পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૭૧સ ক্লাস্তু কাক কক্কায়, আর ককার ও কাশে মাটির ওপর মায়ের ছেলে। পাজরা দুটো খানিক জিরোলে তারপর কষ্টে পথ চললে। চলতে চলতে প্রথম ঠিকানাটাতেই ঠিক ক’রে এল—যেখানে মাষ্টার চায় । বাড়ীর কৰ্ত্ত ঘাড় বাকিয়ে অনেকক্ষণ পৰ্য্যবেক্ষণ ক’রে গুধোলেন—কদ্ধর পড়া হয়েছে ? অমর বল্লে—বি-এ পড়ছি। —কালকে আই এর সার্টিফিকেটটা নিয়ে এস। দেখা যাবে। একদিন খুব জোরে হাপানি উঠলে মা রাগ ক’রে অমরের গলার সবগুলি মাদুলি ছিড়ে ছুড়ে ফেলেছিল, আর অমর রাগ ক’রে ছিড়ে ফেলেছিল—ম্যাটিক আর আই-এর সার্টিফিকেটু দুটে।। মাজুলিগুলির মধ্যে একট। সোনার ছিল বলে’ মা তাড়াতাড়ি সেটা কুড়িয়ে বাক্সে রেখে দিয়েছিলেন, অমরও ভালো হয়ে এক সময়ে সার্টিফিকেট দুটোর ছেড়া খওগুলি কুড়িয়ে রেখে দিয়েছিল একটা চোকেলেফাফায় । আঠ দিয়ে সেই সার্টিফিকেট আজ জোড়া দিতে বসূল। কর্তা বহুক্ষণ সার্টিফিকেটুটা নেড়ে চেড়ে দেখে জাল নয় প্রতিপন্ন করে’ বল্লেন–কিসে ছিড়ল ?— —একটা ছোট্ট দুই বোন আছে,—নাম লুসাই,— দুষ্টুমি ক’রে ছিড়ে ফেলেছে। কৰ্ত্ত ঘাড়টা বার চারেক ফুলিয়ে বল্পেন— আচ্ছা বাপু, বানান করত থাইসিস্ । পরে বল্পেন—বেশ। বল তা ডেনমার্কের রাজধানীর নাম কি ? আকবর কত সালে জন্মেছিল ? এখান থেকে কি করে ডিব্ৰুগড় যেতে হয় ? অমর বঙ্গে—আমি ত পড়াব ইংরেজি আর অন্ধ। আমাকে এ সব প্রশ্ন কেন করছেন ? কৰ্ত্ত খাপ্পা হ’য়ে বল্পেন—আজ-কালকার ছেলেগুলো জু-পাতা মুখস্ত ক’রেই পাশ মারে। আমাদের সময় আমরা কত বেশী জানতাম। কর্তার ছেলে পাশেই ছিল। একটু বেয়াড় রকমের। প্রবাসী—আষাঢ়, ১৩৩৪ [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড বল্লে—যা যা জানতে তাই বুঝি জিজ্ঞেস করছ বাবা। মাষ্টারদের যে প্রশ্নটা ভালো করে জানা থাকে, সেইটেই পরীক্ষায় দেন, আমি বরাবর দেখছি। যেন কাগজ দেথবার সময় অক্ষবিধায় পড়তে না হয় । বাপ একটু দ’মে গিয়ে বল্লেন-আচ্ছ, একটা ইংরেজি রচনা লেখ ত,—দেখি তোমার ইংরেজির কত দৌড়। একটা কাগজ পেন্সিল নিয়ে আয় ত’ টুচু। অমর বললে—কি লিখব ? ক পাতা ? কৰ্ত্ত বল্লেন-লেখ, মাতা-পিতার প্রতি ভক্তি ৮ একশ শব্দের বেশি নয়। এরকমই আসে পরীক্ষায় । টুচু একটু হেসে বল্পে-বাবা, যোলে ‘থিয়োরেম থেকে একটা 'এক্সট্রা' দাও না কবতে। বাপ চ’টে বললেন—যা, ও সব কি দেব ? দেব। মানসাঙ্ক । টুম্ব জোরে হেসে বললে-ওটা বুঝি তুমি জান। 1 ? কর্তা রচনার কি বুঝলেন, তিনি জানেন,--তবে দেখলেন হাতের লেখাটা বেশ পরিষ্কার । বললেন— বেশ। তবে কি না, ইতিমধ্যে একজন বহাল হ'স্কে গেছে। নইলে তোমাকেই নিতুম। টম অফটম্বরে বললে,—কিন্তু বাবা, ইনি ভালো, একে আমার— অমর শুধু বলতে পারলে—এ সব কেন লেখালেন তবে ? কর্তা বললেন—লেখা ত তোমাদের অভ্যেসূ হ’য়ে আছে । কালে ত জীবনের , পেশাই হবে । বরঞ্চ সাবেক কালের এন্টন্স পাশ করা বুড়োর কাছে একটা রচনা দেখিয়ে নিয়ে তোমার লাভই হ’ল । একটু প্রাকৃটিসও হ’ল লেখার । তা ছাড়া রচনাক্স ‘সাবজেক্ট' টা ত খুবই ভাল,-কি বল ? জান হে বাপু, সে-কালের এন্টান্স তোমাদের এ কালের পাচট8 এমূ-এর সমান,-লেটি মনে রেখো । অমর বল্পে এবার—উনি কততে পড়াবেন ? --পনেরো টাকা ।