পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] গ্রামের মেয়ে ৪৩ - একfধন আমি রোদে দাড়িয়ে চুল শুকুচ্ছিলুম, চণ্ডী ঐ দিক দিয়ে কোথা যাচ্ছিল, আমায় বললে, “এই ‘খর’ রোদে দাড়িয়ে কি করছ গো ধেয়ে ? " আমি বল্লুস, ‘ধ করছি, তা ত দেখতেই পাচ্ছিস । হ্যারে চণ্ডী, তোকে কখনো এ কাজ করতে হয়নি, না ? মাথায় ধে ক’গাছি 'কেশ’ ভগবান দিয়েছেন, আপনিই শুকিয়ে যায়—’ সে অমনি হাত বললে কি জানেন – ‘আমার ছিল কেশের রাশি–উকুনে খেয়েছে, দেখেছে সব পাড়া-পড়সী, যারা মাথা চেয়েছে ; চাদ চাইলে কঁধি পেয়েছে, শু’লে পেয়েছে পাটী, বেড়ে ঝুড়ে বেঁধেছি যেই-এইটুকুন কুটি।’ আমাকে শুধু নয়, সবার সঙ্গেই সে এম্ন ক'রে কথা বলে ; আর একদিন আমার মা চণ্ডীকে দেখতে পেয়ে জিজ্ঞেস করলেন, অমন হন হন ক’রে কোথা যাচ্ছিস চণ্ডী, দড়া না একটু! তোর বউমার শুনলুম সেদিন ব্যথা উঠ ছল, কি ছেলে হ’ল ? গাইট ছাগীটিও না কি তোর বিষ্টয়েছে, সত্যি নাকি ?’ চণ্ডী হেসে বললে, ‘সব সত্যি, বউঠাকরু৭– ছাগীটির পাট, বউমার বেটী, আর "লালীর’ হয়েছে ‘বকন', আমি স্বথের কথা কইব কখন !” “বেশ মজার মানুষ ত !” আমি হালিয়। বলিলাম, “কাল আর যাব না, পরশু তুমি আমায় ওদের বাড়ীতে নিয়ে যেও, কেমন ?” (F| ಇಹ মুখ নেড়ে মেয়েটি বলিল, “ওদের বাড়ীর সবাই মঙ্গার ; ওর বড় ছেলে মধু কলকাতায় কাজ শেখে। অনেক দিন মধুর খবর না পেয়ে তার বউয়ের বডড ভাবন হ'ল । আমাদের সঙ্গে দেখা হ’লেই বলতে, ‘কলকাত গিয়ে আর চিঠি দেয়নি, কেমন আছে কে জানে! একদিন দেখলুম ওর দেওর সিধু একখান চিঠি নিয়ে চলেছে ডাক-বাক্সে ফেলে দিতে। মধুর বউ এই চিঠি লিখেছে শুন আমি তার হাত থেকে চিঠিখান চেয়ে নিয়ে দেখলুম, বাকী বাক৷ অক্ষরে থামের ওপরে লেখা রয়েছে—মধু যোগী, জেলা কলিকাতা । SAASA SAASAASSAAAASSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSS আমি সেই অদ্ভুত ঠিকানা পড়ে চিঠিখান পড়বার লোভ সামলাতে পাৰ্বলুম না। একটু জল দিয়ে খামখানা তখনি খুলে ফেললুম। তার ভেতরে সিধুর বইয়ের একথান ছেড়া পাতায় এই ক্ল’টি কথা লেখা ছিল— চিত। করিতেছি অতিসারে আদিও। এই বউটি তৰু গুলো লিখতে শিখে পাঠশালার শিক্ষা শেষ করেছিল । আমি চিঠিখান নিয়ে গিয়ে বউটিকে বললুম, “একি তুই লিখেছিল, বউ ? মধু যেখানে থাকে সে বাড়ীর নম্বরও তে দিসলি ; এ চিঠি তোর যাবে না।” বউ কিছুতেই তা বোঝে না, বলে, “ডাকে দিলেই যাবে দিদি, তুমি চিঠিখানা ডাক-বাক্সে গে ফেলে দাও। আমায় হাসতে দেখে মিনতি ক’রে বললে, ‘দেখে। দিদি, চিঠিখান যেন ডাকে ফেলে দিও ; লিখতে কি জানি ছাই ; বড় ভাবন হয়েছে মনে তার খবরটা পাবার জন্তে, তাই ওটুকু লেখা। তুমি যদি চিঠিখান ডাকে না দিয়ে আর কোথাও ফেলবে, তবে আমার মাথা খাবে ? আমি উঠিয়া বসিয়া বলিলাম, সে চিঠি কি তুমি ডাকে দিয়েছিলে ? স্থা ; মধু বাড়ী এসে চিঠির কথা শুনে বললে, ‘সে চিঠি-ফিটি কিছু পায়নি। বউয়ের কি তা বিশ্বাস হয়, সে রাগ ক’রে বললে, “লিখলে পরে সবাই ত চিঠি পায়, আর তুমিই শুধু পেলে না ? পেয়েছ নিশ্চয় ; জবাব দাঙনি কি না তাই মিছে কথা বলছ ? একদিন বিকালে পাড়ায় বেড়াইতে বাহির হইলাম। সঙ্গিনী আমার ছাত্রী। পাড়ার শেষ প্রান্তে ফুল-লতাপাত-ঘেরা একটি টিনের বাড়ী দেখাইয়। মেয়েটি বলিল, এই দেখুন, চণ্ডীর ষাড়ী। কবির উপযুক্ত বাসস্থানই বটে! এইটুকু পথ গেলেই আর কি, চণ্ডীদাসের দর্শন লাভ করিতে পারিব । গতির বেগ যথা সম্ভব বৃদ্ধি করিলাম ; কবি যিদ্যাপতি, চণ্ডীদাসের কবিত্বের খ্যাতি শুনিয়া তাহাকে দেখিতে বোধ হয় এম্‌নি বেগেই আগিয়াছিলেন। কিন্তু একি ! ক্রম্বনধ্বনি শুনিয়া সেখানে ५भकिब्र नैष्क्लाइंजांभ, दांज़ेौ८ङ cक कैंfनिरडtछ् । चामाग्र ७क खांद cबभिन्न cमtइति वृश्चtद्र दूकाहेब