১ম সংখ্যা ] বিশ্ব-স্থষ্টির রূপ も> তরঙ্গ যতদূর বিস্তৃত হয় তাহাকেই উহার বেগ মনে করা যাইতে পারে। তরঙ্গের একটি দৈর্ঘ্যও আছে । বায়ুপ্রবাহেও জলের উপর তরঙ্গের স্বষ্টি হয়, আবার প্রকাগু আলোড়নেও হইয়া থাকে। কিন্তু দুইয়ের দৈর্ঘ্য বিভিন্ন। প্রত্যেক তরঙ্গে একটি চড়াই ও একটি উৎরাই থাকে। এক চড়াই হইতে পরবর্তী চড়াই যত দূর তাহাকে তরঙ্গ-দৈর্ঘ্য বলে। এই তরঙ্গ-দৈর্ঘ্য দ্বারা তরঙ্গের শ্রেণীবিভাগ করা যায়। কোনটা cकान् cथं★ौद्र उब्रत्र, उॉश उiशव्र ६झर्थी बलि८णहे বোঝার পক্ষে যথেষ্ট । তরঙ্গ-স্বাক্টর জন্য তাহার একটি বাহন দরকার, যাহার ভিতর তরঙ্গ বিস্তার লাভ করে। বৈজ্ঞানিকদের মতে ঈশ্বর নামে একপ্রকার অতি সুক্ষ্ম পদার্থ সমস্ত ব্ৰহ্মাণ্ডে ব্যাপ্ত হইয়া আছে । ইঙ্গারই ভিতর দিয়া বিদ্যুৎ-তরঙ্গ প্রবাহিত হয়, কিংবা ইহাও বলা যাইতে পারে যে, বিদ্যুৎ-তরঙ্গ বহন করিবার ক্ষমতা ঈথরের আছে। কোন স্থানে আলো থাকিলে সেই স্থানের ঈথর-সাগরে একটা বৈদ্যুতিক কম্পন স্থষ্টি হয়। সেই কম্পন আসিয়া যখন আমাদের চোখে পড়ে তখন তাহা আমাদের মস্তকে আলোকের জ্ঞান জন্মাইয়। দেয় । উত্তাপও সেই প্রকার ঈথরেরই তরঙ্গ । বিভিন্নতা কেবল তরঙ্গদৈর্ঘ্য * । উত্তাপতরঙ্গের দৈর্ঘ্য আলোকতরঙ্গের দৈর্ঘ্য অপেক্ষ কিছু বড়। তবে ইহা মনে রাখিতে হুইবে যে, দুইই খুব ছোট। আলোর রং তাহার তরঙ্গদৈর্ঘ্যের উপর সম্পূর্ণ নির্ভর করে। এমন কি রং ও তরঙ্গ-দৈর্ঘ্যকে যদি একই জিনিষ মনে করি, তাহাতে আমাদের হিসাব ও গণনা সম্পূর্ণ নিতুল থাকিবে । সুৰ্য্যের শাদা আলো ত্রিশির কাচের + সাহায্যে নানা রঙের আলোতে বিভক্ত করা যার । তাহার এক দিকে বেগুলি, অন্ত দিকে লাল । ইহাদের মধ্যে বিভিন্নভা কেবল তরঙ্গ-দৈর্ঘ্যে । তরঙ্গগুলি বেগুনি হইতে আরম্ভ করিয়া লালের দিকে ক্রমশঃ বড় হইয়৷ যাইতেছে—আরও বড় তরঙ্ক গুলি চোখে দেখা যায় না । • ?: Wave length. † R Priam তাহারা উত্তাপ স্বষ্টি করে। সূর্য্যের শাদা আলো নান রঙের আলোর সমষ্টি মাত্র। রেডিও ষে বিনা তারে বৰ্ত্ত বহন করে তাহাও এইপ্রকার ঈথরের তরঙ্গ। তবে তাহাদের দৈর্ঘ্য প্রকাগু বড়। কিন্তু এই প্রকার বিভিন্ন শ্রেণীর তরঙ্গের বেগ একই । এই বেগই আলোর বেগ । পরীক্ষা দ্বারা স্থির নির্ণয় করা হইয়াছে যে, আলোক সেকেণ্ডে ১৮৬০০০ মাইল গমন করে অর্থাৎ আলোকরশ্মি এক সেকেণ্ডে প্রায় আট বার পৃথিবীকে বেষ্টন করিয়া ঘুরিতে পারে। বিভিন্ন প্রকার আলোর সংমিশ্রণে যে যৌগিক আলোর স্বষ্টি হয় তাহাকে পৃথক্ করিবার নানা প্রকার ব্যবস্থা বৈজ্ঞানিকদের জানা আছে । আলোককে ত্রিশির কাচের ভিতর প্রবেশ করাইয় তাহাকে বিভক্ত করিবার কথা পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি। এক খণ্ড কাচের উপর যদি কঠিন পদার্থ দিয়া পাশাপাশি বহু রেখা টানা যায় তাহার উপর আলো পড়িলে তাহা তরঙ্গদৈর্ঘ্য অনুসারে নানাবর্ণে বিভক্ত হইয়া যায়। এইপ্রকার যে-কোন আলোককে বিভক্ত করিয়া তাঁহার মধ্যস্থিত বিভিন্ন রঙ বা আলোক-কম্পনের তরঙ্গ দৈর্ঘ্য অতি স্বক্ষ ভাবে নির্ণয় করা সম্ভব। এই আলোকবিশ্লেষণ-যন্ত্রের বর্তমানে এত উন্নতি হইয়াছে যে, এক ইঞ্চির এক কোটি ভাগের এক ভাগকে মাপকাঠি করিয়া এখন তরঙ্গের দৈর্ঘ্য স্থির করা হইয়া থাকে। সূৰ্য্য কিংবা নক্ষত্রের আলোককে বিশ্লেষণ করিয়া তাহাঙ্গের অনেক রহস্য আজকাল উদঘাটন করা হইতেছে। সাধারণতঃ আমরা মনে করিয়া থাকি যে, সকল আলোই সমান। স্বর্ষ্যের কিংবা তারার আলোতে কোনই প্রভেদ নাই। ইহা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। যে পদার্থ জলিয়। আলো বাহির হয়, তাহারই ধৰ্ম্ম সেই আলোকে বৰ্ত্তমান থাকে। রাসায়নিকগণ পরীক্ষা দ্বারা স্থির করিয়াছেন যে, আমরা ষে-স্য পদার্থের সঙ্গে পরিচিত তাহীদের প্রায় সবগুলিই কতকগুলি মৌলিক পদার্থের যোগে উৎপন্ন হইয়াছে। অম্লজান ও জলজানের যোগে জলের উৎপত্তি। অম্লজান ও জলজান এই দুইটি মৌলিক পদার্থ। অনেক ধাতুও মৌলিক পদার্থ, যথা স্বর্ণ, রৌপ্য, লৌহ, তাম্র, ইত্যাদি। ইংরেজি ভাষায় সোডিয়ামূও পটাসিস্থা নামে
পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।