয় আদি সবই পড়ে ন্যার মত ৰূপ কোনোদিন দেখেছিলে ? গীর পোষাকের তখন চটক ছিল বটে, কিন্তু সে রং যে রাখেনি, কাজেই প্ৰথম দেখায় আরো সুন্দর সইতে পারি, এমন কি স্যর ক্ৰিষ্টফারেন্থ দুখ হৰে মনে ছাট থেকে একটুকুরো কাপড় নিয়েই অ দেখছি টিনার নাক চোথ নেহাৎ চলনসই ছিল আগে থাকিতেই ভুল ধারণা করিয়ে দিয়ে প্রথম দৰ্শনের সুখটা করে আনন্দই সইতে পারি ধাপ ধণে ?