পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/১৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯ম সংখ্যা । ] যে কত হতভাগ্য অকালে আত্মবলি দিয়াছিল তাহার ংখ্যা করা দুরূহ। কিন্তু সেই সকল হতভাগাদিগের দীর্ঘশ্বাস—তাহাদিগের অনাথ পুত্র, অনাথিনী পত্নী প্রভৃতির অশ্রধারা বৃথা যায় নাই ! প্রবল পরাক্রান্ত বক্তিয়ার যখন কুচবেহার হইতে দেবকোটে প্রত্যাবর্তন করিলেন তখন আলিমৰ্দ্দনের শাণিত ছুরিকা তাঙ্গর হৃদয়শোণিত পান করিয়াছিল । বক্তিয়ারের পাপের প্রায়শ্চিত্ত হইল। হত্যাকারী আলিমৰ্দ্দন পলায়ন করিয়া দিল্লির সিংহদ্বারে যাইয়া উপনীত হইলেন। বাদশাহ কুতবউদ্দীন তখন দিল্লি হইতে গজনি অভিমুখে যাত্রা করিতেছিলেন ; আলিমৰ্দ্দন তাহার কৰ্ম্মে নিযুক্ত হইলেন। বক্তিয়ারের মৃত্যুর পর তাহার সুবিখ্যাত সেনাপতি মহম্মদ শেরাণ লক্ষ্মণাবতীর রাজসিংহাসনে আরোহণ করিলেন। কিন্তু সে সৌভাগ্য তাহার অদৃষ্টে অধিক দিন টেকে নাই। আলিমৰ্দ্দনের প্ররোচনায় কুতবউীনের বিপুল বাহিনী বঙ্গবিজয়ে অগ্রসর হইল। তখন হোসেনউদ্দীন নামক একজন পাঠান গঙ্গোত্রীর শাসন কত্তা ছিলেন । নিজ স্বার্থসিদ্ধি জন্য তিনি রাজসৈন্তের সহিত মিলিত হইলেন, কিন্তু অন্যান্ত পাঠান সেনাপতিগণ রুমীর সহিত যুদ্ধে পরাজিত হইয়া কুচবেহারে পলায়ন করিলেন। একদিন তাহাদিগের মধ্যে কলহ উপস্থিত হইল-মহম্মদ শেরাণ সেই কলহকালে নিহত হইলেন । বক্তিয়ারের সুখ-দুঃখের, বিপদ-সম্পদের, পাপ-পুণ্যের সহচর কৰ্ম্মফল ভোগ করিলেন। যখন পথ নিষ্কণ্টক হইল তখন আলিমৰ্দ্দন আসিয়া দেবকোটের মসনদে উপবিষ্ট হইলেন। কিন্তু যে দিন তিনি শুনিলেন যে সুলতান কুতবউদ্দীন আর জীবিত নাই, তিনি সেই দিনই নিজেকে একান্ত স্বাধীন বিবেচনা করিয়া সুলতান আলাউদ্দীন নামে বঙ্গের বাদশাহ হইয়া বসিলেন। মসনদে বসিয়া তাহার ঔদ্ধত্য এতই বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হইল যে নিরপরাধ 娶 Alewdays after his arrival at Deocote in Bengal, he sank under the pressure of liis calamities, amidst the execration and curses of the orphans and widows of the soldiers who had fallen a sacrifice to his insatiable ambit ion--History of Bengal, C. Stewart. প্রায়শ্চিত্তে প্রতিশোধ । ABBBBB BBBB BBB BBBB BBBB BBB BS BBB BBBB BBD DD DDD 8:ՏԳ লাগিলেন ! আলিমর্দন তখন মনে করিতেছিলেন যে তিনিই দুনিয়ার মালেক—পারস্ত বা খোরাসান বা দিল্লির বাদশাহগণ অতি নগণ্য সকলেই তাহার পদানত! কিন্তু নবীন সুলতানের ভরা তখন পূর্ণ হইয়াছিল ; দুষ্ট বৎসর মাত্র রাজত্ব করিতে না করিতেই গুপ্তহস্তার স্বশাণিত ছুরি তাহার সকল সাধে বাদ সাধিল—বক্তিয়ারের তৃষিত আত্মা শান্তিলাভ করিল ! তারপর অনেকদিন গেল ; নসীরুদ্দীন, তোঘল খাঁ, জালালউদ্দীন প্রভৃতি অনেকে লক্ষ্মণাবতীর সিংহাসনে আরোহণ করিলেন এবং জলবুদ্ধদের দ্যায় কালস্রোতে মিশিয়া গেলেন। শেষে খ্ৰীঃ ১ সালে সুলতান ফিরোজ বাঙ্গালার দণ্ডমুণ্ডের কৰ্ত্তারূপে দানে ও দয়ায় লোকপূজ্য হইয়া মস্জেদ এবং মিনারেটে গৌড়ের শোভা বদ্ধন করিয়া পরলোকে গমন করিলেন । তাঙ্গর পুত্র মহম্মদশাহ পিতার সিংহাসনে আসিয়া বসিলেন। রাজমন্ত্রী হাবিশ শী রাজার জন্য শুধু শূন্ত সিংহাসন ভিন্ন আর কিছু রাখেন নাই ! অন্যান্য রাজ-অমাত্যগণ স্থির করিলেন যে হাবিশ থাকে অপসত করিবেন। সিদ্দি বদর দেওয়ানা নামক একজন অমাত্য রাজমন্ত্রীকে নিহত করিলেন ; তখনও তাহার হৃদয়ে লোভ আসে নাই। কিন্তু যখন তিনি দেখিলেন যে আর একপুদ অগ্রসর হইলেই একেবারে সিংহাসনে যাইয়া বসিতে পারা যায় তখন আর কালবিলম্ব না করিয়া হাবিশ খার রুধির-রঞ্জিত পড়েগ নৃপতি মহম্মদ শাহের নিরপরাধ শির ছিন্ন করিয়া ফেলিলেন । কিন্তু তাহার শাসনকৌশলে রাজ-অমাত্যগণ এতই ব্যতিব্যস্ত হইয়া পড়িলেন যে একদিন নিশাযোগে হত্যাকারিগণ তাহাকে নিহত করিল । রাজমন্ত্রী সৈয়দ হোসেন এই হত্যাকাণ্ডের নায়ক ছিলেন । সিংহাসন কখনই শূন্ত থাকে না-মহম্মদ শাহের শোণিতসিক্ত সিংহাসনে সৈয়দ হোসেন আসিয়া বসিলেন । তিনি ইতিহাসে সুলতান আলাউদ্দীন হোসেন শাহ মক্কার শরিফ বলিয়া পরিচিত। তাহার আদেশে সৈন্তগণ গৌড় লুণ্ঠন করিতে লাগিল । সৈয়দ হোসেন অবশেষে দেখিলেন যে লুণ্ঠন নিবৃত্ত না করিলে গৌড়ে আর কিছু থাকে না । তিনি নিষেধ-আজ্ঞা প্রচার করিলেন। লুণ্ঠন-লুব্ধ উন্মত্ত সৈন্তগণ Ꮌ 8ᎼᎼ