পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$’ ১২ প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩৪ [ ২৭শ ভাগ, দ্ধের সময়ে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন সৰ্ব্বশেষে কথা-প্রসঙ্গে ঘটিকার গোতমকে তাহারা বলিয়াছিলেন :– বলিয়াছিল – - “ভগবানের নিকট আমরা ব্রহ্মচৰ্য্য উদযাপন করিয়া আসক্তিশূন্ত হইয়াছিলাম। এখন আমরা এই লোক প্রাপ্ত হইয়াছি।” দীঘ ১৪৩৩e গোতম দেব-লোকে গমন করিয়াছিলেন কি না, তাহা বিচাৰ্য্য নহে ; বিচারের বিষয় তিনি মানব ও পরলোক বিষয়ে কি-প্রকার মত পোষণ করিতেন। পূৰ্ব্বোক্ত অংশ হইতে প্রমাণিত হইতেছে যে, গোতম বিশ্বাস করিতেন পুণ্য কৰ্ম্ম করিলে মান্য স্বর্গে গমন করে এবং স্বর্গে গমন করিলেও তাহার পার্থিব স্মৃতি বিলুপ্ত হয় না। ইহাতে প্রমাণিত হইয়াছে যে, যে-মানব ইহলোকে কৰ্ম্ম করে, সেই মানবই স্বৰ্গলোকে স্বকৃত কর্মের ফল ভোগ করে । (খ ) অজিতের ঘটনা গৌতম বলিতেছেন— অধুনা অজিত নামক লিচ্ছবী সেনাপতির মৃত্যু হইয়াছে ; তাহার পর সে ত্রয়ন্ত্রিংশ দেবগণের রাজ্যে রিয়াছে। সে আমার নিকট উপস্থিত হইয়। এইরূপ ལྟའི༽ི་ :— “নগ্ন সন্ন্যাসী পাটিক-পুত্ত নিল্পজ , নগ্ন সন্ন্যাসী পাটিকপুত্ত মিথ্যাবাদী। সে বজ্জিগণের’ গ্রামে এই কথা বলিয়াছে যে, লিচ্ছবী সেনাপতি অজিত মহা-নিরয়ে জন্মগ্রহণ করিয়াছে । আমি মহা নরকে জন্মগ্রহণ করি নাই—আমি জয়স্ত্রিংশ দেবগণের রাজ্যে জন্মগ্রহণ করিয়াছি । ( দীঘ, ৩।১৫ ইং ) অজিতের দৃষ্টাস্তে দেখা যাইতেছে যে, ইহলোকের কর্তা ও পরলোকের ভোক্তা একই পুরুষ (গ) ঘটিকারের কথা ঘটিকার নামক এক জন পুরুষ মৃত্যুর পরে ‘অবিহু’ নামক স্বৰ্গলোকে জন্মগ্রহণ করিয়াছিল। এক সময়ে à: লোক-হইতে গোতম-সমীপে উপস্থিত 湾 - স্ট্র ছিল । “আমি পূৰ্ব্ব বেহলিঙ্গ নামক স্থানে ছিলাম ; আমার নাম ছিল ঘটিকার । আমি গৃহস্থ শিষ্য (উপাসক) ছিলাম ইত্যাদি” । ( ۰وم ,ree لا ) (ঘ) সেরির কথা এক সময়ে ‘সেরি" নামক এক দেব-পুত্র বুদ্ধ সমীৈ উপস্থিত হইয়া কথা-প্রসঙ্গে এইরূপ বলিয়াছিল – *५ ६ “পূৰ্ব্বে আমি এক রাজা ছিলাম ; আমার নাম লি সেরি ; আমি ছিলাম দাতা,ইত্যাদি ইত্যাদি"। ( সংযুক্ত slab. ) (ঙ) অনাথপিণ্ডকের ঘটনা মৃত্যুর পরে অনাথপিওক স্বৰ্গলোকে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন। এক রাত্রিতে তিনি দেবলোক হইতে জেত বনে উপস্থিত হইয়া গোতম-সমীপে ধৰ্ম্ম সাধন ও সারিপুত্র বিষয়ে এক গাখী উচ্চারণ করিয়াছিলেন। প্রাতঃকালে গোতম ভিক্ষুগণকে বলিলেন, এক দেবপুত্র রাত্রিতে আমার নিকট উপস্থিত হইয়। এক গাথা উচ্চারণ করিয়াছিল । গৌতম সেই গাথাও ভিক্ষুগণকে শুনাইলেন । তখন আনন্দ বলিলেন :–ইনি নিশ্চয়ই অনাথপিওক। তখন গোতম বলিলেন— “সাধু, সাধু, আনন্দ ! তর্ক দ্বারা যত দূর সভ্য নির্ণয় করা যায়, তাহা তুমি করিয়াছ। আনন্দ । এই দেবপুত্র অনাথপিওকই” । ( সংযুক্ত ২lse,৫৬ ) এই কয়েকটি ঘটনাতে দেখা যাইতেছে যে, স্বর্গে গমন করিলেও পার্থিব স্মৃতি বৰ্ত্তমান থাকে। ইহা দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, ইহলোকের কৰ্ত্ত ও পরলোকের ভোক্তা একই মানব । ( 5) চতুর্থ বক্তব্যের তৃতীয় সিদ্ধান্ত এইঃ-পরলোকে গমন করিলেও পুরুষের পাখিয স্মৃতি থাকে। এস্থলেও ক্ষেপ যাইতেছে যে, ইহলোকের কর্তা ও পরলোকের ভোক্ত একই পুরুষ । 3