১ম সংখ্যা] | গোতমের ধৰ্ম্মে আত্মার স্থান ১১ A বেপুল নামক পৰ্ব্বতের স্কায় বৃহৎ সপ্তম বক্তযুক্ত নিকায় ২,১৮৫ ) পূৰ্ব্ব জন্মে এক পুগগলস্স শব্দটির প্রতি প্রণিধান করা এই ক্ষমত/একই পুরুষের অসংখ্য জন্ম। མ་ ༦༠ ༩༥) !.টি অংশে পৃথক পৃথক ভাবে যাহা বলা হইয়াছে - নিম্নে একসঙ্গে সংক্ষেপে উদ্ধত হইল। গোতম Mলিতেছেন ঃ– এপ্রকার সত্তা পাওয়া সহজ নচে, যে দীর্ঘকাল কখন -(১) মাত বা (২) পিতা বা (৩) ভ্রাতা ব| (৪) ভগিনী বা (৫) পুত্র বা (৬) কস্তারূপে কখন জন্মগ্রহণ করে নাই। ( সংযুক্ত ২১৮৯–১৯০ ) সংসারের আদি জানা যায় না—ইহা ব্যাখ্যা করিতে যাইয়া গোতম ঐ ‘অনমতগগ সংযুক্তে পূৰ্ব্বোক্ত কয়েকটি দৃষ্টান্ত দিয়াছেন। সংসার অনাদি ; এইঞ্জস্য উদ্ধৃত অংশে "দীর্ঘকাল’ শব্দ ব্যবহৃত হইয়াছে। একই মানবের অসংখ্য জন্ম। কোন না কোন জন্মে তাহাকে মাতা, পিত, ভ্রাত, ভগিনী, পুত্র বা কন্যা হইতে হইয়াছিল। এস্থলে একই মানবের বিভিন্ন জন্মের কথা বলা হইল । (히)’. গোতম বলিতেছেন :– *হে ভিক্ষুগণ দীর্ঘকাল তোমরা গে, মহিষ, মেয, অজ, মৃগ, কুকুটৰূপে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলে ; এবং তোমাদিগের মস্তক ছেদন করা হইয়াছিল ; তোমাদিগকে চোর, গ্রামলুণ্ঠক, পরিপন্থী দস্থ্য বা পরদারিক রূপে ধৃত করিয়া তোমাদিগের শিরচ্ছেদন করা হইয়াছিল। ইহাতে যে রক্তপাত হইয়াছিল, তাহা চারি সমুদ্রের জল অপেক্ষাও অধিক।“ (সংযুক্ত ২১৮৮ ) క్షత (घ) “হে ভিক্ষুগণ। দীর্ঘকাল নানাভষ্মে মাতৃস্তষ্কের যত | পান করিয়াছ, তাই চারি সমুদ্রের জল অপেক্ষাও অধিক” । (সংযুক্ত ২১৮১ ) (西) “তোমরা দীর্ঘকাল মাতৃমরণ, পুত্ৰমরণ, দুহিতৃমরণ, জ্ঞাতিগণের বিপদ, অর্থহানি, রোগ—এই সমুদ্বয়ের জন্ত যত অশ্রু বিসর্জন করিয়াছ তাহ চারি সমুদ্রের জল অপেক্ষাও অধিক ৷’’ ( সংযুত্ত ২১৮০ ) ( 5 ) *হে ভিক্ষুগণ ! যখন তোমরা দুঃখ দেখিবে তখন এইপ্রকার চিস্তা করিবে—“আমরাও দীর্ঘকাল এইপ্রকার অনুভব করিয়াছি” । ( সংযুক্ত ২১৮৬ ) ( ६ ) “হে ভিক্ষুগণ! যখন তোমরা সুখ দেখিবে, তখন তোমরা এইপ্রকার চিন্তা করিবে-আমরাও দীর্ঘকাল এই প্রকার অঙ্কুভব করিয়াছি” । ( সংযুক্ত ২১৮৬, ১৮৭) পূৰ্ব্বোক্ত সাতটি অংশে আমরা অনমতগগ সংযুক্তের ১২টি স্থল বিচার করিয়াছি। প্রত্যেক স্থলেই বলা হইয়াছে, একই পুরুষ অসংখ্যবার জন্মগ্রহণ করিয়াছে। যে একজন্মে কওঁ, সেই অপর জন্মে ভোক্তা ; আবার যে ভোক্ত। সেই কওঁ। এই সমুদায় অংশে গোতম কর্তা ও ভোক্তার একত্ব স্বীকার করিয়াছেন । • 3 ( & ) / যষ্ঠ বক্তব্য এই যে, স্বগে বা নরকে গমন করিলেও সে-স্থলে পার্থিব স্মৃতি বৰ্ত্তমান থাকে । ( क ) দীঘীনকায়ের মহাপদান মুভস্তে গোতম স্বয়ং বর্ণনা করিয়াছেন যে, তিনি এক সময়ে ভিন্ন ভিন্ন স্বৰ্গ-লোকে গমন করিয়াছিলেন। তখন দেবগণ তাহার নিকট উপস্থিত হইয়া নিজেদের পার্থিব জীবনের বিষয় বর্ণনা করিয়াছিল । কেহ কেহ বলিয়াছিল— “আমরা ভগবান ৰিপষ্ঠীর নিকটে ব্রহ্মচৰ্য্য উদ্যাপন করিয়া সমুদয় আসক্তি ছিন্ন করিয়াছিলাম।” ( দীঘ ১৪৩,২৯ ) ইহার পরে অপরাপর অনেক দেবতা আপনা*ে মানবজীবনের বিযয় বর্ণনা করিয়াছিল। L-গ্ৰী
- ; پینیه