পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ee 8 পারমার্থিক ও ব্যবহারিক “অহং এবং ‘অম্মি—এতদুভয়ের মধ্যে যে পার্থক্য দেখান হইল-ইহার মধ্যে গভীর দার্শনিকতত্ত্ব লুকায়িত রহিয়াছে। এস্থলে আমরা বেদীস্তের রাজ্যে প্রবেশ করিলাম। “অহং’ অর্থ "আমি’ ‘বিশুদ্ধ আমি । 'অস্মি’র মধ্যে ‘আমি আছি’ বা 'আমি হই এই প্রকার’ ७ऐक्ल% छान निश्ङि ब्रश्ञिां८छ् । বেদাস্তের ভাষায় অহং পারমার্থিক আত্মা ; এবং ‘অম্মি মূলক আমি ব্যবহারিক আত্ম। পারমার্থিক আত্মা অব্যবহার্য্য, ইহা দেশ-কালের অতীত ; স্থতরাং ইহাতে কোন পরিবর্তন নাই। কিন্তু ব্যবহারিক আত্ম কালের অধীন, সুতরাং ইহা পরিবর্তনশীল। পারমার্থিক আত্মা স্বরূপে অবস্থিত ; কিন্তু ব্যবুহারিক আত্মা অবিদ্যা-গ্রস্ত । এই সমুদায় স্থলে আত্ম শব ব্যবহৃত হয় নাই—এবং এই প্রকার আলোচনায় গৌতম ‘আত্মা’ শব্দ ব্যবহারও করেন নাই। বেদান্তের সহিত সাদৃপ্ত রহিয়াছে বলিয়াই আমরা আত্মা’ শব ব্যবহার করিলাম। ভাষা যাহাই হউক না কেন কথাটা এই—“অহং অপরিবর্তনীয় সত্ত— সমুদায় পরিবর্তনের মধ্যে ইহা অবিকারীরূপে বর্তমান । আর 'অম্মি ভাব পঞ্চস্কন্ধমূলক ; ইহার উৎপত্তি আছে, পরিবর্তন আছে এবং বিনাশও আছে। “অহং নিত্য এবং পরিবর্তন-রহিত ; আর "অস্মি" ভাব পরিবর্তনশীল। “অহং এও ‘আমি এবং অস্মি তেও আমি। অপরিবর্তনশীল ‘অহং’ হইতে কি প্রকারে পরিবর্তনশীল 'অহং এর উদ্ভব হইল—তাহ আলোচনা করা আবশ্যক । অবিদ্যা অদ্বৈত বেদাস্তের মতে এ জগৎ অবিদ্যামূলক এবং আমরা যাহাকে ব্যবহারিক আত্ম বলি তাহাও অবিদ্যাগ্রস্ত। গোতমও ঠিক এই কথাই বলিয়াছেন ; তবে তিনি সব সময়ে বোস্তের ভাষা ব্যবহার করেন নাই । উৎপত্তি বিষয়ে গোতম একটি নূতন শব ব্যবহার করিয়াছেন—সেটি পটিচ্চ-সমুম্বাদ ; ইহার সংস্কৃত প্রবাসী-আষাঢ়, ১৩৩৪ { ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড প্রতিশব্দ ‘প্রতীত্য-সমূৎপাদ’। কি প্রকারে বিজ্ঞানাদির উৎপত্তি হয়, ইহাতে তাহাই বর্ণিত হইয়াছে। উৎপত্তির ক্রম এই – (১) প্রথমে অবিদ্য— (२) द्देश्। इ३८ऊ সংস্কার, (*) , বিজ্ঞান, (8) op নাম-রূপ, (*) , ষড়ায়তন, স্পর্শ وو (ن) (?) , বেদনী, (b) , তৃষ্ণ, (*) , উপাদান, ,ভব «و (ه د) (>3) , জন্ম, (SR) , জর-মরণাদি । এস্থলে উৎপত্তিবাদের ব্যাখ্যা করা অনাবশ্বক। কেবল এই মাত্র জানা আবশ্বক যে, মানবজীবনের মূলে অবিদ্যা। যাহা কিছু উৎপন্ন হয়, তাহ অবিদ্যা হইতেই উৎপন্ন হয়। আর একটি জ্ঞাতব্য বিষয় এই—গোতম যাহাকে “অহং’ বা "আমি" বলেন, তাহ প্রতীত্যসমুৎপাদের বাহিরে । সাংখ্য-দর্শনের মতে সমুদায় উৎপত্তির মূলে ‘প্রকৃতি'। এই প্রকৃতি হইতেই বুদ্ধি, অহঙ্কার ইন্দ্রিয়াদির উৎপত্তি। সাংখ্যের পুরুষ এসমূদায়ের বাহিরে। সাংখ্য-দর্শন বেদাস্ত-দর্শনের উপরে অসাধারণ প্রভাব বিস্তার করিয়াছে। উভয় দর্শনের মৌলিক পার্থক্য এই যে, সাংখ্যের পুরুষ বহু এবং বেদাস্তের আত্মা এক। বহু বৈদাস্তিক সাংখ্যের বহু পুরুষের স্থলে এক আত্মা প্রতিষ্ঠিত করিয়া সাংখ্যের প্রকৃতি-তত্ত্বকে বৈদাস্তিক মতে পরিণত করিয়াছেন। বেদান্তে প্রকৃতির বহু নাম ; সৰ্ব্বজনবিদিত নাম অবিস্তা। বেদান্ডের আত্মা অবিদ্যার বাহিরে। এখন গোতমের মত, সাংখ্য-মত এবং বেদন্তি-মতএই কয়েকটি মতের সাদৃশ্ব দেখান যাইতে পারে।