পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৩৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰবাসী জানি, ১৩২৪ [ ১৭শ ভাগ, ১ম খ ৬ষ্ঠ সংখ্যা] বুকের কাছটিতে মাথা গুজে শুয়ে পড়েছে চাদে আলো আমার যেন একটু একটু করে দ্বাস হচ্ছে সুবৰ্ণ তো ষ্টি থাকলেই তুই কি তাকে ফেলতে পারিস ? মায়াকেও সঙ্কলকায় নিমন্ত্ৰণ ছিল। বিকেলে চারটােৱ কাছাকাছি বা তার চোখের কোণের একফোঁটা অশ্নর উপর পড়ে আর-সবারই মতো একজন মানুষ ? সে তেমনি ধায় যে সেই হিসাবেই আমরা পর করে দিতে পারিনে সত্যু !” মিনিকে সঙ্গে করে চলে গেলেন, আমি অসুখের অছিল লেটাকে মুক্তোর মতো জ্বলজ্বলে করে তুলেছে। একটা জিনিষ নয়, নিজের দরকাশ্যে লাগাতে পারলেই যাকে মোথা, যার কথায় এটা স্পষ্টই বোঝা গিয়েছে তিনি করে বাড়ীতে রইলুম। ঘরে আলো নেই, অন্ধকারে ছাত্ব ১লা বৈশাখ এর পরও কেন আমি ভাবে আমার সব চেয়ে সাৰ্থক করে দেয়া হয় তাক পেতে হলে আমার কথাটাই কেবল ভেবেছেন, আর কারোটা নয় পড়তে পড়তে টেলিফোতে এসে বললুম, তারপর সেক্টাল ভালোতে, আমার ভাবতে কে উনেই ? আমি তো দর ধাকসির হয়তো বা প্ৰয়োজন আছে । মুখের কথাটাই যে ডেকে মায়াদের দ্ব বলে বসে বসে ঘামতে লােগ । দরিদ্র হয়ে সংসারে আসিনি ; কতজনের ভালোবাসাকে সেপক্ষে যথেষ্ট নাও হতে পারে । ৭ই আগবাঢ় আল মনে দুঃসহ ব্যথা । জীবনের সমস্যা থষ্ট করে শব্দ হোল, ঐ তার আওয়াজ “আমি মায়া কথা জয়ত্বে আমি পেয়ে এসেচি, তারা আমার দোষাটি এমন বলা নেই কওয়া নেই তাকে এমন ধরণের একটা জাজ এমন এক জায়গায় এসে পৌছেচে—যেখানে ভুলে কইছি, মায়া মিত্ৰ। কে আপনি জে আপনি বলে গুলোকে সুস্থ আমায় ভালোবেসেছে আমাৰ গৌরব, এত- চিঠি লিখে বসা কিছুতেই ঠিক হয়নি। সেই চিঠি গেয়ে সে থাকা ছাড়া তাকে এড়াবার আর অন্য উপায় নেই আপনি ?” স্বনের মনের মধ্যে আমি স্থান পেয়েছি, এতজন অামা নিজেই হয়তো মনে মনে হেসেছে, হয়ত আমাকে একটা এ শ্বের থেকে কি মুক্তি নেই, এই ভালোবাসা সঙ্গে আমার হাত থেকে কাপতে কঁাপিতে রিসিভারটা খাল কতবড় এ অধিকার এ অধিকারকে আমি অত সৃষ্টিছাড়া জীব বলে মনে করেছে না, আমি তেবে অভিযানের জন্ম থেকে, এই হৃদয়ের সঙ্গে আত্মতৃপ্তি ন্ পড়ে গেল মনে হোল ইহলোকে পরলোকে যতখানি ডেধে পাগল হয়ে বাব দেখছি । কী যে করি, তার কোথায় সেই দেশ যেখানে কোনো দ্বিধা নেই ব্যবধান, মায়াতে আমাতে ব্যবধান আজ যেন তখানিই মাকে সুখী করা, মিনিকে সুখী করার কাছে সুবৰ্ণকে ঠিক নেই । কানো সংশয় নেই, যেখানে মায়াও নেই সুবৰ্ণও নেই তথানি দূর থেকেই তার অশরীরী আওয়াজটুকু যেন গ্ৰহণ করার মতো স্বাক গ কত তুচ্ছ কথা! আজি নুতন ১শে জৈষ্ঠ । কাল সমস্ত রাত ভাবনালো মাথায় কোথায় ? আমার কানে এসে বাজছে । বৎসৱে প্ৰথম দিনে এই ভসংকল্প নিয়ে, সমস্ত দ্বিধা নিয়ে লোকালুমি করেছি।—কেন আমি অধীর হৃদ্ধি ? মনটাকে এতদিন ধরে কেবলি ক দিয়ে আমি ই আষাঢ় । মিনি ভোরে উঠেই ইসারা ফয়ে আত্মা দুৰ্ব্বলতাকে আমি িনঃশেষ করে চুকিয়ে িদ । সুবৰ্ণের পক্ষে চুপ করে থাকাটাই ত স্বাভাবিক, আমায় লিয়ে এসেছি । মায়ার সঙ্গে একটা স্তর ব্যবধানকে সৃষ্টি ছাতে ডেকে নিয়ে গেল, বলে “কাল মায়াদির সঙ্গে অনেক এই বৈশাখ। মুখোমুখি দাড়িয়ে বৰ্ণকে একটা কিছু চাটুপটু কিছু বলতে আসাটাই তার পক্ষে আপোন করেও এই ক'দিন কম্পাসের ফঁাটার মতো তারি চারিদিকে ক্ষণ কথা হোল । সে তোমাকে একটুও কুলতে পারেনি, বলা খুব কঠিন হোতএমনি লাজুক সে। কিন্তু আমি হোত । আমি ঘুরে মরেছি ড়িয়ে চলে মনে করেছি জয় করলুম, পাবেও না ...তুমি এখন কি কবে ? জানি জামাকে সে ভালোবাসে, তার চোখের দৃষ্টি থেকে - ৩রা আধা । মার বার্থক্যের প্রসঙ্গ তুলে ভাঙ্গ তাঁর কিন্তু এড়িয়ে চলায় সম্পৰ্ক যে মন্ত সম্পৰ্ক। তার সামনে বুক আমি বিত্রত হয়ে চুপ করে ইলুম। আবার সে বলে চার মনের এই পরিচয় আদি গ্ৰহণ করেছি । তাই অনেক কাছে সুবৰ্ণের কথা পাড়লুম তিনি মুখটিকে কালে বয়ে দিয়ে গিয়ে বে দাড়াতে পারিনি, এতে করেই তো তার মায়াদির ওপর এ তুমি কিসের শোধ তুল্‌ছ দাদা ? তেবে মিনিকে দিয়ে আজ তাকে একথানা চিঠি লিখে স্তব হয়ে বসে রইলেন । মিনিও কয়েকটা দিন ধরে শুদ্ধ প্ৰভাবকে মেনে নেওয়া হয়েছে অাজ বুঝতে পারছি, শোধ ! মায়ার ওপর শোধ ! কিন্তু একথা তো অস্বীকার পাঠিয়েছি। লিখেছি :—“তুমি নাহলে মিনিয়া চলবে না, হয়েই আছে। এরা সকলে জুটে আমায় ক্ষেপিয়ে হিন্তে লব মনে করে মনের সেই গভীরতার জায়গাটিতে তাকে া রও উপায় নেই। বন্ধুম “ধৰ্ম্মফে না হলে তোৰে তোমার সহায়তা পেলে মার শেষজীবনে তাকে আমি সুখী মুক্তি এটেছে রেখে দিয়েছি, যেখানে আমার নিজের দুটিও সহজে গিয়ে চলবেন যিনি, তাকে যে ভালোবাসিস তুই । তে পারব। আমি জানি এখনি আমার কিছু বলতে অামি হয়ত একটা মস্ত বড় ভুল করেছি এমনি একটা পোঁছার না শক্ত করে হাতে মুঠো বেঁধে মিনি বল্পে তাকে ভালো তোমার বাধ্যবে, কিন্তু একদিন তুমি আমায় বোলে৷ তাছায়া গোছের ভয় অামাকে পেয়ে বসেছে । মা আর ৮ই আষােঢ়। মায়া, আমার মায়া ! আগুনের শিখায় বাসি বলেই তার সুখটা আমার খুব বেশী করে তাৰ বায় । তোমার কাছ থেকে কী বানি আশা কব, কতটুকু আশা মিলির মধ্যেকার এই দুটো বিরুদ্ধ জিনিখের কোথাও কি মতো দীপ্ত তার পখানির ওপর ছোট কোকড়া চুলের তাকে কিছুতেই আমাদের বোঁদি করা হবে না । কব,তুমিই সেকথা একদিন আমায় জানতে দিও সে সমাধান নেই ? তাদের গুণী করতেই না আমি সুবৰ্ণকে গোছগুলি ধোঁয়ার মতো কালে সে যখন চলে জয় আমি অবাক হয়ে বন্ধু “আমি যে অংকে কথা দিয়ে অবধি আমি অপেক্ষা করব ।” গ্ৰহণ করতে প্ৰস্তুত হয়েছিলুম ? আজ তাকে পতাকার মতো সেগুলো স্কুলে ছলে ওঠে। এত অল্পতেই ফেলেছি, বলেছি আজীবন তার জন্তে অপেক্ষা- ফৱৰ ? দিবি চিঠিখানি নিয়ে নিঃশব্দে ইস্কুলে চলে গেল। তার নিজের করে পাওয়ার প্রলোভন তাদের একটুও টলাতে সে আপন হতে পারে আবার এত আয়েতেই সে নিজেকে সে বয়ে “এ সত্বেও তাকে ত্যাগ করার চেয়ে তাকে মুখে একটুও হাসি দেখা গেল নামে। অদ্ভুত মেয়ে,—প্রক পারছে না কেন ? পর করে দেৱ যার মতো আপন সিংসারে কেউ ছিল গ্ৰহণ করাটাই ঢের বেশী অথায় হয় বলে আমি মনে ঝে ওঠা দায় ! আষাঢ় । যাব, মাকে স্বাক্ষ তযু কতকটা বো ন, আজ সে পর এণ্ড পর, যে, তাকে ভাব বা অধিকার করি। নিজে তার কাছ থেকে যা পাবে আশা কয়ে ২৯শে জ্যৈষ্ঠ। দুটি মাস ত কাটে ! ডাকের চিঠিগুলোকে গেলে । আমার ঠার ঘ ডেকে নিয়ে তিনি বলেছেন , টুকু পৰ্যাস্তু আমার আজ নেই ; কিন্তু দোষ তো আমারই তাকে কথা দিয়েছ তার প্রতিমানে তাকে কতটুকু দিতে তুলি গোজ ব্যীভাবে হাড়ে দেখি ; বর্ণের কাছ থেকে আজও “সুবৰ্ণের মতো মেয়ে পাওয়া খুব ভাগ্যের কথা, এমন মো কোন অপরাধে মায়ার এ শাস্তি ? কী সে করেছে যায় প্ৰস্তুত হয়েছ শুনি ? কোনো জবাব এল না তো ! একটা মনগড়া আশ্বাসে হয় না কিন্তু আমরা নিজের দিক্‌টাই দেখব, ভালো জন্তে আমি তার সকল মেহের দাবীকে তুচ্ছ করে তারই গ্ৰামোফোনের মতো অসাড় গলায় আমি যায় তুলিয়ে দিনগুলোকে ঠেলে ঠেলে এসেছি, এইবার তারা মেয়েটিই নেব কেবল এ হলে ত চলে না,—আরেকটা জিনি সিংহাসনে আরেক জনক জোর করে এনে বসিয়ে দিয়েছি ? ‘তবু—” হেঁাচ খেয়ে পড়েছে। এমন করে তো আর চলে না । যে পুব বেী করেই দেখবার আছে। মিনির শত দোষ ১১ই আষাঢ় । মায়াদের বাড়ীত্বে কাল আমাদের সে তাড়াতাড়ি বলে উঠল “তুমি সেই চিঠিয় কথা