পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] প্রয়োগ করেন । তাহ করা স্বাভাবিক এবং তাহার জন্ত সম্পাদকের দোষী নহেন । নারীদিগকেও ইতিহাসপ্রথিত রাজপুত বীরাঙ্গন ও ঝাসীর রাণী লক্ষ্মীবাঈর কথা স্মরণ করাইয়া দেওয়া হয়। কিন্তু এইসব ধিক্কার ও উত্তেজনাবাক্য পড়ে কে ? দেশ যে নিরক্ষর—বিশেষতঃ গ্রামবাসীরা। আর বাণীর রাণী লক্ষীবাঈ ছিলেন মহারাষ্ট্ৰীয়া, যাহাদের মধ্যে অবরোধ ও অবগুণ্ঠন নাই । ধিক্কার ও উত্তেজনা বাক্যাদি হইতে যদি কোন স্বফল ফলিবার সম্ভাবনা থাকে, তাহা হইলে আগে তাহ পড়িবার ক্ষমতা জন্মান চাই। স্বতরাং সাৰ্ব্বজনীন শিক্ষা চাই । পুরুষ বা নারী বিপন্ন অবস্থায় একাকী নিতান্ত অসহায় হইলেও ঈশ্বরে বিশ্বাস কখন কখন সাহসের সঞ্চার করে । এই কারণে এরূপ ধৰ্ম্মশিক্ষার প্রয়োজন যাহাতে মাস্থ্য কোন অবস্থাতেই আপনাকে নিঃসঙ্গ বোধ না করে । আমরা বৈশাখের প্রবাসীতে বলিয়াছি, ষে, অত্যা চরিতা নারীরা যে সবাই বিধবা তাহা নহে। তথাপি ইহ। সত্য, যে, সধবার বালবিধবাদের চেয়ে অস্ততঃ একজন বেশী রক্ষী-বিশিষ্ট । তদ্ভিন্ন, বালবিধবারাও মানুষ বলিয়া প্রাকৃতিক প্রবৃত্তির বশবর্তী। বাল্যমাতৃত্ব না ঘটায় তাহাদের স্বাস্থ্য ও চেহারা সমান বয়সের সধবাদের চেয়ে সাধারণতঃ ভাল । এই সব কারণে দুবৃত্ত লোকের তাহাদিগকে প্রতারিত করিতে ও তাহাদের উপর অত্যাচার করিতে অধিক প্রলুব্ধ হয় । স্বতরাং নারীনির্ধ্যাতন হ্রাস করিতে হইলে, বাল্যবৈধব্যের উচ্ছেদ সাধন তাহার একটি উপায় । ইহা দুই প্রকারে সাধিত হইতে পারে ; বাল্য-বিবাহ বদ্ধ করিয়া, এবং বালবিধবাদের বিবাহ দিয়া । সাক্ষাৎ বা পরোক্ষ ভাবে যে-ষে কারণে বাংলা দেশে নারীনির্ধ্যাতন হইয়া থাকে, আমাদের জ্ঞানবুদ্ধি অমুসারে তাহার কতকগুলির উল্লেখ করিলাম । এই সব কারণ শীঘ্র লুপ্ত হইবার সম্ভাবনা কম । তত দিন কি আমরা নারীরস্কার কোন চেষ্টা করিষ না ? অধগুই করিব। তাহার নানা উপায়ের আলোচনা অনেক काँश्रएख श्रहनकदांब्र कब्र इहेबां८छ् । जांभब्रांe कब्रिग्राहि । বিবিধ প্রসঙ্গ-শিবাজীর ত্রিশতবার্ষিক জন্মোৎসব ২৭৯ এরূপ অত্যাচার নিবারণ নিশ্চয়ই মানুষের সাধ্যায়ত্ত । এই বিশ্বাসে সাহস ও কর্তব্যপরায়ণতার সহিত কাৰ্য্যে প্রবৃত্ত হইলে আমরা নিশ্চয়ই দুঃসাধ্যসাধন করিতে সমর্থ হইব । বৰ্ত্তমানে নারীরক্ষার জন্য যে কয়টি সমিতি আছে, তাহার সভোর সংখ্যা বৃদ্ধি ও আয় বৃদ্ধি একান্ত আবশ্বক, সমিতির সংখ্যা বৃদ্ধিও আবখক। শিবাজীর ত্রিশতবার্ষিক জন্মোৎসব শিবাজীর খ্রিশতবার্ষিক জন্মোৎসব ভারতবর্ষের নানাস্তানে সম্পন্ন হইয়াছে । শিবাজী হিন্দু ছিলেন, কিন্তু তাহার হিন্দুত্বকে বড় করিয়া ভারতীয়ত্বকে খাট করিলে কুফল ফলিবার সম্ভাবনা । যে সব হিন্দু তাহাকে হিন্দু বলিয়া শ্রদ্ধাভক্তি প্রদর্শন করিয়াছেন, তঁtহাদের তাহা করিবার অধিকার আছে । কিন্তু তাহা করিয়াও, র্তাহারা বদি এই সব প্রকৃত ঐতিহাসিক সত্যের উপর জোর দিতেন, যে, তিনি হিন্দুমুসলমান নিৰ্ব্বিশেষে যোগ্য লোকের গুণগ্রাহী ছিলেন ; তাহার অনেক উচ্চ ও নিম্ন পদস্থ মুসলমান কৰ্ম্মচারী ছিল ; তিনি হিন্দু ও মুসলমান উভয় ধর্শ্বের সাধুলোকদিগকে দান করিতেন ; কোরান কোথা' পাইলে তাহার কোন অসম্মান না করিয়া সম্মান করিতেন ; হিন্দু-মুসলমান নিৰ্ব্বিশেষে সকল নারীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করিতেন ; মুসলমানের উচ্ছেদসাধন তাহার উদ্দেশ্য ছিল না ; এবং মুসলমান শাসকের স্বদেশী প্রজাপালকের মত শাসন না করিয়া অত্যাচারী বিদেশী বিজেতার মত শাসন করায়, স্বদেশী স্বাধীন ধৰ্ম্মরাজ্য স্থাপনে তাহাকে প্রবৃত্ত হইতে হইয়াছিল ; তাহা হইলে ঠিক হইত। অনেক বক্তা তাহা করিয়াছিলেন । কোন মাছুষ সৰ্ব্বধৰ্ম্মাবলম্বী হইতে পারে না । কিন্তু ধিনি ষে ধর্মেরই লোক হউন, ভাল কাজ করিলে সকল ধর্শ্বের লোকেরই তাহাকে শ্রদ্ধ করা উচিত। অশোক ছিলেন বৌদ্ধধৰ্ম্মাবলম্বী। কিন্তু তিনি আদর্শ ভারতীয় নৃপতি ছিলেন বলিয়া সকল ধর্মের ভারতীয়দের শ্রদ্ধাভাজন, কেবল বৌদ্ধদের নহে। শিবাজীকেও তন্ত্রপ ভারতীয় -