পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] এই প্রসিদ্ধ ভ্রাতুমগুলের প্রধান সভ্য ছিলেন মরিস ও এডওয়ার্ড বরন জোনস । অক্সফোর্ড হইতে শিক্ষালাভের পর মরিস স্থাপত্য কাৰ্য্য (architect) শিক্ষার জন্য ষ্ট্রিট নামক স্থপতির নিকট শিক্ষা-নবিশক্সপে কাৰ্য্য করেন। সেই সময়ে ইনি ও বরণ জোনস অক্সফোর্ড এবং কেন্থি,জ ম্যাগাজিন নামক মাসিক পত্রিক বাহির করেন। ঐ পত্রিকা অল্প দিন পরেই উঠিয়া ষায় ; কেনন। ইংলণ্ডের “শিক্ষিত” জনসাধারণের মতের সহিত উহার মতামতের মিল ছিল না । কিন্তু এই পত্রিক প্রকাশের ফলে রসেটি ইহাদের সঙ্গে যুক্ত হন। সায়নাথ বোধিসত্ত্ব (খৃষ্টীয় ধষ্ঠ শতাব্দী। গলদেশের হার সকলে চারি প্রকার পরিকল্পনা । মধ্যস্তরে মণিখচিত স্বর্ণপুষ্পমালা ও তাহার কেন্দ্রে বৃহৎ জড়োয় "খামি”। মুক্তমালার সঙ্গে সৰ্ব্বনিম্নস্তরে স্বর্ণঘণ্টার সারি। কটম্বন্ধে বক্র ও ভগ্নরেখাপাতে কারুকাৰ্য্য। (“ছাচে ঢালাই” ও “ডাই কাটা” প্রক্রিয়ার উৎকর্ষ ? ) গহনা © ©☾ রস্কিনের প্রচণ্ড আক্রমণ ও এই রূপরসজ্ঞ কবি ও শিল্পিসংজ্যের চেষ্টা, এই দুইয়ের ফলে আধুনিক ইংলণ্ডে ললিতকলা ও শিল্পের ক্ষেত্রে যাহা কিছু মৌলিক বা নিজস্ব, সে সকলের সূত্রপাত হয়। ইংলণ্ডের কলা ও রূপরসজ্ঞান বিষয়ে ইহাদের মতামতের ছাপ গভীর ভাবে অঙ্কিত হইয়। রহিয়াছে। অন্য সকল সভ্য দেশেই ললিতকলা বা জ্ঞানের ক্ষেত্রে এইরূপ ঘটনা ঘটিয়াছে। কারণ, জাতির মধ্যে প্রাণ থাকিলেই যাহা নূতন, যাহ সজীব, তাহার বিদ্রোহ, বিকাশ, ও জয় অবশ্যম্ভাবী। আমাদের দেশে গহনার ব্যাপারে ঠিক এই প্রকার অবস্থাই চলিয়া আসিতেছে। অতি প্রাচীন লুপ্ত ঐতিহাসিক যুগের ( মোহেঞ্জো দড়োতে ) যে সকল গহনাপত্র পাওয়া গিয়াছে, তাহাতে বুঝা যায় যে, স্বর্ণকার ও মণিকারের কারুকৌশল তখনই এদেশে বেশ অগ্রসর হইয়াছিল—যদিও উৎ কাংসযুগের (অর্থাৎ লৌহব্যবহার আবিষ্কারের পূৰ্ব্বের সময়কার ) । মোহেঞ্জে। দড়ো সম্বন্ধে বিশেষ এখনে কিছু জানা যায় নাই, সুতরাং ভারতীয় শিল্পের ধারাবাহিক উৎকর্ষের ক্রমে উহা আসিবে কিনা, তাহা বলা যায় না । তবে সেখানে গহনা যtহা পাওয়া গিয়াছে, সে সকলের অতুরূপ অনেক গহনা এদেশে এখনে৷ প্রচলিত আছে । ঋগ বেদে দেবতাদের গহনার বর্ণনা অনেক আছে। রুদ্রের বর্ণনায় উজ্জল স্বর্ণভরণের জ্যোতিযুক্ত পিঙ্গল দেহকাস্তি, মুন্দর সমহারশোভিত ইত্যাদি কথা পাওয়া যায়। অস্থরদিগের ষিষয়েও বর্ণনা আছে, যে, তাহীদের মণিকাঞ্চনের গহনা প্রচুর ছিল। রামায়ণ মহাভারতে কুণ্ডল, কবচ, কিরীট, বলয় ইত্যাদির ছড়াছড়ি আছে । তবে এসকল গহনার উপাদান ও নাম কি ছিল, তাহাই কেষল জানা যায় ; আকুতি বা আয়তন সম্বন্ধে বিশেষ কিছু জানিবার উপায় নাই । অবশ্য অধিকাংশ নাম অনেক কাল পর্ধ্যস্ত এদেশে প্রচলিত ছিল ও তাহাদের আকৃতি ইত্যাদি আমরা প্রাচীন প্রস্তরমূৰ্ত্তি ও বিগ্রহ বা অজণ্ট, ইলোরা, বাঘ ইত্যাদি স্থানের প্রাচীরগাত্রের চিত্রে ও ভাস্কধ্যে দেখিতে পাই ।