পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/১২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮ম সংখ্যা । ] স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র বৈঠক স্থান গঠিত হয়। তাহারা আসিয়া উপস্থিত হইলে কন্যাপক্ষীয়গণ স্বাগতসম্ভাষণাদি দ্বারা তাহাদিগকে অভ্যর্থনা করিয়া যথানিৰ্দিষ্ট স্থানে বসায় ; এবং তখন মদ, তামাক ইত্যাদি শিষ্টাচারোপহার অবিশ্রান্ত চলিতে থাকে। কিয়ৎক্ষণ পরে পাত্রীপক্ষীয় সকলে নানা মঙ্গলায়োজনের সহিত প্রথমে উপরোক্ত কিশোরীকে গৃহে তুলিয়া, পরে অন্যান্ত বরযাত্রিগণকেও ঘরে লইয়া যায়। এই সঙ্গে দ্বারদেশে স্থাপিত মঙ্গল ঘট এবং প্রদীপাদিও উঠাইয়া আন হয়। পরে গহনাদি যাবতীয় দ্রব্য কন্যার পিতামাতা বুঝিয়া লয়, এবং সকলে আহার করিয়া উঠিলে বরপক্ষীয়া মহিলাগণ সেই গহনা এবং পরিচ্ছদের এক প্রস্থ পাত্রীকে পরাইয় দেয় । অনন্তর সকলে নিদ্রা যায়, এবং পরদিন প্রত্যুষে ঘট প্রদীপাদি যথাস্থানে স্থাপন পূৰ্ব্বক অপরাপর শুভানুষ্ঠানের সহিত পিতামাতা দুহিতারত্নকে বিদায় দান করে । এই সমরে “সাকো” ( সিড়ি )র পথ বন্ধ করিয়া সপ্ত গুণ সূত্র টাঙ্গাইয় দেওয়া হয় । বরপক্ষীয়ের পাত্রী বাহির করিয়া মানিতে কস্তার মাত স্থতাখানি ছিড়িয়া দেয়। ইহাতেই তাহাদের সহিত কস্তার সম্বন্ধ বিচ্ছিন্ন হইয়া যায়* । যাহা ইউকং কণ্ঠার সমভিব্যাহারে তাহার পিতা কি পিতামাতা উভয়েই গিয়া থাকে। বরের বাড়ীতেও নানা মঙ্গলায়োজনের সহিত পাত্ৰা তুলিয়া লইবার প্রথা আছে। বিবাহদিন প্লাতেই "চুঙলাং" পুজা হইয়া থাকে। রাত্রে ( কোন কোন পরিবারে গণতকার নিদ্ধারিত লয়ে ) বরকন্যাকে উপযুক্ত বসনভূষণে সজ্জিত করিয়া শয়নকক্ষে বিবাহবেদী উপরি উপবেশন করায় । স্ত্রী স্বামীর বামপার্থে স্থান পাইয়া থাকে। অতঃপর বরের কোনও আত্মীয় এবং আত্মীয়া বরকস্তার প্রতিনিধিত্ব ভার গ্রহণ করিয়া যথাক্রমে তাহাদের পশ্চাতে বসে। .ইহাদিগকে “ছায়লা” এবং “ছায়লী” বলা হয়। ইহার একখানি নূতন কাপড় লইয়া উপস্থিত সকলকে জিজ্ঞাসা করে, “যোড়গাট

  • ত্রিপুরাদিগের মধ্যেও ঈদৃশী গ্ৰথা আছে, কিন্তু তাহ কিঞ্চিৎ ভিন্নরূপ। পাত্রীকে বাহির করিয়া আনিবার সময় তাহার ভগ্নী বা

"" (বাইই) দ্বারে একটি মূল বশ আড় করিয়া ধরে। ঘর**ीtइब्र। उांश छाक्रिब्राँ कछ श३ग्न चाप्म । চাকমাজাতির সংস্কার কৰ্ম্ম । 彰 বধিবার हड्स আছে ত?” সকলে বলিয় উঠে—“আছে” 8 ( సి “আছে” “আছে”। সন্মতি পাইবা মাত্রই “ছায়লা-ছাল্গুলী” উক্ত বস্ত্রের দ্বারা দম্পতীকে বদ্ধ করে। তখন তাহারা পরস্পরকে “বদাগুল্য ভাত” অর্থাৎ সিদ্ধ ডিম্ব মিশ্রিত অন্ন এবং কলা, গুড় ও পান ইত্যাদি খাওয়ায়, ফলে মুখম্পর্শ করাইয়া থাকে। স্ত্রী দক্ষিণ হস্তে স্বামীর মুখে এবং স্বামী বাম হস্ত দ্বারা প্রণয়িনীর গলদেশ বেষ্টন করতঃ মুখে উল্লিখিত ভক্ষ্য প্রদান করে । অবশু এই কার্য্যেও “ছায়লাছায়লী’র বিশেষ সাহায্য প্রয়োজন। কেন না উপস্থিত সাধারণের * সম্মুগে নবদম্পতি ব্রীড়ানিপীড়িতপ্রায় অসাড়ই থাকে। তখন তাহারা স্বাধীনভাবে কিছুই করিতে পারে না । প্রতি কার্য্যেই অন্তদীয় সহায়তা অপেক্ষা করে । খাওয়ানর বিনিময়ক্রিয়া সম্পন্ন হইয়া গেলে সমাগত বয়োবৃদ্ধগণ নবীন দম্পতীর মস্তকে শুভাশীষবাক্যের সহিত নদীজল বর্ষণ করে। ইহাই স্বস্তি বাচন—পক্ষান্তরে কৰ্ম্মের সাফল্য ঘোষণা ! অনন্তর স্বামী স্ত্রী দুই পৃথক স্থানে নিদ্রায় রাত্রি কাটাইয়া থাকে। পরদিন অতি প্রত্যুষে দম্পতী গাত্ৰোখান করিয়া জনৈক “ওঝার”+ সহিত নদীকুলে যায় ; এবং তথায় দুইটী মোরগের রুধির, ঘিলা’ ও ‘কুচ' বাটা, কিঞ্চিৎ মদ্য ও সোণারূপার জলে মাথা ধুইয়া শুদ্ধ হয়। ইহাকেই বিবাহের “বুরপারণ” বলে। অতঃপর চারিদিকের লোক ঘুম হইতে না উঠিতেই বাড়ীতে প্রত্যাবর্তন করে। পরিশেষে আহারাদির পর আত্মীয়স্বজনাদি সমাগত স্ত্রী পুরুষ সকলে (অবশু দুই ভিন্ন দলে) সভা করিয়া বসে। তথন নবদম্পতী তাহাদিগের নিকট হইতে শুভাশীৰ্ব্বাদ গ্রহণ করিতে উপনীত হয়, এবং যথোচিত অভিবাদন পুরঃসর পূজনীয়বর্গের নিকট হইতে নিষ্ঠীবনপৃক্ত-সতণ্ডুল-তুলা শুভনিৰ্ম্মাল্য স্বরূপ লাভ করে। এই সঙ্গে দম্পতীর কিছু আর্থিক লাভও ঘটিয়া থাকে। সাধারণতঃ এ সময়ে কন্যার 事 এন্থলে সাধারণ বলিতে স্বজাতীয় বুঝিতে হইবে। প্রভূত ইহা দিগের মধ্যে অবরোধ প্রথার কঠোরত না থাকিলেও ইহার এই বিবাহ স্বজাতি ভিন্ন অপর কাহাকেও কোনরূপেই দেখিতে দেয় না, এমন কি বিজাতীয় বন্ধুও বন্ধুর বিবাহ দেখিতে সমর্থ নহে। + জাতীয় সামাজিক অনুষ্ঠানের যাজক। ভূতপ্ৰেতাদির উৎপাত নিবারণ, রোগপ্রতিকার, গ্রাম্যদেবতা পূজা প্রভৃতি বহুবিধ ক্রিয়াকর্থে "ওঝার" প্রয়োজন। এই পদ বংশগত নহে, বিশেষ অভিজ্ঞ না হইলে । ইহার ভার পায় না। চাক্মাসমাজে ধাত্রীগণকেও "ওঝা" বলিয়া থাকে।