পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ীিচৈতন্যদেব বললেন, এ বেশ কথা হইতেছে, জারে জাগের কথা বল :- ? - প্রভূ ৰূহে, এম্বোত্তম, জাগে কই আর; - স্বায় কৰে, ৰাংগলাপ্রেম সৰ্ব্বসাধাদার। ইসলাগ্রেম বুদ্ধিতে হইলে, পিতামাতার স্থান উচ্চে, রস্থান নিয়ে, এ কথা ভাবিলে চলিবে না। সে নিজ এ সম্বন্ধের বাহিরের আকার মাত্র। ইহার : স্বরূপটিকে ভাবিতে হইবে। সস্তানের জন্ত মানুষের প্রাণ ৰূপজাকুল হয়। সন্তান নয়নের পুতলি, হৃদরে আনন্দ। শ্নের পর হইতে সে-ই যেন পিতামাতার জীবনের কেজস্থান হইয়া দাড়ায়। তখন হইতে সন্তানের পিতামাতা জীবনধারণ করেন। * ভগবান ভক্তের জীবনের একমাত্র লক্ষ্য; ভক্ত র্তাহারই এই ব্যাকুলত ও অনন্যতাই কি ভগবৎভক্তির চরম নয়? পুৰ্ব্বেই বলা হইয়াছে চৈতন্যদেব ইহাতেওঁ স্থ ছন্ন নাই । তিনি চাহিয়াছিলেন এমন প্রেমের সম্বন্ধ, স্ত্রাছতে ভগবান ও ভক্ত উভয়ে উভয়ের জন্য সমান আকুল তিনি রামানকে বলিলেন, আরো গভীর কথা প্রভু কহে, এহোত্তম, আগে কই আর । স্নায়কহে, কান্তভাৰ সৰ্ব্বসাধালার। -- "gস্কা উভয়ে যেমন উভয়ের জন্য সমান ব্যাকুল, ভগবান ও ভক্ত উভয়ে উভয়ের জন্য ব্যাকুল। এ ভৰ ব্যতীত ভক্তির-পূর্ণত হয় না। o জন্তঃপর রায় রামানন্দ বলিলেন, কাস্তাপ্রেম শুধু যে দশ্রেষ্ট, তাছাই নয়; শাস্ত, দান্ত, সখা, বাৎসল্য, ও কান্ত রজহুরাগের এই নে, পাচটি আকার, ইহার প্রত্যেকটিতে পূৰ্ব্ববর্তীগুলির সকল লক্ষণ বিদ্যমান। পণ্ডিত্যপূর্ণ ও সুললিত বাধা করিলেন। চৈতন্যদেব স্বলিলেন, তোমার মুখ হইতে অমৃতধারা ক্ষরিত হইতেছে ; কাধেঁর মূলমন্ত্র-Let us live &r bur ghildren, - - *... i - "..." o প্রবাসী-বৈশাখ, ১৩২৪ মরিকার বেগ বলিয়াছেন, শিক্ষা so { ১৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড ്SumitaBot (আলাপ) ০৪:২৯, ৩১ মার্চ ২০১৬ (ইউটিসি)്SumitaBot (আলাপ) ০৪:২৯, ৩১ মার্চ ২০১৬ (ইউটিসি)്০৪:২৯, ৩১ মার্চ ২০১৬ (ইউটিসি)്SumitaBot (আলাপ) ০৪:২৯, ৩১ মার্চ ২০১৬ (ইউটিসি) কিন্তুইহার পর আরও কিছু শুনিতে চাই। রামানন্দ বললেন, ইহা বই বুদ্ধি নাই আর । এই বলিয়। স্বরচিত একটি পদ গাছিলেন, তাহার মৰ্ম্ম এই :-রাধা বলিতেছেন, “প্রেমের জন্ম কিরূপে হয়, কি জানি! প্রথম দৰ্শনমাত্র অনুরাগের সঞ্চার হইল ; তাছা দিনে দিনে বাড়িয়া চলিয়াছে, সীমা পাইতেছি না। এ প্রেমে দূত নাই, মধ্যবর্তী নাই। আমিও মালী মহি, তিনিও পুরুশ লহেল ও শুধু জানি প্রেম উভয়ের চিত্তকে আকুল করিয়াছে।” এই সঙ্গীত শ্রবণ করিয়া চৈতন্যদেব প্রেমীবেশে স্বহস্তে রামানদের মুখ আচ্ছাদন করিলেন 1. রায় রামানদের সঙ্গে এই কথোপকথন চৈতন্যচরিতমৃত গ্রন্থের মধ্যে সত্যই এক অমৃতখনি। স্বয়ং গ্রন্থকার কৃষ্ণদাস কবিরাজ বলিতেছেন স্তান, কাস, রূপা, সেন, রঙ্কুচিস্তামণি, কেহ যদি কঁহি পোত পায় এক খনি, o ক্রমে উঠাইতে যেমন উত্তম বস্তু পায়, - তৈছে প্রশ্নোত্তর কৈল প্রভু রামরায় । - মানুষের হৃদয়ে মানবীয় প্রেম যত আকারে উদিত ও বিকশিত হয়, মানুষকে সে-সকলেরই মধ্য দিয়া ভগবান তাহাকেই ভালবাসিতে শিক্ষা দেন। পিতামাতার বুকের রাখিয়, সখার প্রণয়ডোরে বাধিয়া, সন্তানকে ভালবাসিতে দিয়া, তাহাকেই নব নব রূপে ভালবাসিতে শিখান। চৈতন্যদেব তাহার সমগ্র হৃদয়ের সকল প্রতি তাহার। ঐশ্বরকে সমর্পণ করিয়াছিলেন। রায় রামানন্দ ব্যাখ্যা করিয়াছেন যে কান্তাপ্রেমের আদশ রাধা। সেই রাধাভাবের আদর্শে নিজ দেহ মন প্রাণ সকলি । অনুরঞ্জিত করিয়া কেলিয়াছিলেন ; তিনি রাধ-মূৰ্ত্তি হইয়া গিয়াছিলেন। তাহার পরবর্তী বৈষ্ণব কবিগণ রাধার প্রেম, । রাধার বিরহ, রাধার আকুলত বর্ণনা করিতে গিয়া অজ্ঞাত সারে চৈতন্যদেবের মূৰ্ত্তির ও লীলারই বর্ণনা করিয়াছেন। ভক্তের জীবনের ছবি ভাবিতে হইলে বাঙ্গালীকে কেবল কল্পনার আশ্রয় গ্রহণ করিতে হয় না; বাঙ্গালীর কাছে ভক্তি মূৰ্ত্তি ধরিয়া প্রকাশিত হইয়াছে। বঙ্গদেশে তিনি ভক্তির এই পুর্ণ, সুন্দর ও মহান আদৃশ চৈতন্যদেব | ১ম সংখ্যা ] দেখাইবার জন্যই যেন জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন। তিনি অধিক কথা কঙ্গেন নাই; তিনি আপনাকে দেখাইয়াই এই ভক্তি প্রচার করিয়াছেন। বেথানে যেখানে গিয়াছেন, তাহার গোরসুন্দর দেহ প্রেমাবেগে কম্পিত ও রোমাঞ্চিত ইয়াছে আবেশে টলমল করিয়াছে; দুইটি আনত কমল মাধি হইতে অবিরল ধারায় প্রেমাশ্র বিগলিত হইয়াছে – ইষ্ট দেখিাই মানুষ মুগ্ধ হইয়াছে। বে দিকে তিনি তাহার সেই আকুল চক্ষু ফিরাইয়াছেন, সেদিকেই লোকে

  • পদ্মফুল বুর্ধণ করিয়াছে ; যেখানে যেখানে তাহার চরণ

পতিত হইয়াছে, মানুষ সেখানকার মৃত্তিক পবিত্রজ্ঞানে তুলিয়া লইয়াছে। মানুষ ‘ভক্তি’কে বেমন ভক্তি করে, এমন আর কোনও বস্তুকে করিতে পারে না। তাহার প্রাণের সেই প্রেমাগ্নির উত্তাপ বঙ্গদেশের প্রান্ত হইতে প্রান্ত পর্যন্ত মানুষের কঠিন প্রাণের উপর পড়িয়া প্রাণগুলিকে গলাইয়াছে, নমনীয় করিয়াছে। বাঙ্গালী } যে ভাল ভাব ও উচ্চ চিন্ত সহজে গ্রহণ করিতে পারে, জগতের মহান প্রাপ-সকল যে বাঙ্গালীর প্রাণকে উচ্ছসিত করে, ইহার মধ্যে তাহার সেই প্রেমাগ্নির সংস্পর্শের ফল আছে বলিয়া বিশ্বাস করি। কারণ মানুষের প্রাণ যখন গলে, সকল দিক দিয়াই গলে ; সে তখন ঈশ্বর সম্বন্ধে ভক্ত, মানুষ-সম্বন্ধে প্রেমিক, জগৎ সম্বন্ধে কবি হয়। কেহ কেহ মনে করেন, হৃদয়ের কোমলতা ও নমনীয়ত ও ভাবের উচ্ছ্বাস বাঙ্গালীর চিত্তকে দুৰ্ব্বল করিয়াছে। আমি তাহা বিশ্বাস করি না। বাঙ্গালী যদি সত্য-সত্যই ভীরু ও দৃঢ়তার হীন হয়, তবে তাহার কারণ অন্ত কোথাও অন্বেষণ করিতে হইবে। যে হৃদয়ের গুণে বাঙ্গালী এমন ভাবগ্রাহী, যাহার গুণে শত শত বাঙ্গালী বৰ্ত্তমান যুগে সত্যের জন্য, ধৰ্ম্মের জন্য, সৰ্ব্বস্ব পণ করিতে পারিয়াছে, সে হৃদয়ই, বাঙ্গালীর জীবনে যে বীরত্বটুকু আছে, তাহার - লীলায় - بیانیهای این تیم সূত্র সকল ಶ್ಲ ` o, অতঃপর বাঙ্গালী কবিকে রাধার ছবি কেবল কল্পনা করিয়া জন্মদাতা। ভাবের উচ্ছ্বাসের আতিশয্যে মানুষ নিস্তেজ হয়, সন্দেহ নাই; কিন্তু তা বলিয়া উচ্ছাপমাত্রই নিলনীয় নয়। ৰে হৃদয়ে উচ্ছ্বাস নাই, তাহা কখনও সুস্থ হৃদয় নহে। আর প্রেমে কোনও দিন উচ্ছাস আসে না, তার প্রেমে কড়া পড়িয়া গিয়াছে। চৈতন্যদেব দেখাইয়া দিয়াছেন, নের নামে, ভগবানের প্রসঙ্গে ভক্তের হৃদয় কিরূপ চৈতন্যদেবের ভাব ও প্রভাব ヘ、ヘ、ヘし、ヘヘヘ」、ヘー、ヘヘ、ヘヘ、ヘヘヘヘー、ヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘ**** অস্বাভাবিক অবস্থা আসিয়া পড়িতেছে! আমাদের দাঙ্কৰ মারিতেছে আমাদের মঠুষ কে খৰ্ব্ব করিয়া ফেলিতেছে। త్తి উচ্ছসিত ত্ব। তিনি ঐৰালের ঘরে সারারাত্রি গু বিদ্যাপতির এই দুই পংক্তি গাছিয়া গাছিয়া নাচিয়া উষ্মন্ত্ৰ হুইয়াছিলেন - - কি কহব রে স্বাঞ্জি জানলাগুর, চিরদিন মাধব মন্দিরে মোর। আর আমাদের এখনকার সঙ্গীতে কত সুললিত রচনা, কন্তু মাধুর্য, কত কবিত্ব ; গায়কের মন মাতাইবার অভিপ্রায়ে তাহাতে কত আশ্বরী যোজনা করি ; তবু আমাদের মন মাতে না। এটাই কি সুস্থ প্রাণের লক্ষণ ? তিনি কী দেরি, জালগাছ দেখিল, নীলঙ্গল গেরি, জরি হইতেন ; আর আমরা প্রভাতে সন্ধা কত উদ্যাৰে উপবনে বিচরণ করি, আকাশে পৃথিবীতে কত শোজ দেখি,-কোনও দিন আমাদের মন একটুও জাঁকুল হয় না আমরা সভাবেশে দারঞ্জিলিং বেড়াইতে যাই, হিমালয়ের অনন্ত শোভারাশির মধা দিয়া ষ্ট্রেনে বসিয়া আমোদ করিক্তে করিতে চলিয়া যাই ; আমোঙ্গে আলাদে সেখানে করে দিন যাপন করি, আবার আমোদ করিতে করিতে হাদিছে । হাসিতে ট্রেনে ফিরিয়া আসি। একদিনও চোখে জল আসে না ; মনে উচ্ছ্বাস আসে না ; অনন্তসুন্দরের প্রেমের আকুলতার জীবন্ত ছবির মত সে শোভা আমাদের কঠিন। প্রাণকে একটুও চঞ্চল করিয়া তোলে না। হয়, ব্ধি নিষ্ফলত, কি দরিদ্রতা! আমাদের সভ্যতা জামাজের কিরূপ কৃপাপাত্ৰ করিয়া ফেলিয়াছে হয়তো উচ্চাঙ্গ আসিতে চায়, কিন্তু চাপিয়া রাখি, পাছে সঙ্গীর কেহ হাঙ্গে কি দুৰ্গতি । আমরা এমন সভ্য হইয়াছি যে ঈশ্বরের ভক্তি । মানবে প্রেম, অথবা জীবে দয়ার উচ্ছ্বাস প্রকাশ ক্ষ অবজ্ঞা করি ; কিন্তু ক্রোধ, দলাদলির উত্তেজনা, কিংবা পরনিন্মাতে উচ্ছসিত হওয়াকে লজ্জার কারণ মনে কৱি দেশাই। অনুতাপের অশ্রু বিসর্জন করিতে পারেন ন, ভাই ভাইকে চোখের জল দেখাইতে লজ্জা পান; কি সভাত মামাদের হৃদয়ের ভাল উচ্ছ্বাসগুলিকে চাপিাস্ত্ৰ চৈতন্যদেবের প্রভাব বাঙ্গালীর প্রাণে ভক্তিকে জা

  • -