পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৩৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰধাণী—মাখিন, ১৩২৪ ১৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড এ কজন লোস্কোর নাম করিতে পারি? আমাদের অনেক লোক রাজনৈতিক কারণে বার বার জেলে গিয়াছে, ঞ্চে বিখ্যাত লোক ৫-এর আগেই দেহত্যাগ করিয়া- কিন্তু প্ৰত্যেক বার খালাস পাইয়া আবার নিজের জীবনের ছে , ৬ এর আগে অনেকের মৃত্যু হইয়াছে। । ৫০৬-এর ব্ৰতপালনে প্ৰবৃত্ত হইয়াছে। তাহারা পাগল সময় না পাও বাধাদের মুদ্ধি বিবেচনা অভিজ্ঞতা কষ্ঠিতা দ্বারা দেশ আত্মহত্যা করে নাই, অসমৰ্থ হয় নাই, বা দমিয়া যায় নাই উপকৃত হইয়াছে, তাহাদের সংখ্যা পাশ্চাত্য দেশের তুলনায় অধুনা রাজনৈতিক বা অন্যবিধ কয়েদীদিশ্বকে পাশ্চাত্য সভা দেশসকলে কোন প্ৰকার অমানুবিক যন্ত্ৰণা দেওয়া হয় না । ইংরেজরা আমাদের দেশের বড়-বড় সরকারী কাজগুলি আগে আগে কিন্তু অনেককে মাটীয় নীচের অন্ধকার ভিলে তাহার ৫৭৬০ বৎসর বয়সে থরে বন্ধ করিয়া রাখা হইত ; কেহ কেহ সেইক্সপ ঘহে এই শহইতে সঞ্চিত অৰ্থ ও অভিজ্ঞতা লইয়া স্বদেশে লোহার খাচায় থাকিতে বাধ্য হইত, কাহাকেও কাহাকে চলি যান। সেসব আর আমাদের ফোন কাজে লাগে না, সেইক্সপ ঘরে পায়ে বেড়ি ও শিকল দিয়া খামে বান্ধিয়া ছাদে দেশের কাজে লাগে । আমাদের দেশী কক্ষীরাও অনেকে এ অবস্থাতেও বাচিয়া থাকিয়া আবায়ু দি ইহলোকে সঞ্চিত অভিজ্ঞতা ও বুদ্ধিবিবেচনা লইয়া যখন মুক্তি পাইয়া সুৰ্যোর মুখ দেখিয়াছে, অমনি নিজের বয়সে বা তা আগেই পৱলোক যাত্ৰা নিজের বিধিনিৰ্দিষ্ট কাজে লাগিয়া গিয়াছে। ইহায়া সব শক য়েল, তাছা হইলে তাহাদের সেই পুজি পরলোকবাদীদের মাধ, ক্ষীণজীবী নয় কোল কাজে লাগে কি না জানি মা, আমাদের ত কোন আমাদের দেশে একবার জেলখাটিয়া, নিৰ্ব্বাসনও ভোগ কাজেই লাগে না করিয়া, বা নজরবন্দী হইয়াও, স্বাধীনতালাভের পর আষায় এই জন্ত আমরা সুস্থ শক্ত মানুষ চাই, এমন মানুষ চাই পূৰ্ব্ববং নিজের কাজ করিতে পারিয়াছেন, এক্সপ লোক বেশী হাৱা ৫-এর পরও অন্ততঃ ২০২৫ বৎসর ধরিয়া নিজ নিজ নাই ;—যদিও একজনও নাই এমন কথা বলিতে পায়া সামৰ্থ্য অম্বুসারে কাজ করিতে পারবেন। স্বায় না কেহ কেহ নিৰ্ব্বাসন-সময়ে কিন্ধা আবদ্ধ বা আয়ু-এক কারণে আর-এক রকমের শক্ত মাম্বুধ চাই। নজরবন্দী অবস্থায় পাগল হইয়াছেন, কেহ কেহ আত্মাতা যাহা বিধাতায় বিধান নয়, মানুষের বিধি, তাহা লম্বন করিয়াছেন, কাহারও কাহারও স্বাস্থ্য এত খারাপ হইয়াছে গ্নি অনেক দেশসেবককে জেল খাটিতে হইয়াছে, কিম্বা মন এমন আতঙ্কে পূৰ্ণ হইয়াহে, যে, তাহাদের পক্ষে ক্ষীৰাকেও যা নিৰ্ব্বাসিত হইতে । এমন অনেক : নিগৃহীত হইবার পূৰ্ব্বে র মত জনহিতসাধন েচষ্টা দুঃসাধ্য হইয়াছে লোক ফারাক্ষদ্ধ, নিৰ্ব্বাসিত বা নজরবন্দী হইয়াছেন, যাহাদের বা অসাধ্য হইয়া গিছে। ইংলও যখন দেখিতিেছ কি ঠিক অভিযোগটা যে কি, তাহা পৰ্য্যন্ত জানা যায় এখন বিনা বিচারে মানুষের স্বাধীনতা লুপ্ত হইতেছে, ই। আমাদেক বিশ্বাস এবং দেশের বিস্তর লোকের বিশ্বাস, তখন আমাদের দেশে যে এইঙ্কপ অবস্থা আরও অনেক শতশত এক্সপ লোফের স্বাধীনতা লুপ্ত হইয়াছে যাহারা দিন চলিবে না, এরুপ আশা করা যায় না। কিন্তু এক্সপ বিধাতায় বা মানুষের কোন আইন ভঙ্গ করে নাই । যে-সব অবস্থাসৱেও এদেশের কৰ্ম্মাদিগকে বিধিনিৰ্দিষ্ট কাজ করিতে পাইনে বলে বাজপুৰুষেরা এমন নিরপরাধ লোকদিগকেও হইবে । দুই একবার নিগৃহীত হইলেই ভাঙ্গিয়া পঢ়িলে স্বাধীনতা হইতে বঞ্চিত করিতে পারেন, সে-সব আইন চলিবে না। শক্ত মানুষের দরকার সহ করিলে সাত সঙ্গে রদ হইবে না। যাহারা এখন প্ৰভু আছে, তাহারা হয় ; কিন্তু দুৰ্ব্বলের মত সহিলে লাভ হয় না, সবলের মত বজায় রাখিযায় স্নায় ক্ষযাগ ও আবকমত ভবিষ্যতে সহিলে প্ৰাণ পাওয়া যায়, মহাপ্ৰাণ হওয়া যায়। অনেকের স্বাধীনতা লুপ্ত করিতে কুষ্ঠিত হইবে জঙ্ক দেশের লোককে প্ৰস্তুত থাকিতে হইবে । সেবা করিয়াছেন, তােহাৱা সকলেই সম্মানের পাত্ৰ না দেশের ইতিহাসে দেখিতে পাওয়া যায় , কৃতজ্ঞতাতাজন। তাহারা আরও সেবা করিতে পাবেন ৬ষ্ঠ সংখা বিবিধ প্ৰসঙ্গ- শক্ত মানুষ চাই নাই বলিয়া তাহদের নিন্দ করা বা তাহদের প্রতি অশ্ৰদ্ধা রাষ্ট্ৰীয় কী হইতে চান, তাহাদিগকে নিঃসঙ্গামেীী দেখান, অামাদের উদ্দেশ্য নয় । আমরা কেবল এই বুলিতে অবস্থায় কালাপনে অভ্যন্ত এবং মনের সুস্থতা ও আনয়ে মণ্টেণ্ড কিম্বা সমগ্ৰ ব্রিটিশ জাতি ইহা আমাদের জন্য সহজ সাধক ৷ এই অবস্থা লাভ করিয়াছেন । ইহা রিয়া দিতে পারেন না । এখন বেমন আমাদিগকে অসাধ্য নয়, দুঃসাধ্যও নহে । বিদেশী রাজকৰ্ম্মচারীদের প্রভুত্ব ক্ৰমশঃ লুপ্ত করিয়া একটি নুতন আইন অনুসারে ইংলয়ে বাটলক্ষীলা আমাদের কতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত করিবার জন্য চেষ্টা করিতে পালেমেন্টের প্রতিনিধি নিৰ্ব্বাচনের অধিকার পাইয়াছেন ইতেছে, ভবিষ্যতে তেমনি আমাদের স্বদেশী যে-সব শ্ৰেণীর যুদ্ধের পূৰ্ব্বে শত শত নারী এই অধিকার লাভে লোকের হাতে ক্ষমতা আসিবে, কৰ্ত্ত যাহাতে তাহাদেৱ নানাপ্ৰকায় উৎপীড়ন ও যাতনা সম্ভ করিয়াছিলেন । জাহাজ একচেটিয়া না হয়, সকল শ্ৰেণীর লোকে স্নায় ক্ষমতা লাভ ফল এতদিনে ফলি অনেকে ইছা করিয়া আইন করে, তাহার জন্যও লড়িতে হইবে । স্বাধীন ইংলও মানিয়া জেলে যাইতেন, এবং সেখানে উপবাসী থাকিতে । শ্ৰমজীবীদিগকে এবং নারীগকে এই জন্য লক্তিতে হইয়াছে, অনেককে জোয় করিয়া নাকের ভিতর দিয়া নলচালাই এবং এখনও এই সংগ্ৰাম করিতে হইবে। এই সংগ্ৰাম খাওয়ান হইত ; তাহাতে তাছাদের খুব ধৰ্ম্মণা ইক্তা কিন্তু দায়ি সংগ্ৰাম হইলেও ইহার জন্য সাহসী, অধ্যবসায়ী, কয়েকদিন পরেই এই উপবাসত্ৰীষিগকে ছাড়িয়া দিতে, কষ্টসহিষ্ণু লোক চাই । হইত আমরা বিলালিতায় অভ্যস্ত, আরামে অভ্যস্ত, কো ইংলণ্ড মেরো ভারতবর্থের পুরুষদের চেয়ে জা আমাদের স্বাস্থ্য, দুৰ্ব্বল আমাদের মন, ক্ষীণজীবী আমরা এই প্ৰভেদটা কিন্তু স্বাভাবিক নয় ; আমরাও শক্ত হইতে জামাদের দ্বারা সোজা কাজ হইতে পারে । কিন্তু ঝড়ের এপৰ্য্যন্ত আমরা যত নেতা পাইয়াছি, তাহারা সকলে আগে বুক পাতিয়া দিতে পারেন , এমন লোকের দরকার উচ্চশ্রেণীর লোক , সুতরাং তাছাদে অধিকাংশই লাহে । বিদ্ৰোহ বা বিপ্লবের কল্পনা আমরা করিতেছি বিলাসে, অন্ততঃ আরামে, অভ্যন্ত । সেই দ্য অনেকে না বটে ; কিন্তু শাস্তির সময়েও ত ঝড় বন্ধু ঝড়ের সময়ে মানুষের মত কাজ করিতে পারেন নাই শুধু সাহস দেখাইবার জন্তু হঠকারিতা করিয়া, একটা এইজন্তীয় উচ্চশ্ৰেণীয় নেতাদিগকে বা নেতৃত্বাভিলা আইন ভঙ্গ করিয়া, টাঙ্ক না িদয়া বা সরকারী হুকুম দিগকে বিলাসিতা ও আৱাম বৰ্জন কয়িতে হবে, বা । মানিয়া জেলে যাইতেই ইবে, এমন পৱামৰ্শ কোন ভগবান নিয়শ্রেণীর কষ্টসহিষ্ণু নেতা িনশ্চয়ই পাঠাইবেল । বিবেচক ব্যক্তি দিবেন না। কিন্তু দেশের কল্যাণের জন্য, সৰ্ব্বসাধারণের মধ্যে শিক্ষা বিস্তার এবং আন্ধান্ত উপাছে সঞ্চ মনুষ্যত্ব অক্ষুদ রাথিার জন্য সৰ্ব্ববিধ দুঃখ সহ করিতে দেশকে ভগবান এইজল জাগাইতেছেন প্ৰস্তত থাকিতে হইবে, ইহাই সুপৱামৰ্শ । আপনি অষণ হলি, তবে জেলের খাদ্য, জেলের পরিচ্ছদ, জেলের শয্যা, জেলের বল দিবি তুই কারে উঠে দাড়া উঠে ছাড়া, ঘঞ্চ বাহার জীবনধারণের পগে যথেষ্ট, তাহার দ্বারাই পড়ি নাৱে । সকল অবস্থায় রাষ্ট্ৰীয় কৰ্ত্তব্য পূৰ্ণমাত্ৰায় সাধিত হইতে করিম দে লাজ, কসি দে কয়, পারে —বিশেষত যে-সব দেশে এখনও জাতীয় আত্ম আপনাকে তুই করে দে সবাই তখন সাড়া দেবে, প্ৰতিষ্ঠিত হয় নাই । আরামপ্ৰিয়তা ও বিলাসিতা বাহির হদি হলি পথে দিগ্নিদে আর ফোম মতে বিয়া রাখিলে অনেকে পাগল হইয়া যায়। পাশ্চাত্য থেকে থেকে পিছন্দ পানে লেশেও ফায়ারক্ষকদের অভিজ্ঞতা। এইক্লপ । যাহোৱা