পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সিংহলের প্রাচীন চিত্রকলা শ্ৰী মণীন্দ্রভূষণ গুপ্ত বৌদ্ধধর্মের প্রভাবে ভারতের সভ্যতা ভারতের বাহিরে বিস্তৃত হ’য়ে বৃহত্তর ভারতের স্বাক্ট করেছিল। বৌদ্ধধর্মের বিরাট ৰোধিদ্রুম-তলে ভারতীয় শিল্পকলা বেড়ে উঠেছিল। ভারতের পরিচয় সিংহলের স্থাপত্যে, ভাস্কর্ধ্যে চিত্রে পরিস্ফুট। সিংহলের রাজার বিহার, স্তুপ নিৰ্ম্মাণ করা এবং মন্দিরের দেওয়াল এমন কি ছাদ পর্য্যস্ত— বৌদ্ধচিত্রে ভরে ফেলা পুণ্যকাৰ্য্য মনে করত। এবং চেষ্টার নিয়োগ করতে হত না, তাই তারা তাদের আবেষ্টনকে এমন কি দৈনিক ব্যবহারের নগণ্য তৈজসপত্রকেও সৌন্দর্ঘ্যে ভরে তুলতে পেরেছিল। এই প্রবন্ধে সিংহলের বৌদ্ধবিহারের চিত্র সম্বন্ধে একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিতে ইচ্ছা করি । সিংহলের চিত্রকলাকে মোটামুটি তিন যুগে ভাগ ক’রে ফেলা যেতে পারে । সিগিরির শৈলের দৃপ্ত (দূর হইতে) সিংহলের প্রাচীনকালের সামাজিক শ্রেণীবিভাগে শিল্পী এবং কারদের একটা নির্দিষ্ট স্থান ছিল । ভরণপোষণের জন্ত তার রাজার নিকট হ’তে বিনা-করে জমি ভোগ করত ; কিন্তু রাজার জাহানে যখন কাজ করত তখন ৰিনাপরিশ্রমে কাজ করতে হত। তখন লোকদের অবসর ছিল অনেক । গ্রাসাচ্ছাদনের জন্তু সকল শক্তি ১ম যুগের চিত্র—৭ম শতাব্দীর সিগিরিয়ার ফ্রেস্কো চিত্র। ২য় যুগের চিত্র-পোলানারুয়াতে ডেমল মহাসেম্বার ১২শ শতাব্দীর ফ্রেস্কো চিত্র । ৩য় যুগের চিত্র—১৮শ শতাব্দী থেকে বর্তমান কাল পৰ্য্যস্ত বিভিন্ন মন্দিরের চিত্রাবলী।