গঙষ্ট হইতে পারিল না ; সে ঢাকাই মসলিন, মছলিপটমছিট, জামিয়ার শাল, কিংখাষ, কত কি স্বষ্টি করিল ; কারিগরের শিল্পী গুরুর অতুকরণে বংশের পর বংশ ধরিয়া স্বস্ত্রশিল্পের ব্যবসায় চাগাইতে লাগিল । ইহাতে মাছুষের মনও খুনী হইল প্রয়োজনও সিদ্ধ হইল। শিল্পী যে আনন্দজাত সৌন্দর্ঘ্যের স্বষ্টি করেন তাহাকে সহজলভ্য করিয়া ঘরে ঘরে বিকাইবার জন্য এবং পণ্যজীবী যে কাজচালানো পণ্যে বাজার ছাইয়া দেন তাহাকে সৌন্দর্য্যে ভূষিত করিবার জন্য কারিগরের কারুশিল্প। এইখানেই সৌন্দর্ঘ্যের সহিত প্রয়োজনের যোগ, শিল্পের সহিত পণ্যের মিলন । ভারতের কারুশিল্প প্রধানত কৃষিজ প্রব্যের উপর প্রতিষ্ঠিত । ভারতবর্ষ কৃষিপ্রধান দেশ ; তাহার দেহের খাদ্য ও মনের আনন্দ সমস্তই এই ভূমিলক্ষ্মীর ক্রোড় হইতে প্রাপ্ত। তাই তাহার অস্তরের কাব্যরস গ্রাম্য বাউলকবি ও কখকের মুখে মুখে আনন্দ বিলায় এবং শিল্পকলা কুটীরে কুটীরে গড়িয় উঠে। গৃহের আবেষ্টনে বৰ্দ্ধিত এই কৃষিজ কুটীর শিল্প ভারতবাসীর জীবন যাত্রার সহিত জড়িত। এই কারুশিল্পের উন্নতি-অবনতির সহিত সখের কারিগরের মাত্র সম্পর্ক নয়, ইহার সহিত ভারতের শতকরা পচানব্বই জন ক্ল'বজীবীর ভাগ্য জড়িত। গ্রামে কাপাসজাত স্থত। কাটা হইত বস্ত্রের জন্য। মানুষ নৈপুণ্য দেখাইবার জন্য ও সৌন্দৰ্য্য বৰ্দ্ধন করিবার জন্য তাহাকে মসলিনের মত সুক্ষ্ম করিয়া কাটিল ; এ সূতা গ্রামেরই মেয়েদের চরকায় কাট। তারপর গ্রামের তাতী কাপড় বুনিল, কেহবা তাহাতে জামদানি পাড় তুলিল কেহ নানা নক্সার বুটি তুলিল। সাদা কাপড় মামুষের চোখে একঘেয়ে হইয়া যায় বলিয়া দেশজ রঙে গ্রামের রঞ্জকই তাহাকে কত রঙে রঙাইত। আজও আমরা দেশী রঙীন ঢাকাই শাড়ী পরিতেছি বটে, কিন্তু সে শাড়ীর সুতাও বিদেশী, রংও বিদেশী। শুধু তাই নয়, সে-সকল শাড়ীর পাড়ের ও *াচলের নকুল পর্ব্যস্ত বিলাতী ও ফ্রেঞ্চ সন্তা পর্দা প্রভৃতির স্বাক্ষরণে বোন ; কারণ, কারিগর যদি বা দেশে আছে, নিী এক্স নাই, যে উচ্চারের দেশী নক্সা তাহাদের
- ঙ্গ আঁকিয় দেয় ।
প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩৪ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড ঘরের বারান্সার খুটি, দরজার কপাট হই ে• আরম্ভ করিয়া খাটপালঙ্ক, বাক্স, খেলনা সমস্তই গ্রামের ছুতার তৈয়ারি করিত, এবং নানা কারুকার্ষ্যে সাজাইত। এখন দরিত্রের ঘরের আমকাঠ শিমুলকাঠের দরজায় সৌন্দর্ঘ্যের ত চিহ্নই নাই, বড়লোকে চীনা মিস্ত্রীর কাজের জন্যই বেশী লালায়িত। কাঠের খেলনার পাট ত প্রায় ऍछठिप्लाझे গিয়াছে ; তাহার বদলে সেলুলয়েড টিন এবং রবারের জৰ্ম্মান ও জাপানী খেলনাই ঘরে ঘরে বিরাজিত । রেশম-শিল্প ও মরিতে বসিয়াছে। আমরা ষে বেণীরসা পরি তাঙ্গর রেশম ও জর সবই প্রায় বিদেশ হইতে আন । দেশী কারিগর বুনিয়া দেয় এই পর্যস্ত। অনেক সময় বোনাও বিদেশী, কেবল জরির কাজট। দেশী । তাছাড়া বাংলার নানা গ্রামে গ্রামে তসর গরদ চেলি প্রভৃতির যে ছোট ছোট শিল্প-কেন্দ্র ছিল, ভাগ আমাদের চোখের সাম্নেষ্ট দিন দিন এক এক করিয়া অনেকগুলি মরিয়া গিয়াছে ; কারণ এসকল রেশমের চেয়ে অনেক সস্তা ফ্রেঞ্চ সিদ্ধ এবং তার চেয়েও সস্ত। আলপাকা নামে চলিত নকল সিন্ধ আজ বাজারের সমস্ত দোকান ছাইয়া দিয়াছে । ধাতব শিল্পের ভিতর বাসন ও গহন প্রভৃতির দুর্দশাও সমান। গহনা অবস্থা আজকার মাতুব কিছু কম পরিতেছে না ; কিন্তু সে গহনার কারিগরের সহিত শিল্পীর কোনো যোগ নাই বলিয় তাহাও বিদেশী গহনরি সস্তা নকলে অথবা দেশী বিলাতী সংমিশ্রণে খিচুড়ি নক্সায় মামুষের অঙ্গসৌষ্ঠব লাঘব করিতেছে । কিন্তু নানা-প্রকার কুটার-শিল্পের একটা তালিকা দেখ৪য় এবং তাহাদের অবস্থা বর্ণনা করা ত আমার মত একজন মাহুষের পক্ষে সম্ভব নয়। আমি শুধু বলিতে চাই ধে, ভারতবর্ষব্যাপী অসংখ্য গ্রামে যে অগণ্য শিল্প একদিন ঘরে ঘরে গড়িয়া উঠিয় গ্রামবাসীর জীবিকার সংস্থান ও দেশের লোকের প্রয়োজনসিদ্ধি এবং আনন্দবিধান করিতেছিল তাহাদের যে আজ কি অবস্থা তাহার কি কেহ খোজ রাখে ? এই বিষয়ে খাটি বৈজ্ঞানিক পন্থায় সমস্ত দেশজোড়া অস্থসন্ধান হওয়া উচিত। কোন জেলায়, কোন এামে কি কি শিল্প ছিল, তাহার কতগুলি আছে, १७७गि भबिष्ट्र भिशाप्छ, कउयुणि प्लेब्रङ इ३८उऋछ,