পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] কারুশিল্পের পুনরুদ্ধার ዓው এবং সমান মূল্য। যে-মাতুব প্রয়োজন বুঝে না কেবল আনন্দ চাহে তাহাকে আমরা বলি পাগল, ষে জীবনে আনন্দ ও হাসিকে বাদ দিয়া কেবল প্রয়োজন লইয়াই থাকিতে চায় তাহাকেও আমরা বলি পাগল। এক কথায় উভয় শ্রেণীর মাতুবই মানসিকরোগগ্ৰস্ত। সমাজ এবং জাতিও অনেকাংশে মানুষেরই প্রতিরূপ। মাহুষ আনন্দ ও প্রয়োজনের বশবৰ্ত্তী হইয়। কাজ করিয়া স্বষ্টি করিয়া জীবনের পরিচয় দেয়, জীবনকে সার্থক করে ; সমাজ এবং জাতিও আনন্দ এবং প্রয়োজনের খাতিরে তাহার শক্তিকে নানাভাবে খেলাইয়া জীবনের পরিচয় দেয়। যে জাতি কিম্বা যে-সমাঞ্জ আনন্দের মূল্য না বুঝিয়া কেবল প্রয়োজন সাধনেই ডুবিয়া থাকে অথবা ষে জাতি চাৰ্ব্বাকপন্থীর মত স্বথই সৰ্ব্বস্ব করে সে যে রোগগ্রস্ত তাহাতে সন্দেহ নাই । চিকিৎসা না করিলে এ জাতির রোগবৃদ্ধি ও মৃত্যু অনিবাৰ্য্য । মামুযের জীবনে প্রয়োজন এবং আনন্দের দুইটি বিভাগ আছে বটে ; কিন্তু বৈজ্ঞানিকের কড়া মাপকাঠিতে মাপিতে গেলে তাহাদের দুষ্টটির মাঝখানের ভেদ-রেখাটি খুঞ্জিয় পাওয়া শক্ত । বহির্জগতে যেমন ফুলকে আমরা বলি সৃষ্টির আনন্দের বিকাশ এবং ফলকে বলি প্রয়োজনের রূপ, অথচ জানি যে ফলের বৃষ্টির জন্তু ফুলের বিশেষ &zप्रॉखनझे আছে, এবং ফলের প্রয়োজনের মধ্যেও ফুলের সৌন্দর্ঘ্য একেবারে মরিয়া যায় নাই ; তেমনি মানুষের অন্তর্জগতেও প্রয়োজন এবং আনন্দ, গদ্য এবং কাব্য, উপকথা ও নীতিকথা পরস্পরকে অনেকখানি জড়াইয়া আছে । গদ্যকে আমরা কাব্যালঙ্কারে শোভিত করি, কাব্যে আমরা মোহমুদগর রচনা করি, স্বয়োরাণী দুয়োRাণীর উপকথায় আমরা নীতি প্রচার করিয়া হেঁটেকাট। উপরে র্ক টা দিয়া অপরাধীর শাস্তি বিধান করি, আবার হিতোপদেশে জরগেব ও লঘুপতনকের গল্প বলি । বিধাতা স্বয়ংও আমাদের লইয়া এমনি খেল খেলিতেছেন, স্বতরাং আমাদের পক্ষে তাহার অনুকরণ করা কিছুই বিচিত্র নয়। খাদ্যের রাসায়নিক বিশ্লেষণ করিয়া মানুষের শরীরের পক্ষে প্রয়োজনীয় যে যে জিনিব তাছাতে পাওয়া যায়, বিধাতা বিজ্ঞচিকিৎসকের মত সেগুলি শিশিতে ভরিস্থা আমাদের জন্ত ত ডিম্পেন্সারি সাজাইয়া রাখেন নাই ; তিনি সেই খাদ্যকে রূপে রসে গন্ধে অনুপম করিয়া মানুষকে আনন্দ দিয়াছেন । কেননা আনঙ্গ আপাত দৃষ্টিতে প্রয়োজনাতীত বোধ হইলেও বাস্তবিক এক পক্ষে তাহাই অধিকতর প্রয়োজনীয় ; কারণ, যাহাতে প্রয়োজনসিদ্ধি হয়, কিন্তু আনন্দ ফুরিত হয় না, এমন জিনিষ তাহার নীঃসতার দোষে মাকুবের বিতৃষ্ণা আনিয়া প্রয়োজনসিদ্ধির পথেও ব্যাঘাত জন্মায় । মামুষের আনন্দবোধ ও আনন্দপ্রকাশের প্রেরণা হইতেই চারু শিল্পের জন্ম। আনন্দের উৎস যে-জাতির শুকাইয়া গিয়াছে শিল্প তাহাদের মধ্যে মৃত অনাদৃত । জাতীয় অবনতির সঙ্গে সঙ্গেই তাই শিল্পেরও অনাদর এবং সঙ্গে সঙ্গে অধোগতি হয়। কেবল খাইয়। আর পরিয়াই মাহুষ বঁাচে না ; আনন্দই মানুষের প্রাণ, জাতির প্রাণ। স্বতরাং কেহ যদি মনে করেন এই দরিদ্রদেশে শিল্পশ্বষ্টির কোনো মূল্য নাই, কেবল চালের কল ও কটন মিল প্রতিষ্ঠা করিলেই দেশ উদ্ধার হইয়া যাইবে, তাহা হইলে তাহার মত ভ্ৰাস্ত আর কেহ নাই। প্রাণের লক্ষণই বহু রূপে বৰমূৰ্ত্তিতে আপনাকে প্রকাশিত করা ; ঘেজাতি র প্রাণ তাহার শিরায় শিরায়, ধমনীতে ধমনীতে প্রবাহিত সেই শিল্প-সাহিত্যাদি নানা আনন্দের খেলার ভিতর আপনার স্ফূৰ্ত্তিকে ছড়াইয়া দিয়া আপনার আয়ুষ্কাল বৰ্দ্ধিত কয়ে । যে জাতির প্রাণ বুকের কাছে ধুক্‌ধুক করিতেছে, সেই নাড়ী টিপিয়া পাচনের হাড়িটুকুমাত্র জাকৃড়ান্টয়া জড়ের মত পড়িয়া থাকে, অন্য দিকে দৃষ্টিপাত করাকেও দৃষ্টিশক্তির অপচয় মনে করে। স্বতরাং শিল্পের আদর করিতে গিয়া আমরা যদি কারুশিল্পকে বচোইয়া চারুশিল্পকে আবর্জনার মধ্যে ফেলিয়া দিতে চাই, তাহা হইলে গাছের গোড়া কাটিয়া আগায় জল দেওয়া হুইবে । কারুশিল্পের জন্মই হইয়াছে মামুষের ব্যবহারিক জীবনের প্রয়োজনের সহিত তাহার জানন্দজাত চারুশিল্পের একটা সামঞ্চস্ত করিবার জগু । মাহুষ তাই পটের উপর তুলি চালাইম্বাই আপনার রসায়স্কৃতিকে শেব করে নাই। কার্পাসের ও পশমের স্থতায় ৰোন যে কোনো কাপড়ে भीकृष्ट्यब्र अच्छी ७ नॆपक नियाग्र१ इहेऊ ? विघ्नौ उोश८ङ