** প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩৪ [ ২৭শ'ভাগ, ১ম খণ্ড কৰ্ম্ম-যেনি-স্বকৃত কৰ্ম্ম অছলারে মাহুৰ পুনর্জন্ম -লাভ করে । “কৰ্ম্ম-বন্ধু—কৰ্ম্মই মানবের বন্ধু।
- কন্ম-পটিসরণ-কৰ্ম্মই মানবের সরণ বা আশ্রয় । ,
ইহার পরে গোন্তম বিস্তৃতভাবে ব্যাখ্যা করিয়া বুঝাইয়া দিয়াছেন দে দৈহিক, মানসিক, এখং অপরাপর পাধি ধtহ কিছু শুভ, তাহা পূৰ্ব্বজন্মের স্বকৃতির ফল এবং যাহা কিছু অশুভ তাহা পূৰ্ব্বজন্মের দুষ্কৃতির ফল । এই স্থলে তিনি আরও বলিয়াছেন যে, স্বকৃতি-দুষ্কৃতির জন্য মাম্য স্বৰ্গ-নরকও ভোগ করিয়া থাকে । ( মজ ৩২•২ i ( به ۹۰. তিনি বলেন, কৰ্ম্মাহুসারে মামুষের s প্রকার গতি হইয়া থাকে। সে পাঁচটি গতি এই – (১) নিরয়, (২) তিৰ্ধাকৃ-যোনি, (৩) প্রের্ত-যোনি, {৪) মচুন্য-জন্ম এবং (খ) দেবজন্ম মণ্ড ১৭৩ ; দীঘ ৩২৩৪ ; আজুত্তর ৪৪৫৯ ইত্যাদি ) । কোন কে স্বলে ছয় গতির কথাও বলা হইয়াছে। এ স্থলে “ র জন্ম’ অতিরিক্ত ( দীঘ ৩২৬৪ ) । অনেক স্থলে গৌতম বিশেষ বিশেষ ব্যক্তির নাম "উল্লেখ করিয়া বলিয়াছেন, অমুক ব্যক্তির গতি স্বর্গে, অমুক ব্যক্তিয় গতি নরকে ইত্যাদি । নিয়ে কয়েকটি স্থল উদ্ধত হুইল । {क } দেবদত্ত পৃথিবীতে ভীষণ দুষ্কৰ্ম্ম করিয়াছিল। এজন্য তাহাকে এক কল্প “অবাঁচি’ নামক নরকে বাস করিতে হইবে ( বিনয় পিঃ চুল্ল ৭৪৭,৮; ইতিবৃত্তৰ ৮৯; অন্ধুত্তর, পৃ ৩৪-৩ ইত্যাদি ) - - ( * } কোকালিক নামক ডিস্থ এই পৃথিবীতে দুদ্ধশ্ব -করিয়াছিল, সেইজন্য সে ইহকালে ব্যাধিগ্রস্ত হইয়াছিল, এবং মৃত্যুর পরে পদুম {=পদ্ম ) নামক নরকে প্রবেশ করিয়াছিল (সংযুক্ত ১১৫০–৯৫১ , sig ا(م ۹ لا-۵۹۰ ه - (히) - সংযুক্তনিকায়ের এক স্থলে { ২২৫৪—২৬২ ) লিখিত আছে যে, দিব্যচক্ষু দ্বারা মহ মেংগলান এবং গোতম - - - __ উভয়ই ২১ জন পরলোকগত নরনারীর অবস্থা ধর্শন করিয়াছিলেন । ইহারা পার্থিব দশায় কে কোথায় মাস করিত এবং কে কি কাৰ্য্য করিত-গোতম তাহাও বর্ণনা করিয়াছেন । এই সমূদ্রায় অংশ হইতে আমরা সিদ্ধান্ত করিতে পারি যে, গোতমের মতে ইহলোকে পুরুষ কৰ্ম্ম করে ; পরলোকে সেই পুরুষই কৰ্ম্মফল ভোগ করে। কিন্তু এ বিষয়ে দুই প্রকার আপত্তি উত্থাপিত হইয়। আসিতেছে। (১) এক শ্রেণীর লোক বলেন, পুরুষ ইহলোকে কৰ্ম্ম করে ইহা সত্য । যখন যখন লেহু বিনষ্ট হয়, তখন কেবল কৰ্ম্মই থাকে, আর কিছুই থাকে না। পরকালে এই কৰ্ম্মই ফল প্রসব করে ; এই কৰ্ম্ম হইতেই এক নূতন পুরুষের উদভব হয়। সেই পুরুষই কৰ্ম্মফল ভোগ করিয়া থাকে । (২) বুদ্ধঘোষ এবিষয়ে আরও অগ্রসর। তিনি পুরুষেরই অস্তিত্ব স্বীকার করেন না ; কৰ্ত্ত ইহলোকেও নাই, পরলোকেও নাই ; আছে কেবল কৰ্ম্ম । তিনি ‘বিহুদ্ধি মগগ’ নামক গ্রন্থে ( পৃ:৫১৩, ইং সং ) এই t প্রকার লিথিয়াছেন :-- “দুঃখ আছে কিন্তু দুঃখী নাই ; কাৰ্য আছে কিন্তু কর্তা নাই ; নিৰ্ব্বাণ অাছে কিন্তু এমন পুরুষ নাই যে নিৰ্ব্বাণপ্রাপ্ত ; পথ আছে কিন্তু পথিক নাই”—অনেক লোক | মনে করেন ইয়াই বৌদ্ধধৰ্ম্ম । ইয়া এক শ্রেণীর বৌদ্ধ মত হইতে পারে, কিন্তু ইহা বুদ্ধের মত নহে। তিনি অসংখ্য স্থলে অন্য কথা বলিয়া গিয়াছেন । কয়েকটি প্রমাণ দেওয়া যাইতেছে । ( > ) আমাদের প্রথম বক্তব্য এই–গোতুম মনে করিতেন, পুরুব আছেন যিনি কৰ্ম্ম করেন, কৰ্ম্ম ত্যাগ করেন এবং মোক্ষলাভ করেন। সংযুক্ত-নিকায় গ্রন্থে ‘ভার’ শীর্ষক একটি উপদেশ আছে । এইস্থলে গোতম এইরূপ বলিয়াছেন *— . “হে ভিক্ষুগণ ! আমি তোমাদিগকে ভার, ভারহার' ( অর্থাৎ ভারবাহী), ভারগ্রহণ এবং ভার নিক্ষেপ— এই কয়েকটি বিষয়ে উপদেশ দিতেছি। হে ভিক্ষুগণ ! ভার কাহাকে বলে ? দেহ, বেদনা { --Sensation TSAASAAAS