:: १९ বঁধিয়ে নিলেন । তার পর তার এক বিশ্বস্ত সভাসদের হাতে রাজকন্যার সেই ছবি ও হাতির দাতের বঁাধান লিখনখানি দিয়ে তাকে দেশ-দেশান্তরে পাঠিয়ে দিলেন । অল্প দিনের মধ্যেই নানা দেশ থেকে দলে দলে রাজপুত্ৰ সিংহলে এসে উপস্থিত হ’তে লাগল। রাজকুমারী পরমা স্বন্দরী ছিল। তার ছবি দেখা অবধি রাজপুংদের মনে আর শাস্তি ছিল না। রাজকন্য-লাভের আশায় ব্যাকুল হ’য়ে তার অপেন আপন ভাগ্য পরীক্ষার জন্তে সিংস্থলের রাজসভায় উপস্থিত হ’তে লাগল এবং মৃত্যুতে শান্তিলাভ করতে লাগল। কারণ, রাজকুমারীকে প্রশ্নে পরাস্ত কল্প সহজ কাজ ছিল না । রাজপুতনার রাজপুত্র ৪ সে ছবি ও লিপি দেখেছিল। সে যখন তার বাপের কাছে গিয়ে অমুমতি প্রার্থনা করুল, যে সেও একবার সিংহলে গিয়ে চেষ্টা করে দেথতে চায় রাজকুমারীকে লাভ করতে পারে কি ন—তখন রাজা তাকে নিষেধ করে’ বললেন—“তুমি কি পাগল হয়েছ, কুমার ! যাকে লাভ করতে গিয়ে কত দেশের কত পুত্র প্রাণ বিসর্জন দিয়েছে সেই রাজকুমারীর গলায় মালা দিতে গিয়ে কি তুমি মৃত্যুকে বরণ করতে চাও? আর বিশখান দেশ নিয়ে আমায় এই যে রাজ্য যার উপর অতীতের কোন যুগ থেকে আমাদের এই বংশ একাধিপত্য করে আসছে—আমার মৃত্যুর পর তা অপর কোন এক বংশের অধীনে চলে যাক-এই কি তুমি ইচ্ছা কবুছ ?” রাজার এই কথা শুনে রাজকুমার কিছুদিন চুপ করে’ রইল, রাজকুমারীর কথা ভুলে যেতে চেষ্টা করতে লাগল। কিন্তু যতই সে রাজকন্যাকে ভুলতে চেষ্ট৷ করে ততই যেন তার মুখ মনের ভিতরে আরও ফুটে ওঠে। ঘুমের মধ্যে সে রাজকন্যাকে স্বপ্ন দেখে। তার চোখের মধ্যে যেন সে কি এক রহস্য দেখতে পায়, বেরহস্য কেউ ভেদ করতে পারেনি। তার ঠোঁট স্থখানি যেন তার সঙ্গে কথা বলে। কি তারা বলে ? তারা যেন বলে—ঐ গভীর কালে আঁখি দুটির রহস্যের অর্থ তার করে দিতে পারে, রাজপুত্রের জ্বশ্বের পথের সন্ধাস তারা বলে’ দিতে পারে ।
প্রবাসা-বৈশাখ, ১৩৩৪ AMMMMMMMAJJAAASAASAASAASAASAASAAeAMMMAAMMS [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড ABA AMMeeeS ন, রাজপুত্র আর চুপ করে থাকতে পার ছ নী, তার দিন আর কাটে না। তাকে একবার যেতেই হ’বে সিংহল দেশে। অবশেষে এই প্রতিজ্ঞা করে সে তার বাপ, রাজার কাছ থেকে সিংহলে যাবার অনুমতি পেল যে, সে রাজকুমারীর সভায় গিয়ে তাকে প্রশ্ন জিজ্ঞস করে পরাস্ত করতে চেষ্টা করবে না । যাবার সময় রাজা ছেলের সঙ্গে তিনটি অতি উজ্জল মুক্ত দিয়া দিলেন ; এই মুক্ত তিনটি এমন দীপ্তিশালী ছিল যে, বিশেষ বিশেষ ক্রিয়া উপলক্ষে এইগুলি দিয়ে তিনি রাজগৃহ আলোকিত করতেন। রাজকুমার সযত্নে মুক্ত তিনটিকে তার পাগড়ীর ভাজের মধ্যে সেলাই করে নিয়ে সামান্য ভ্রমণকারীর ছদ্মবেশে সিংহলেরই উদেশে যাত্রা করলেন। সেখানকার বন্দরে পৌছে দেখে, কত দেশ-বিদেশের জাহাজ যে সেখানে ভিড়েছে তার ঠিকান নেই। দেশী ও বিদেশী লোকে রাজপথ পরিপূর্ণ,—কত রকমের অদ্ভূত পোষাক যে তারা পরেছে সে-সব রাজপুত্র কখন দেখেনি। কত ভাষায় যে তার কথা বলছে সে তার বিছুই বোঝে না। সব দেখতে দেখতে শুনতে শুনতে রাজপুত্র রাজবাড়ির দিকে চলতে লাগল। ফটকের সামনেও অত্যন্ত ভীড়। অনেক কষ্টে পথ করে’ ভিতরে ঢুকে সে রাজকন্যার মন্দিরের নীচে অপেক্ষা করতে লাগল । সামান্য পথিক মনে করে” কেউ তাকে গ্রাহ্য কবুল না । সন্ধ্যার সময় রাজকুমারী দড়ির সিড়ি দিয়ে নীচে নেমে এলেন ও পথিককে সেখানে দড়িয়ে থাকৃতে দেখে জিজ্ঞাসা করলেন, সে কি চায় ; পথিক উত্তর করলে-আমি বিদেশী পথিক, ক্ষুধাৰ্ত্ত হয়েছি, কিছু খাবার চাই । রাজকুমারী তার দাসীদের ডেকে পথিককে যথেষ্ট পরিমাণে খাবার এনে দিতে বললেন। এবং মনে মনে ভাবতে লাগলেন, একে দেখেতে তেমন ক্ষুধাৰ্ত্ত বলে’ বোধ হ'চ্ছে না। দেখতে হবে খাবার দিলে খায় কি না। আমার মনে হচ্ছে, এ ছদ্মবেশে কোন ধর্ড লোক হবে ।