১ম সংখ্যা | ছেলেদের পাততাড়ি—সিংহল-দেশের উপকথা ግe এই মনে করে রাজকুমারী সিড়ি বেয়ে আবার উপরে উঠে গেল ও একটা ছোট জানালার আড়ালে লুকিয়ে দেখতে লাগল পথিক কি করে। এদিকে দাসীরা খাবার নিয়ে এলে রাজপুত্র তার পাগড়ীর ভিত্তর থেকে একট। যুক্ত বের করুল ও সেটাকে একট। পাথরের উপর • রেখে মনের আনন্দে সেইসব ভাল ভাল খাবার খেতে লেগে গেল এবং নিজের মনে বলতে লাগল-আ, রাজকুমারী, তোমাকে আমি দেখলাম, তোমার ছবির চেয়ে তুমি আরও শতগুণ সুন্দরী । তোমাকে আমি জয় করে নেবই, অর তা যদি না পারি তবে সেই চেষ্টাতেই এ জীবন আনন্দের সঙ্গে বিসর্জন দেব । রাজপুত্রের খাওয়া শেষ হ’লে রাজকুমারী উপর থেকে নেমে এসে তার কাছ থেকে সেই মুক্তটি কিনে নিতে চাইলে । রাজপুত্র বললে—“রাজকুমারী, আমার এ মুক্ত আমি বিক্ৰী করব না, তবে তুমি যখন চাইলে, তোমায় আমি দিতে পারি যদি তোমার পা দু’খনি আমায় চুম্বন করতে দাও।” তারপর সেই মুক্ত নিয়ে রাজকন্যা তার বাপকে দেধাভে চলে’ গেল । পরদিন রাজপুত্র আবার মন্দিরের নীচে অপেক্ষা করতে লাগল ও রাজকুমারী নেমে এলে খাবার চাইলে । সেদিন আরও উজ্জল ও বড় আর একটা মুক্ত বার করে সে খেতে আরম্ভ করলে। রাজকন্ত। সে মুক্তাটাও কিনতে চাইলে । আবার রাজপুত্র বললে—মুক্ত সে বিক্রীর জন্যে আনেনি, তবে দিতে পারে যদি রাজকন্তু তাকে তার স্বনীর কপালটিতে একটি চুম্বন দিতে দেয়। রাজকুমারী উত্তর কবৃলে—“তুমি বড় বেশী দাম চাইছ পথিক, অথচ বলছ মুক্তে বিক্রীর জন্তে নয়। पl८२ाँफ ७ छिनिश *ांबाब्र छtछ भांभि ८ऊाभाग्न झांभ शिtउ प्राशौ चाश् ि" cन ऊषन काब्रिमिक cध्रब ७कदाब দেখে নিলে কেউ তাদের দেখছে কি না ও পখিককে তার কপাল চুম্বন করতে দিয়ে মুক্ত নিয়ে চলে গেল। " তার পর দিন যখন সন্ধ্যা হ’য়ে আসে রাজকুমারী আশা করতে লাগল মম্বিরের নীচে পথিককে দেখতে পাবে। অন্ধকার ঘনিয়ে এল তৰু পথিক আসেনি দেখে তার মন পথিকের জন্তে চঞ্চল হ'য়ে উঠল। কেন সে আজ এখনও এল না ? ঐ যে, মন্দিরের নীচে পথিককে দেখা যাচ্ছে, তার হাতে উজ্জল সাদা জালো, ওট। কিসের আলো? ও যে দেখছি জার-একটা মুক্ত। তাড়াতাড়ি দড়ির সিড়ি বেয়ে নাচে নেমে এসে রাজকন্ধা পথিকের হাত ধরে তার বাপের কাছে নিয়ে গেল । এবার রাজকন্যা তার অর্ধেক রাজ্য দিয়ে সেই মুক্তাটি কিনতে চাইলে, এ বারেও রাজপুত্র বললে— তার মুক্ত। সে বিক্রী করবার জন্তে আনেন তবে রাজকন্যাকে দিতে পারে যদি সে তার বক্ষস্থলে তাকে একটি চুম্বন দিতে দেয়। রাজকন্যার বক্ষণেশ চুম্বন করে শেষে মুক্তাটি তাকে দান করে রাজপুত্র সিংহল ছেড়ে চলে গেল। রাজকন্যা প্রতিদিনই সন্ধ্যার সময় তার প্রতীক্ষায় মন্দিরের জানালায় বসে থাকে। কিন্তু হায়, বৃথাই প্রতীক্ষা ! দিনের পর দিন চলে যায় পথিক আর আসে না। রাজকন্তু বসে’ বসে’ ভাবে কে এই পখিক ? সে ষে সামান্ত একজন পখিক নয়, ছদ্মবেশে কোন বড় লোক হ’বে এ কথা নিজের মনে সে নিশ্চয় বুঝতে পাবুল। কিন্তু কে সে ? এই একট প্রশ্ন যার উত্তর সে দিতে পারছে না। তা সে যেই হোক না কেন তার জন্তে রাজক স্থার এত চিঙ্কা কেন ? কেন সে প্রতিদিন তার আগমন-প্রতীক্ষায় বসে থাকে ? এই একটা রহস্য যার মীমাংস লে করতে পারছে না। হায়, একি হ’ল ? রাজঞ্চস্তার মনের স্থখশাস্তি কে হরণ করে নিল । তার মনে হতে লাগল সেও দি একজন সামান্ত পথিক বালিকা হ’য়ে ঐ পখিকের সঙ্গে দেশে দেশে ঘুরে বেড়াতে পাবত তা হলে তার কত না আনৰ इ'उ ! o
পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।