*, g ১ম সংখ্যা ] / - r– ___য়ৈর কাছে গ্রামের বাড়ীতে রাখিয়া সপ্তম ཝ་མ་ཧཱའི་(༠ o ༔ ༥༠ নাই । R পূৰ্ব্ব জন্মের/ এই ক্ষমতা ঘটনা-বশে মায়ের সঙ্গে আমি কিছুদিনের বাড়ীতে ছিলাম। বোধ হয় ./ামার বয়স আট বৎসর কি নয় বৎসর হইবে । , থাকিয়া আমি সহজেই গ্রাম্য বালকদিগের সস্থিত ! গেলাম। তাহাদের সঙ্গে সারাদিন হয় ফাদ দোয়েল পার্থী ধরিবার চেষ্টায়, কিম্ব মাঠে গিয়৷ গু-গুলি খেলায়, অথবা ছোট খেলার ঘর তৈয়ারী বরিয়া, কলাগাছ কাটিয়া চারিট বাশের উপর বিধিয়া মহিষ কল্পনা করিয়া তার বলি দিয়া দুর্গোৎসবের অভিনয়ে দিন কাটাইতে লাগিলাম। সেদিনের কথা এখনও উজ্জল রূপে মনে আছে । ষাট বাবটি বৎসর পরেও গ্রামের সেই খেলার সাথীদের চেহারা এখনও ভুলি নাই। তাহাদের মধ্যে অনেকেই ইহলোক হইতে চলিয়া গিয়াছেন। একজনও আছেন কি না বলিতে পারি না। কিন্তু সে খেলাধুলার কথা মনে করিয়া বাৰ্দ্ধক্যেও প্রাণট। কেমন করিয়া উঠিতেছে। সে গ্রাম্যপথ, সে গ্রামের মাঠ, সে হুড়োহুড়ি-মারামারি, থেলা করিতে করিতে হঠাৎ যিরোধের উৎপত্তি ও বহু যত্বে নিৰ্ম্মিত, বহু আদরে সাজান, খেলার ঘর রাগের মুখে হঠাৎ ভাঙ্গিয়া-চুরিয়া ফেল,—সকলই মনে পড়িতেছে। মনে পড়িয়া সে রস আর ইহজীবনে আস্বাদ করিতে পারিব না ভাবিয়া আক্ষেপ হইতেছে। তখন এসকল খেলাধূলা ছাড়িয়া সহরে যাইয়া পাঠশালার শাসনের ভিতর বাধা পড়িতে মন কিছুতেই চাহিত না । কিন্তু মা’ও কিছুতেই আমাকে গ্রাম্যজীবনের উচ্ছ জ্বলতার ভিতরে রাখিতে চাহিতেন না । তিনি নিজে লেখাপড়া জানিতেন না বটে, কিন্তু সস্তান মুর্থ হইয়। থাকিবে এ ভাবন তাহার অসহ ছিল । আমার পড়াশুনায়ু মন নাই দেখিলেই সৰ্ব্বদা কহিতেন, মুর্থ হইয়া থাকা অপেক্ষা মরিয়া যাওয়াও ভাল। এবারেও আমার নিতান্ত অনিচ্ছা হইলেও মা আমাকে জোর করিয়া বাবার কাছে সহরে পাঠাইয়া দিয়াছিলেন। আমি কত \ সত্তর বৎসর ›ዓ কান্নাকাটি করিলাম, বাড়ী হইতে বাহির হইব না,বলিয়া কখন বা ঘরের খুঁটি ধরিয়া, কখন বা মাটি আঁকুড়াইয়। পড়িয়া রহিলাম। কিন্তু ম৷ কিছুতেই ছাড়িলেন না । যাহার সঙ্গে সহরে যাইব, আমাকে টানিয়া হিঁচড়াইয়া লইয়। যাইতে তাহাকে হুকুম দিলেন। সে আমাকে কোলে তুলিয়ু লইল । আমি কামড়াইয়া আঁচড়াইয়াও তাহার সে বাছপাশ হইতে মুক্তিলাভ করিতে পারিলাম ন। চীৎকার করিতে করিতে, হাত পা ছুড়িতে ছুড়িতে, তাহার বন্দী হইয়া সহরের পথে চলিলাম । যতক্ষণ পধ্যস্ত একেবারে গ্রামের সীমানা ছাড়াইয়া না গিয়াছি, আর সহরে না গিয়া অব্যাহতি নাই বুঝিয়াছি, ততক্ষণ পৰ্য্যস্ত আমার কান্না ও হাত পা ছড়াও থামিল না, সেও আমাকে কোল হইতে নামাইল না । মামুয, শিশুই হোক, আর বৃদ্ধই হোক, যতক্ষণ অপ্রিয়ের হাত হইতে অব্যাহতি পাইবার সম্ভাবনা আছে বোঝে, ততক্ষণই প্রাণপণে তাহার সঙ্গে জুঝিয়া চলে । কিন্তু যখন অব্যাহতি পাইবার কোনই সম্ভাবনা নাই দেখে, তখন নিরুপায় হইয়া অনিবাৰ্য্যকে আপনা হইতেই বরণ করিয়া লয়। যখন বাড়ী ফিরিয়া যাইবার আর কোনই সম্ভাবনা রহিল না, তখন আমিও শাস্তু-শিষ্ট হুইয়া সহরের মুখে চলিতে লাগিলাম। (૭)
- ফেঁচুগঞ্জে মা বাবার সঙ্গে যান নাই, আমি গিয়াছিলাম। এই বোধ হয় জীবনে প্রথম আমি মাকে ছাড়িয়াছিলাম। ফেঁচুগঞ্জ কুশিয়ার নদীর তীরে। এখনও কলিকাতা হইতে কাছাড়ের ষ্টীমারের পথে ফেচুগঞ্জ একটা বড় ষ্টেশন হইয়া আছে। ফেঁচুগঞ্জ-ঘাট আসাম-বেঙ্গল রেলেরও একটা ষ্টেশন। কিন্তু এখনকার ফেচুগঞ্জ দেখিয়া আমার বাল্যকালের ফেঁচুগঞ্জের স্মৃতি মনে জাগে না । সকলই যেন ওলট-পালট হইয়া গিয়াছে। নদীর উপরেই আমাদের বাস ছিল । শ্রীহট্ট অঞ্চলে অনেক ছোট ছোট পাহাড় আছে । স্থানীয় ভাষায় এগুলিকে “টালা” কহে। ফেঁচুগঞ্জেও কতকগুলি “টালী” ছিল । একটা “টলার” উপরে আমাদের বাসা ছিল । তাহারি সম্মুখে আর-একটা “টালায়" মুসেফের কাছারী