૯૭ "আর কে আছিস ?” রাঘবঠাকুর হাকিলেন । প্রাঙ্গণের অন্ধকার কোণ হইতে জন কয়েক লোক উঠিয়া জাগিল। তাহাদের অঙ্গ কম্পমান, মুগ্ধ পাংশু। “বাবাঠাকুর । বাবাঠাকুর !” উন্মাদের মত একটি স্ত্রীলোক ছুটিয়া আসিল । “दांदा?ादूद्र !” “আরে ছুস্নি, ছুস্নি, বাগ দী-বেী ! হোথা থেকেই বল্ ৷” বাগদী-বোঁ ছাড়িল না, রাঘব ঠাকুরের পী জড়াইয়। ধরিল । সমস্ত অঙ্গ অশুচি হইয় গেল, রাঘব ঠাকুর ভ্ৰকুঞ্চিত করিয়া উঠিয় দাড়াইলেন । “দিলি ছয়ে সন্ধ্যাবেলায় 1’ বাগ দী-বেী তথাপি প{ বাবাঠাকুর ” "আরে উৎপাত, হ’ল কি বল দেখি তোর }" “মান-সরম্ভম সব গেল, বাবাঠাকুর । শেষ বেলায় ঘাটে গিয়েছিল নারাণী। নেয়ে আস্বার পথে ও গায়ের রহিম সৰ্দ্দারের বেটা বলে কি না— । মেয়ে তো আমার কলী ফেলে পালিয়ে এসেছে । নজীয় মাথা কাটা গেল, বাবাঠাকুর ।” চণ্ডীমণ্ডপ শুদ্ধ সমাজপতির স্থক রাখিয়া উঠিয়া পড়িলেন। আঙ্গিনায় বংশী গোপের হাতের চিমটা ঝন্ ঝন করিয়া বাজিয়া উঠিল। বৃদ্ধ সাধু মাঝির হ্যস্ত দেহ সহস ঋজু হইয়া গেল। ক্ষতস্থানে খানিকট ছাই লেপিয়া বৃন্দাবন উঠিয় দাড়াইল । বাম হস্তের বংশষষ্টি দক্ষিণ হস্তে ধরিয়া রক্তচক্ষু রাঘব ঠাকুর তিন লম্ফে প্রাঙ্গণ অতিক্রম করিয়া গেলেন, অপরাধীর দল বিনা বাক্যে র্তাহার অনুসরণ করিল, চণ্ডীমণ্ডপের অঙ্গন শূন্য হইয়া গেল । স্বায়রত্ব মহাশয় খাম বাগ দীনীর হাত ধরিয়৷ তুলিয়া কহিলেন “ভয় করিসনে, বাগদী-বোঁ ! আমরা আছি। কার ঘাড়ে ক’টা মাথা দেখে নেব। আজ রাতে দেওয়ানজীর বাড়ীতে নারাণীকে নিয়ে এসে শুয়ে থাকৃবি । রামু, ছাড়িল না—“বাচনি, প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩৪ [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড জগাই, বৈকুণ্ঠ যা বাগদী-বোঁয়ের সঙ্গে—ম বেটীকে সাথে ক'রে দেওয়ান-বাড়ীতে পৌছে দে।” 拳 碘 拳 嚇 ইহার পর চল্লিশ বৎসর কাটিয়া গিয়াছে। মোহনঠাকুরের চণ্ডীমণ্ডপ দেনার দায়ে কয়েক হাত ঘুরিয়া শেষে দি মোহনপুর ড্রামাটিক ক্লাবে পরিণত হইয়াছে । কোজাগরের পরের দিনের সন্ধ্যা । আগামী দীপান্বিত্তার দিন বারোয়ারী কালীতলায় প্রতাপসিংহের অভিনয় হইবে, তাহারই মহল। চলিতেছিল। ক্লাব-ঘরে জন বিশেক লে ক বালক এবং যুবক । কয়েক জোড়া তবলা, ডুগি, গুটি দুই হাৰ্ম্মোনিয়াম, একখান বেহালা ইতস্তত: বিক্ষিপ্ত ; বেড়ার গায়ে খান কয়েক স্বদেশী ও বিদেশী অভিনেতার বিচিত্র মুখভঙ্গীর ছবি, গুটি কয়েক বাৰ্বরী চুল, জরিদার চাপকান ও এ কথ।নি বড় আয়না । হাৰ্ম্মোনিয়ামে স্বর দিয়া চপল কহিল, “আছে। ‘সি সাপে ধ’রে দাওতে দেখি।” জন কয়েক বালক মুখের জলন্ত বিড়ি মাটিতে নামাইয়। চীংকার করিয়া উঠিগ, "মেবার পাহাড় মেবার পাহাড়, যুঝেছিল বেথা প্রতাপ বীর । " “ও কি হচ্ছে আনন্দ ! চিতোর বল্ছ অমন ক’রে যে ! তোমার ‘ফিলিং হচ্ছে না মোটে। চোখট। একটু বোজ-মিঠে, রকমের ঘাড়টা একটু কাং ক’র, বঁ। প'টা একটু সাম্নে । ব্যস্। অনেকট হ’য়েছে। মনে ভাবতে থাক তুমি সত্যিকার রাণ। প্রতাপ, তাহ’লে ঠিক ‘পসচার’ আসবে। ওরে একটা সিগারেট দে।” “মাষ্টীর মশাইকে একটা সিগারেট দিয়ে যা কমল । আচ্ছ নাচগুলোতে আমাদের খুব সাকসেস হবে, না ? কি বলেন, মাষ্টীর মশাই ? অনঙ্গ উত্তরের প্রতীক্ষায় ব্যাকুল ভাবে মাষ্টারের দিকে চাহিল।” মাষ্টীর আশ্বাস দিয়া একবার গা মোড় দিতে দিতে বলিলেন, “খুব সম্ভব। আমরা কলকাতায় ছোৰুর খুঁজতে খুঁজতে হয়রান, আর তোমাদের জেলে তোর পাড়া থেকেই তিনটে প্লের নাচের ছেলে জুট ৰা, তাও
পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।