পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԳԵ

বিদ্যা পরিপূর্ণ ভাবে আয়ত্ত করা অপেক্ষ নানা বিদ্যা চাথিয়া দেখায় প্রবৃত্তিই বেণী । এই প্রবৃত্তিকে সংযত করিয়া এবং একের ভিতরই বৈচিত্র্য আনিয়া শিল্পবিদ্যাটিকে তাহাদের পক্ষে চিত্তাকর্ষক করিয়া তুলিতে হইবে । বিদ্যালয়ের ছেলেমেয়ের অধিকাংশই দরিদ্র বা মধ্যবিজ্ঞ পরিবার হইতে আসিয়া থাকে । ইহাদের শিল্পবিভাগের হাতের কাজগুলি বিক্রয় করিবার জন্য প্রত্যেক স্কুলে একটি কেন্দ্র স্থাপন করিয়া কর্তৃপক্ষ যদি তাহা বিক্রয় করিয়া দেন, তাহা হইলে তাহাতে তাহাদের পাঠ ও ভরণ-পোষণের ব্যয় সহজেই চলিয়া যায় এবং ছাত্রাবস্থা হইতেই উপার্জনক্ষম হইতে পারায় একট। আত্ম-সম্মানবোধ ও কার্য্যে উৎসাহ জাগে । প্রত্যেক বদ্যালয় এবিষয়ে স্বতন্ত্রভাবে উদ্যেগী ত হইবেনই, তাহা ছাড়া শিক্ষা-বিভাগ হইতে সমুদায় বিদ্যালয়ঞ্জাত শিল্পদ্রব্যাদি বিক্রয়ের একটা কেন্দ্র যদি স্থাপিত হয়, তাহ। হইলে বিক্রয়ের নিশ্চয়তা সম্বন্ধে আর একটু নিশ্চিন্ত হওয়া যায়। ছাত্রদের ইহাতে অর্থলাভ ত হয়ই, উপরন্তু মামুষ যে তাঁহাদের হাতের জিনিষের আদর করিতেছে, এই আনন্দের খোরাকটুকুও জোটে ।

সৰ্ব্বসাধারণের চোখের সম্মুখে গ্রামের আঞ্জন্মশিল্পী ও সহরের ছাত্রশিল্পী প্রভৃতির হাতের কাজগুলি ধরিবার জন্য ও মানুষের চোখের ভিতর দিয়া সকলের মনে প্রবাসী—বৈশাখ, Sථෂ3 ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড তাহাদের স্থান দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করার জঙ্ক, জেলায় জেলায়, সহরে ও গ্রামে মাঝে মাঝে শিল্প-প্রদর্শনী, মেলা ইত্যাদি খোলা যে উচিত তাহা বগাই বাহুল্য। সামান্ত একটু আমোদ-আহ্নাদের ব্যবস্থা থাকিলেই সেখানে লোকের ভিড়ের কমৃতি হইবে না। খরচ যা হইবে তাহী সমস্তই উঠিয়া গিয়া বরং লাভ থাকিবে । ইহা ছাড়া ন্যাশন্তাল চেম্বার অফ কমাসের সহিত এামজ কুটার-শিল্পের যদি একট। যোগ স্থাপন করা যায় ; দালালের যেমন প্রতি গ্রাম হইতে কাচা মাল সংগ্রহ করে રવિ করিয়া যদি ইতাদের নিযুক্ত লোক প্রতি গুহ হইতে সামান্য সামান্ত শিল্পবচনাগুলি সংগ্ৰহ করিয়া সৰ্ব্বসাধারণের কাছে আনিয়া ফেলিতে পারে এবং চাহিদা বুঝিয়া শিল্পীদের অর্থ ও কাচামাল দিয়া এই কাজে উৎসাহী কবিয়া তুলতে পারে তবে আমাদের দেশজ শিল্পগুলি ক্রমে দাড়াইয়া যাইতে পারে । আজ জাতীয় জাগরণের দিনে আমরা দেশের আনন্দ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অর্থ, অন্ন, দেশাত্মবোধ সকল বিষয়েই ভাবিতে বসিয়াছি ; এমন দিনে দেশের কলাভক্ষীকে ষেন আমর ভুলিয়া না যাই তাহা বলিয়া দিতে হইবে না, কারণ এই লক্ষ্মীর হস্তেই অন্ন, অর্থ, আনন্দ বিলাক্ট বার ভার এবং অন্ন, অর্থ ও আনন্দ যাহার আছে, সেই স্বাস্থ্যে শিক্ষায় সুন্দর হইতে ও দেশাত্মবোধে উদ্বুদ্ধ হইতে পারে। جميضيعكمكسيد كيمييجي جينية সম্পাদকের চিঠি ( , ) আমি মোটামুটি যে বারদিন ইংলণ্ডে ছিলাম, তার প্রত্যেক দিনের চব্বিশ ঘণ্ট। ঘুরিয়া বেড়াইলেও দেশটির বেশী কিছু দেখা হুইত না । সুতরাং এটা দেখা হয় নাই, ওটা দেখা হয় নাই, বলিয়া দুঃখ করা বৃথা । কিন্তু আমি যে একটা আকস্মিক বাধা প্রযুক্ত ব্রিষ্টল গিয়া রামমোহন রায়ের সমাধি মন্দির ও তথাকার টাউনহলে রক্ষিত তাহার তৈলচিত্ৰ দেখিয়া আসিতে পারি নাই, তাহার জন্য আমি দুঃখিত। ইংলণ্ডের অল্প যাগ কিছু দেখিয়াছি, তাঙ্গ প্রধানতঃ প্রধান অরবিন্দমোহন বস্থব দেখাইবার উৎসাহে ঘটিছিল ; সেই উৎসাহ আমার জড়তাকে পরাভূত করিয়াছিল । জেনীভায় লীগ অব নেশন্সের য়্যাসেম্বর অধিৱেশন ৬ই সেপ্টেম্বর সোমবার আরম্ভ ইষ্টবে স্থির ছিল। . এই