8s প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩৪ [ २१* छां★, »ञ थ७ পিয়াগ হইতে আনিয়া আমাদের সঙ্গে সেই গ্রামে পৌঁছিয়া দিয়া আসিতে চাহিল। শুনিলাম, দেশের বাড়ীতে কাকীমার ছেলেদের লইয়া রহিয়াছেন, আমি সেখানে গেলে পরে পিসীমাও দেখা করিতে আসিবেন । শুনিয়া মনে বড় আনন্দ হইল, কত কাল পরে তাহাদের সতি সাক্ষাৎ হইবে! তাহাকে বলিলাম, ‘শুভস্ত প্রমआक्कादश (फ्रेनहे थोडे घ्ज ; उ' इ'प्ण योग३ Cगथान গিয়ে পৌছতে পার্ব ' dन श्ड़ेरङ भाई, श्रादौ इङ्गेरउ $ीशठ, छैशाब्र হইতে নেীক এমনি করিয়া অগ্রসর হইতে হইতে দেশের কাছে আসিয়া পৌছিলাম । বেঙ্গ অবসান হইয়া আসিল ; এমন সুন্দর সন্ধ্য যেন আর কোথাও দেখি নাই, সন্ধ্যার শাস্ত সৌন্দর্ঘ্য আমার মনকে এমন করিয়া আর কখনও অভিভূত করে নাই ! এই সময়ে নৌকাখানি খাল ছাড়িা ইছামতী নদীতে আসিয়া পড়িল । নৌকাখানা নদী ছাড়িয়! আবার খালে পড়িতেই মন্থ বগিয়া উঠিল, আর বেশী দেরী নেই দিদি, এইবারে এসে পড়েছি! আমাদের গয়ে গাছগুলি ওই যে দেখা যাচ্ছে, চেয়ে দেখুন!”
- আর বেশী দেরী নেই”—একথা তে। আমি বিকাল -হইতেই শুনিতেছি, তবে এবারে গ্রামের গাছগুলি দেখা যাইতেছে, এই একটু ভরসা ! ধীরে ধীরে চোখ তুলিয়া চাহিলাম, কিছুই তো দেখিতে পাইলাম না। আকাশ আঁধার করিয়া মেঘেরা জমাট বাধিয়া রহিয়াছে, এ যে ভয়ঙ্কর ঝড় বৃষ্টি আসিতেছে! মাকীরা তাড়াতাড়ি নৌকা বাহিতে লাগিল, মদি আমাদের ইহার পূৰ্ব্বে বাড়ী পৌছিয়া দিতে পারে। ঝড়ের আগে বাতাস গুম হইয়া রহিয়াছে ! দুই ধারে বন, তার মাঝখানে এই সঙ্ক থাল আর কি ভীষণ অন্ধকার! আমাদের নৌকাতে যা একটি আলো জলিতেছে, দূরে কচিং কোথাৎ গৃহস্থ-বাড়ীর আলো দেখিলেই সেই দিকে চাহিয়া খাকি, আর ভাবি এইটি যদি আমাদের বাড়ী হইত ! - একটু পরেই ঝড় আরম্ভ হইল, খালের একধারে কয়ে কখানা বাড়ীও এসময়ে দেখা গেল ; মমু বলিল, দিদি, এইসব আমাদের প্রজাদের বাড়ী, দেখুন ! কি
দেখিব, ঘরের বেড়ার ফাক দিয়া শুধু একটুখানি আলো দেখা যায়, আর কিছুই নয়। বনের ভিতর তখন ঝড়ের হাওয়া সে। সে করিয়া বহিতেছিল, বড় বড় বৃষ্টির ফোঁটা টপ টপ করিয়া নেীকার ছাদের উপরে পড়িতে লাগিল । মছু নৌকা ভিড়াইতে মাঝিকে আদেশ করিয়া আমাকে বলিল, “দিদি, এইবারে এসেছি !’ তাহার কথা শুনিয়া আমি চমকিয়া উঠিলাম, এইবারে এসেছি ! কে জানে কত যুগ আগে পৃথিবীর এইখানেই প্রথমে আমি আসিয়াছিলাম ! হুলুধ্বনি শঙ্খধ্বনির সহিত আমার রোদন-ধ্বনি মিশিয়৷ এই স্থানেরই আকাশ বাতাস পূর্ণ করিয়াছিল। আমাকে দেখিবার আগ্রহে, সেদিন প্রতিবেশিনীর রাত্রি-শেষের নিজামুখ অগ্রাহ করিয়া জস্ত পদে পল্লী-পথে ছুটিয়া আসিয়াছিল ; আজও তো সেই আমি কত কাল পরে আসিয়াছি, এই ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করিয়া আজ কি কেহই আমাকে দেখিতে ছুটিয়া আtসলে না ! নৌকা বাধা হইলে মচু ভূত্য ও মাঝিদিগের মাথায় বাক্স বিছান৷ চাপাইয়া, হারিকেন্টি তাহাদের হাতে দিয়া বলিল, 'বড় বাড়ী, পাড়ায় জিজ্ঞাসা করিয়া যাইও । জিনিসগুলি রাখিয় দুইটি আলো লইয়। শীঘ্ৰ আসিও, তোমরা আসিলে পরে আমরা যাইব ।’ তাহারা বনের ভিতরে অদৃপ্ত হইলে, দ্বিতীয় মাঝি একটি কেৰ্বোসিনের 'ডিব।’ বাহির করিয়া তাহাই জালাইয়া সেই ভাবণ অাধার দূর করিতে চেষ্টা করিল, কিন্তু এই অগ্নিশিখাটি আলো যতটা দিল, কঁপিয়া কঁাপিয়া আমাদের মুখে চোখে ধোয়া দিল তাহার অপেক্ষা অনেক বেশী । - খানিক পরেই প্রবল বৃষ্টি ও ভীষণ ঝড় আরম্ভ হইল ; মেঘের গর্জন, বাতাসের তর্জন, অবিশ্রাস্ত বৃষ্টি পতন, এ সব তো হইলই, ঘূর্ণ-ঝড়ে খালের ধারের গাছে গাছে যেন লড়াই বাধিয়া গেল। কেরোসিনের আলোটির ক্ষুদ্র প্রাণ ঝড়ে হাওয়ার একটি ঝাপটা’তেই নিৰ্ব্বাণপ্রাপ্ত ट्झेल । । - ঘণ্টাখানেক পরে ঝড়-বৃষ্টি কমিলে ভূতাদের দর্শন পাওয়া গেল ; কাঞ্চীম রান্না চাপাইয়া দিয়াছেন শুনিয়া ক্ষুধার্ডগণ আশ্বস্ত হইয়। নৌকা ছাড়িয়া উঠিল ; আমরা