পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

३¢ ● বহির যে ইংরেজী অনুবাদ ভারতবর্ষে বাহির হইয়াছে, তাহারও কয়েকটি সংস্করণ হইয়াছে। তাহার পর বোধ হয় আমিই বলিলাম, জ্যা ক্রিস্তফের বাংলা অম্বুবাদও ক্রমশঃ বাহির হইতেছে। তখন শ্রীমতী মাদলিনু বলিলেন, “ছ, উহা “কল্পোলে’ বাহির হইতেছে বটে।” তাহাতে আমাদের দলের একজন জিজ্ঞাস করিলেন, “আপনি কি বাংলা জানেন ? কেমন করিয়া শিখিলেন ?” তিনি বলিলেন, “অল্পস্বল্প জানি, কালিদাস কিছু শিখাইয়াছিলেন।" রবীন্দ্রনাথের ইটালী-ভ্রমণ সম্বন্ধে কথা উঠিলে, আমরা জানিতে পারিলাম, তথায় দার্শনিক ক্রোচের সহিত রবীন্দ্রনাথের য’হাতে সাক্ষাৎকার না হয়, তাহার জন্য কিরূপ চেষ্টা হইয়াছিল, এবং কি প্রকারে সে চেষ্ট ব্যর্থও হইয়াছিল। ক্রোচে মুসোলিনির দলের লোক নহেন বলিয়া এই চেষ্ট হইয়াছিল। রবীন্দ্রনাথ ও র্তাহার সঙ্গীরা যখন ভিলভে হোটেল ডি বায়রনে ছিলেন, তখন তাহাদের যে ফোটোগ্রাফ ভোগ হুইয়াছিল, শ্ৰীমতী মালিন আমাদিগকে তাহ দেখাইলেন। আমরা অবগত হইলাম, রল্য। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের “ঐকাস্ত” উপন্যাসের ইংরেজী অনুবাদের ইটালীয় অতুবাদ পড়িয়াছেন। তিনি বলিলেন, শরৎচন্দ্র একজন প্রথম শ্রেণীর ঔপন্যাসিক, এবং জিজ্ঞাসিলেন, তিনি আর কি কি বহি লিখিয়াছেন। আমি বলিলাম। জগদীশচন্দ্র বস্ব মহাশয়ের বৈজ্ঞানিক কার্ধের কথা উঠিলে রুল। বলিলেন, “র্তাহার কবি-জনোfচত কল্পনা-শক্তি ও আছে।” তাহাতে আমাদের দলের এক জন এই মর্শ্বের কথা বলিলেন, ধে, ভারতবর্ষে কবি-প্রতিভ, দার্শনিক প্রতিভ, বৈজ্ঞানিক প্রতিভা প্রভৃতির কার্ধ্য আলাদা আলাদা করিয়া সম্বন্ধবিহীন ভাবে দেখা হয় না ; সমুয়ের সমন্বয় সাধন করিয়া জাগতিক সকল বিষয়ের একটি সমঞ্জসীভূত ধারণ করাই ভারতবর্ধের আদর্শ ও লক্ষ্য। তখন রল। জিজ্ঞাসা করিলেন, এই আদর্শস্থায়ী পুস্তক কোন ভারতীয় লিখিয়াছেন কি ? আমি বলিলাম, "আমি ত জানি না।” তিনি জানিতে চাহিলেন, “তেমন উপযুক্ত লোক কেহ আছেন " আমি আচাৰ্য ব্ৰজেন্দ্রনাথ শীল মহাশয়ের নাম গুলিয়াম। রলাঁ জানিতে চাহিলেন, তিনি এখনও কেন প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩৪ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড _一 লেখেন নাই। অবং এরূপ প্রশ্নের উত্তর लौठ भशलम्रक्वे দিতে পারেন। আমি, কেবল বলিলাম, “হয়ত তিনি নিজের ৰোগ্যতা সম্বন্ধে সন্দিহান, অথবা হয় ত তিনি মনে করেন ইহার জন্য এখনও তিনি প্রস্তুত হইতে পারেন নাই, কিম্ব ক্রমাগত নৃঙ্গন অধ্যয়ন ও চিন্ত দ্বারা তাহার ধারণা অল্পস্বল্প পরিবর্তিত হইতেছে, ইত্যাদি ।” রলাদের নিকট হইতে বিদায় লইয়া আমরা ষ্টেশনের দিকে অগ্রসর হইলাম। ঘড়ি দেখিয়া বুঝা গেল, শস্ত্র ট্রেন ছাড়িবে। সুতরাং দ্রুত চলিতে লাগিলাম। আমাদের দলে সৰ্ব্বকনিষ্ঠ ছিলেন সত্যেন্দ্রচন্দ্র গুহ । তিনি দৌড়িয়া আগেই গাড়ীতে উঠিলেন। রজনী-বাবুও উঠিলেন । র্তাহার স্ত্রী পশ্চাতে পড়িয়াছিলেন। আমি বুড় মানুষ, দৌড়ের প্রতিযোগিতায় অসমর্থ স্বতরাং, বগা বাহুল্য, আমি অনেক দূরে সকলের পশ্চাতে ছিলাম। সিটি দিয়া গাড়ী ছাড়িয়া দিল । কিন্তু রজনী-বাবুর স্ত্রী मूह श्झेrउ शड नाख्यि श्राफ़ौ षाभाई८ड अश्ञा१ করিলে, কণ্ডাক্টর মহিলা দেথিয় গাড়ী থামাইলেন এবং বলিলেন, শীঘ্র আস্থান, শীঘ্র অস্কন । তথন রজনী-বাবুর স্ত্রী আঙ্গুল বাড়াইয়া আমাকে দেখাইয়া বলিলেন, আমার জ্যাঠা মহাশয়কে আমি কেমন করিয়া ফেলিয়া যাইব । তখন কণ্ডাক্টর আরো কিছুক্ষ৭ গাড়ী থামাইল এবং আমি গাড়ীতে উঠিতে সমর্থ হইলাম । তাড়াতাড়ি গাড়ী উঠারী: ব্যাপারটির বর্ণনা করার উদ্দেশ্য ইহা দেখান যে, বিদেশে} কোথাও কোথাও কথন কখন অপরিচিত সাধারণ লোকদের জন্যও কণ্ডাক্টরির এক-আধ মিনিট গাড়ী} থামায়। আমাদের দেশে প্রকৃত বা স্থানীয় হোমরাচোমরা} ইংরেজ বা ফিরিঙ্গীর জন্য কখন কথন ট্রেন অপেক্ষা করে বটে, কিন্তু দেশী লোকদের জন্য নয় । গত সেপ্টেম্বরের যে-দিন লীগের সপ্তম বার্ষিক অধিবেশনের শেষ বৈঠক বসে, তাহার আগের দিন “ভারতীয়” প্রতিনিধির মাধ্যাহিক ভোজে ৰয়েকজন ভারতীয় ও অন্ত লোককে নিমন্ত্ৰণ করিয়াছিলেন। তাহার মধ্যে আমিও ছিলাম। নিমন্ত্রণ-পত্রে লেখা ছিল, সওয়ী একটার সময় ভোজ আরম্ভ হইবে। ভারতীয়দের সময়জ্ঞান ও নিয়মনিষ্ঠা কম, ইউরোপ-প্রবাস-কালে এরূপ