• 'o.
- পরিচিত আরও দুইটি মৌলিক ধাতু আছে, ইহার অনেক পদার্থে বর্তমান। এইসকল মৌলিক পদার্থ জলিয়া ষে আলোক বিকিরণ করে, সেই আলোককে বিশ্লেষণ করিলে কতকগুলি বিশেষত্ব লক্ষিত হয়। এই আলোক - সাধারণতঃ কয়েকটি বিভিন্ন রংঙের আলোকের সমষ্টি । বিশ্লেষণাস্তে তাহ কয়েকটি বিশিষ্ট আলোক-দৈর্ঘ্যে
বিভক্ত হইয়া পড়ে, এবং বিশ্লেষণ-যন্ত্রের যে স্কেলের উপর দৈর্ঘ্য মাপা হয়, তাহার উপর যথাস্থানে ব্যবস্থা অনুসারে কয়েকটি উজ্জল কিংবা কালে রেখা রূপে প্রতীয়মান হয় রেখার স্থান দেখিয়াই ইহা কোন দৈর্ঘ্যের আলোক তাহা বলিয়া দেওয়া যাইতে পারে। এইসব রেখাকে আমরা বিশ্লেষণ-রেখা * বলিব। এক একটি মৌলিক পদার্থ এক এক প্রকার বিশ্লেষণ-রেখার স্বষ্টি করে। বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা দ্বারা প্রায় সকল মৌলিক পদার্থেরই বিশ্লেষণ-রেখা নির্ণর করা হইয়াছে। স্বতরাং কোন নূতন পদার্থ হইতে নিঃস্থত আলোককে বিশ্লেষণ করিয়াই পূৰ্ব্বোক্ত রেখার তুলনা করিলে তাহাতে কি কি মৌলিক পদার্থ আছে বলা যাইতে পারে। এই বিশ্লেষণ যন্ত্র জ্যোতিষের হস্তে এখন এক মহা অস্ত্র। স্বদুর শূন্যে যে তারা মিট মিট করিয়া জলিতেছে, তাহার অনেক গোপন-কাহিনী এই ক্ষুদ্র মূক যন্ত্রে আসিয়া ধরা পড়ে। কোন তারায় কি কি মৌলিক পদার্থ জলিতেছে, এমন কি অনেক স্থলে তাহীদের তাপমান + পর্যস্ত এখন আর জ্যোতিষের নিকট লুক্কায়িত নাই। এই বিশ্লেষণ-যন্ত্রের ব্যবহার অতি আশ্চৰ্য্যজনক। ইহা দ্বারা তারার গতিও নির্ণয় করা যায়। কোন-একটি তারা সৌরজগতের দিকে কত বেগে আসিতেছে, বা কত বেগে বিপরীত দিকে চলিয়া যাইতেছে, তাহাও এই বিশ্লেষণ দ্বারা বলিয়া দেওয়া সহজ । যে-বস্তু হইতে তরঙ্গ প্রবাহিত হইতেছে তাহার সম্মুখ কিংবা পশ্চাৎ দিকে গতি অনুসারে তরঙ্গদৈর্ঘ্য সঙ্কুচিত বা প্রসারিত হইতেছে বলিয়া আমাদের মনে হয়। সেইজন্য যে-তারা সৌরজগতের দিকে ছুটিয়া জালিতেছে, তাহার তরঙ্গদৈর্ঘ্য আমাদের • *Spectral lines. -------------
- * Temperatye.
প্রবাসী-বৈশাখ, ృలి08 [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড निर्झः श्रूय इ३८ख फूवडब्र श्:उग्छ्। शिक्षा প্রতীয়মান হইবে। তাহার বিশ্লেষণ রেখাগুলি সেই তারার উপাদানপদার্থের বিশিষ্ট বিশ্লেষণ-রেখা হইতে একটু বেগুনি রং এর দিকে সরিয়া যাইবে । বেগুনি রংএর দিকে সরার অর্থ তরঙ্গদৈর্ঘ্য ছোট হইয়াছে। এই সঙ্কোচন কিংবা প্রসারণের মাপ হইতে গতি-বিজ্ঞানের নিয়ম আহসারে আলোক-উৎপাদক পদার্থের বেগ নির্ণয় করা যায়। অনেক তার এবং তারাপুঞ্জের বেগ এই প্রকারে নির্ণয় করা হইয়াছে। আমাদের নিকটবর্তী তারার কথা বলিতে csitas ( Cassiopeiae) ক্যাসোপিয়া নামক তারাটি সেকেণ্ডে ছয়মাইল বেগে সৌরজগতের দিকে আলিতেছে ; লুব্ধক * নামে আকাশের সর্বাপেক্ষা উজ্জল তারাটি সেকেণ্ডে প্রায় পাঁচ মাইল বেগে আমাদের নিকট হইতে সরিয়া যাইতেছে। এইপ্রকার সৰ্ব্বাপেক্ষ দ্রুতগামী তারার গতি গড়ে সেকেণ্ডে ১০১২ মাইল। কিন্তু একপ্রকার তারাপুঞ্জ আছে তাহদের বেগ বড় প্রবল। গড়ে সেকেণ্ডে প্রায় ১৫ • মাইল। এই বিবয়ে আলোচনা আমরা একটু পরে করিব । আলোক-বিশ্লেষণ-যন্ত্র দ্বারা সুর্যের আলোক বিশ্লেষণ করিয়া পাওয়া যায় যে, তাহাতে বেশীর ভাগ অম্লজান, জলজান, সোডিয়ীম্, ক্যালসিয়াম্ (Calcium ), ম্যাগনেসিয়াম্ ( Magnesium) e Gilz ধাতু বর্তমান। हेइ ছাড়াও আরো অনেক ধাতুর বিশ্লেষণ-রেখা দেখা গিয়াছে। যবক্ষারজান, আবৃসেনিক, গন্ধক ও স্বর্ণ এই কয়টি সাধারণ পরিচিত পদার্থের অস্তিত্ব স্বর্ঘ্যে এখনও জানা যায় নাই, কিন্তু সেজন্য গৌরদেহে তাহদের অস্তিত্ব সম্পূর্ণ অস্বীকার করিবার ক্ষমতাও আমাদের নাই। সময়ের সঙ্গে এ বিষয়ের জ্ঞান আমাদের আরও বৃদ্ধি পাইবে আশা করা যায়। স্বর্ঘ্যের আলোকের প্রখরতা পরীক্ষা করিয়৷ যেস্থানে পূৰ্ব্বোক্ত পদার্থ জলিয়া আলোক-তরঙ্গ স্বষ্টি হইতেছে তাহার তাপের পরিমাণ গণনা করা হইয়াছে। ইহা প্রায় ৬••• হাজার ডিগ্রি। এই স্থলে মনে রাখিতে হইবে, স্বর্ঘ্য একটি প্রকাও বৰ্ত্তলাকার জলস্ত পদার্থ। এই • Rt Sirius - t