পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৩০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫১৮ প্ৰবাসী—ভাদ্র, ১৩২৪ ৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড ৫ম সংখ্যা] কৰ্ত্তার ইচ্ছায় কৰ্ম্ম ৫১৯ তাৰে । অৰ্থাৎ নৈরাঞ্জে, হয় আমাদের মাটির তলার পুলিসের পেয়াদাকে যাচাইবার জয় কমায় গাছে৷ আমাদের দেশের লোকেই ভয়ে কিম্বা লোতে ভয়ে যদি বুদ্ধি দমিয়া না যায় তবে তাকে আমার একথা সুজেয় মধ্যে ঠেলিয়া শক্তির ৰিকার ঘটায়, নয় গৃহকোণের হাজার হাজার টাকা খরচ হয়। অৰ্থাৎ আদালৎ মহাস পক্ষে সাক্ষা দিবে না, বিন্ধেই দিবে। বলিৰায় অধিকার অাছে “যে ডাক্তারি তত্ব লইয়া তুমি বৈঠকে বসাইয়া শক্তির ব্যৰ্থতা সৃষ্টি করে ; হয় উন্মাদ পাের হুইবার বেলায় পেয়াদার জন্য সরকারী উমা, জা এ কথাও ঠিক তবু সত্যকে মানিয়া চলিতে হইবে ?” ভাক্তার অামি তাকে তোমার চেয়ে বড় বলিহাই জানি ফরিয়া তোলে, নয় হাবা করিয়া রাখে গরীব ফরিয়াদীকে তুফানে সাঁতাৱ দিয়া পাৱ হইতে কিন্তু আমাদের দেশের লোকেই প্ৰশংসা কিম্বা তার মুলোই তোমার মূল্য ?” কিন্তু মনুষ্যত্বকে অবিশ্বাস করিব না,-- এমন জোবের একখানা কলা ভেলা ও নাই যেন একক এই যে অধিকার এর সকলের চেয়ে বড় লোয় ঐ বারের লোতে কোপের মধ্য হইতে আমার মাথা সঙ্গে চলিব, যেন ইংরেজ-রাষ্ট্ৰনীতির মধ্যে কেবল শক্তিই সত করিয়া বলিয়া দেওয়া, “বাপু, মাৱ দি থাও তবে নিশ ডাক্তাৱ সম্প্ৰদায়েরই ডাক্তারিশাস্ত্ৰে এবং ধৰ্ম্মনীতির মধ্যে নহে, নীতি তার চেয়ে বড় সত্য প্ৰতিনি তার বিরুদ্ধতা মারাটাই অতীব স্বাস্থ্যকর এর পরে আবু হাত পালে একথাও ঠিক । তবুও সত্যকে মানিতে হইবে।” ডাক্তার যতই মান্দালন কঙ্কক এই বিজ্ঞান এবং নীতির দেখিব ; দেখিব স্বাৰ্থপরতা, ক্ষমতায়িতা, লোভ, ক্ৰোধ প্ৰেচি | যে আমাদের অনেকদিনে চেনা এতটা কি আশা করা যায় দোহাই মানিলে লক্ষ্মা না পাইয়া সে থাকিতেই পারে না। অল্প ও অহঙ্কার সমস্তরই লীলা চলিতেছে, কিন্তু মানুষের এই লোক। ঐ ত কৰ্ত্তা, ঐ ও আমাদের কবিকঙ্কণে এতটাই আশা করিতে হইবে, ইহার একটুকুও এমন কি, রাগের মুখে সে আমাকে বিও মারিতে পারে দ্বিগুলো সেইখানেই আমাদের মারে, যেখানে আমাদের ঐ ত বেহুলাকাব্যের মনসা, রায় ধৰ্ম্ম সকলের উপ গবমেণ্টের কাছ ইতেও আমরা বড় দাবীই কিন্তু তবু আস্তে আস্তে আমার সেলাম এবং সেলামিট অন্তয়েও ত্ৰিপু আছে, যেখানে আমরাও ক্ষুদ্ৰ ভয়ে ভীত, ওকেই ত পূজা দিতে হইবে, নহিলে হাড় । ইয় ধ, কিন্তু নিজেদের কাছ হইতে তার চেম্বে আবে। ৰ পকেটে করিয়া গাড়ীতে বসার চেয়ে এই দুখির মূল্য বা -লোতে লুব্ধ, যেখানে আমাদের পরম্পরের প্রতি ঈৰ্ষা সাইবে । অতএব কহিতে হইবে, নহিলে অন্য দাবা টিকিবে না এই পুলিতে সে আমাকে যত মারে, নিজেকে তার চেয়ে বিধে অবিশ্বাস । যেখানে আমরা বড়, আমরা বীর, আমরা যা দেবী রাজশাসন মানি, সকল মানুষই বলিষ্ঠ হয় না এবং অনেক বেশি মারে । তাই বলিতেছি, যে-কথাটা ইংরেজের কথা অ্যাপী তপী শ্ৰদ্ধাবান, সেখানে অনুপক্ষে যাহা মহৎ তার প্ৰেষ্টি-পেণ সংস্থিতা দ্বষই দুৰ্ব্বল , কিন্তু সকল বড় দেশেই প্ৰত্যেক দিনই নয়, কেবলমাত্ৰ ইংরেজ আমলাদের কথা, সে-কথায় যদি সঙ্গে আমাদের সত্য যোগ হয়,—সেখানে অন্য পক্ষে রিপুর নমস্তসৈা নমস্তসৈ নেকগুলি করিয়া মানুষ জরেন ধারা সকল মানুষের আমরা সায় না দিই তবে আজ দুঃখ ঘটতে পাৱে কিন্তু মারখাইয়াও তবু আমরা জী হই, বাহিরে না হইলে ৪ নমস্তসৈা নমোনমঃ র। সকলের দুঃথকে আপনি বছেন, সকলের কাল দুঃখ কাটিৰে । আমরা যদি ভীতু হই, ছোটো হই, তবে ইংরেজ কিন্তু ইহাই ত অবিড়া, ইহাই ত মায়া৷ যেটা আপনি কাটন, ধারা সমস্ত বিদ্ধতার মধ্যেও দেড়শো বছর ভারতে ইংরেজ-শাসনের পর জাজ গৰমেন্টের নীতিকে থাটো করিয়া তার বিপুটাকেই প্ৰবল চোখে প্ৰতীয়মান হইতেছে তাই কি সত্য ? আব বিশ্বাস করেন এবং ব্যৰ্থতার গভীরতম অ এমন কথা শোনা গেল, মাদ্ৰাজ গৰমেষ্ট ভালোমন্দাই বি) যেখানে দুইপক্ষ লইয়া কারবার সেখানে দুই পক্ষের সত্য অামাকে লইয়াই গামেণ্ট । এই সত্য সমস্ত রাজ . স্নায় পূৰ্ব্ব-প্ৰান্তে অরুণোলয়ের প্রতীক্ষা জাগিয় কাক বাংলা দেশে তা ইয়া দীৰ্ঘনিশ্বাসটি ফেলিকায় শক্তির যোগেই শক্তির উৎকৰ্ষ, দুই পক্ষের দুৰ্ব্বলতার যোগে পুৰুষের চেয়ে বড়। এই সত্যের উপর ইংরেজী থাকে| ঠাৱা অবিশ্বাসীর সমস্ত পরিহাসকে উপেক্ষা অধিকার বাঙালীর নাই। এতদিন এই জানিতাম, ইংরেজের চরম দুৰ্ব্বলতা। অত্ৰাহ্মণ যখনি জোড়হাতে অধিকারহীনতা সেই বল আমারও বল। ইংরেজ গবলেটও এই হিয়া জোরের সঙ্গে বলেন —“স্বল্পমপ্য ধৰ্ম্মস্ত ত্ৰায়তে অখণ্ড শাসনে মাত্ৰাজ বাংলা পাঞ্জাব মারাঠা ভিতরে বাহিয়ে মানিয়া লইল, ব্ৰাহ্মণের অধঃপতনের গৰ্ত্তা তখনি গীর সত্যকে হারা, দি এই সত্যের বল আমার মধ্যে —অৰ্থাৎ কেন্দ্ৰস্থলে যদি স্বল্পমাত্ৰও ধৰ্ম্ম এক হইয়া উঠিতেছে, এই গেীয়বই ইংরেজ সাম্ৰাজ্য করিয়া খোড়া হইল- সৰ্ব্বল দুৰ্ব্বলের পক্ষে যতৰ শত্ৰু থাকে আমি যদি ভীৰু হই, ইংরেজ রাষ্ট্ৰতম্ভের নীতি ে বে পরিধির দিকে স্নাশি রাশি তাকেও তা মুকুটের কোহিনুর মণি । বেলজিয়ম ও স্বাগো দুৰ্গতিকে পক্ষে তার চেহে তুম বড় শ ন তত্বে আমার দি শ্ৰদ্ধ না থাকে, তবে পুলিস ত্যা বিয়ার দরকার নাই । রাষ্ট্ৰতন্তে নীতি যদি কোনোখানেও আপন গতি মনে করিা ইংরেজ যুদ্ধক্ষেত্ৰে প্ৰাণ দিতে একজন উচ্চপদস্থ ইংরেজ রাজপুৰুষ আমাকে বলিয়া করিবেই, মাজিষ্ট্ৰেটের পক্ষে সুবিচার কঠিন হইমেই, তাহাকেই নম্বার—ীতিকে নয়, ভীতিকে চুটিয়াছে, সমুদ্রের পশ্চিম-পারে যখন এই বাৰ্ত্তা, তখন ছিলেন, "তোমরা প্রায়ই বল পুলিস তোমাদের পরে প্ৰেষ্টি, দেবতা নৱ-বলি দাবী করিতেই থাকিবে এবং ধৰ্ম্ম আছে, অতএব মরা পৰ্য্যন্ত মানিয়াও তাহাকে সমুদেৱ পূৰ্ব্ব-পারে এমন নীতি কি একদিনো খাটৰে যে, অত্যাচার কয়ে, আমিও তা অবিশ্বাস করি না, কিন্তু তোমরা ইংরেজের শাসন ইংরেজের চিন্তকালীন ঐতিহাসিক বা নেতে হইবে । মাদ্রাজেয় ভালোমন্দ সুখদুঃখে বাঙালীর কোনো মাথাব্যথা তায় প্ৰমাণ দাও না।” বলা বাহুল্য, পুলিসের সঙ্গে প্ৰতিবাদ করিবে মনে কর ছেলের শক্ত ৰামো সেজন্য দূর হইতে নাই ? এমন হুকুম কি আমরা মাথা হেঁট করিয়া মানিৰ ? দালাঠি মারামারি ফর একথা তিনি বলেন না । কিন্তু এ কথার উত্তকে শুনিব “াষ্ট্ৰতম্বে নীতিই শক্তি ইংরেজ সিভিল সাৰ্দ্দনকে আনিয়াছি। কচ বড় কম একথা কি নিশ্চয় জানিনা যে, মুখে এই হুকুম যত জোয়েই অল্লায়ের সঙ্গে লড়াই ত গায়ের লোৱে নয়, সে ত তেজের চেয়ে সত্য এই কথাটাকে পারমাৰ্থিকভাবে মানা সে তিনি মন্ত্ৰ পড়িয়া মারিয়া-রিয়া থাকা হউক, অন্তরে ইহার পিছনে মন্ত একটা সজা লড়াই, সে তেজ কৰ্তবাবুদ্ধির । দেশকে নিরস্তুর পীড়ন কিন্তু বাৰহারিকভাবে মানিতে গেলে বিপদ আছে, অত । তেওঝার মত বিষম ঝাড়াকড়ি সুর করিলেন, রোগীর আছে ? ইংরেজের সেই অন্যায়ের গোপন লক্ষা আয় ইতে খাচাইবার জন্য একদল লোকের ত বুকের পাটা হয় গোপনে পরম-নিঃশব্দ গম পা—নত প্রেস এাট ঘাপুৰ ব্ৰাহি ত্ৰাহি করিতে লাগিল, তবে ডাক্তারকে আমাদের মনুষাৱে প্ৰকাণ্ড সাহস—এই দুয়ের মধ্যে মিল থাকা চাই, অল্পায়কে তাৱা প্ৰাণপণে প্ৰমাণ করিবে, পুনঃ- মুখ-খাবার নীচে পরম নি:শব্দ নরম গম্বা।” ে রিয়াই বলিৰ দোহাই সাহেব, তুত কাড়াইবেন করিতে হইৰে । ইংরেজ ভারতের কাছে সত্যে বন্ধ পুনঃ ঘোষণা করিৰে । জানি, লিসের একজন চৌকিদারও ছা, বিপদ অাছে বই কি, তবু সী, কিৎসা কদন । তিনি চোখ ব্লাঞ্জাইয়া বলিতে পারেন, ইংরেজ যুরোপীয় সভ্যতার দায়িত্ব বহিয়া এই পূৰ্ব্ব দেশে একজন মানুষমাত্ৰ নয়, সে একটা প্ৰকাণ্ড শক্তি একটি ব্যবহারেও তাকে সুতা করিব।” কেছে! অামি ডাক্তার, যাই করিনা তাই ডাক্তারি ? আসিয়াছে ; সেই সভ্যতার বাণীই ডাহা প্ৰতিশ্ৰুতি-বাণী ।