পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/২০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯ম সংখ্যা । ] 海 v, এবং অত্যন্ত গ্রাম্য লোকেও জানে স্বর্ষের আলোর gq সে সব বর্ণের উৎপত্তি। দিক্ বিশেষে জলের ফুৎকারে ইন্দ্ৰধনু দেখা যায়। ইহাও স্বর্যের গুণে ঘটে, তাহ বালকেও কিতে পারে। আরও একটু জাইতে পারা যায়। পৃথিবীতে যে অসংখ্য বর্ণের বস্তু দেখিতে পাওয়া যায়, সে সকল বর্ণের মূল স্বর্যরশ্মি আছে, এ তথ্য অল্প অনুধাবনেই বোঝা যায়। প্রাচীনের বিশ্লেষণপটু ছিলেন, তাহাও সকলে স্বীকার করিবেন। কিন্তু স্বর্যরশ্মির গুণে নানাবর্ণের উৎপত্তি, এবং মানাবর্ণের কিরণ মিশিয়া সুর্যের শ্বেতবর্ণ আলোর উৎপত্তি, এই দুই কথা এক নহে। যতদিন শেষোক্তভাবের কোন শব্দ না পাইতেছি, ততদিন বলিতে পারি না যে প্রাচীন zitzűzi GầR FR-WIJK-solar spectrumen Fixঅবগত ছিলেন। অগ্নির এক নাম সপ্তাচি । ইহার সহিত কৃত্তিকা নক্ষত্রের সাত তারার সম্বন্ধ থাকিতে পারে। অগ্নি, কৃত্তিকার অধিপতি, এবং তৈত্তিরীয় ব্রাহ্মণে কৃত্তিকার সাতটি তারার নাম পর্যন্ত আছে। (আমাদের জ্যোতিষী ও জ্যোতিষের ২৯৬ পৃষ্ঠা দেখুন। ) হয় ত বেদের সাতমাসের সাত পুরোহিতের সাত অগ্নি হইতে আগুনের সাত শিখ গণনা দৃঢ়মূল झश्झझिा । পুরুরবা ও উৰ্ব্বশর উপাখ্যানের জ্যোতির্ষিক ব্যাখ্যা “আমাদের জ্যোতিষী ও জ্যোতিষ পুস্তকে করা গিয়াছে। বায়ু পুরাণের উপাখ্যানে পুরুরবা গন্ধবদিগের নিকট হইতে অগ্নি পাইয়াছিলেন। আজকালকার দিনে আগুন উৎপাদন অতি সহজ হইয়াছে। পূর্বকালে—পূর্বকালে কেন, বিলাতী দআশলাই প্রচলনের পূর্বে—আগুন উৎপাদন সহজ ছিল 1। এখনও এদেশেই এমন স্থান আছে যেখানের স্তত্র বালগংগাধর ‘টিলক’ লিথিয়াছিলাম বলিয় কেহ কেহ টিলক’ দকে শুদৃধ করিয়৷ তিলক লিখিতে বলিয়াছিলেন । তিলক আমার আজান ছিল না, এবং বলা বাহুল্য তি অল্পেই টি য় পড়ে। কিন্তু সংজ্ঞ শুদৃধ করিবার অধিকার কাহারও ছে কি ? বোনাঙ্গী-সাহেবকে বন্দ্যোপাধ্যায় সাহেব বলিলে फ़िनिtश ? पखउ: बांश**शोषग्न ठिळक नरश्न, फैिंलक७ नरश्न । দর মত মরাঠী, তেলুগু ও ওড়িয়াতে ছুই প্রকার ল আছে। আমরা প্রকার জানি। জঙ্ক প্রকার জানাইঘার অক্ষর বাংগলায় নাই। এই লকে ( লর্ড ) বলি, তাহা হইলে বালগংগাধর টি (লণ্ড ) ক । শব্দ ও মরাঠী টিকল, টকা, টঙ্ক ও বাংগল টিকলী, টিক একাৰ্থ। q 峻 S AASAASAASAASAAeA SAeeAeAS AeSeSAeeeS অর্থ। cરળ লোকের বিরাত্রিআগুন জালাইয়া রাখে? কারণ একবার নিবিলে পুনর্বার উৎপাদন সহজ নহে। ওড়িশার কোন কোন পার্বত্য স্থানের লোকেরা অরণি-প্রস্তর ( অগ্নি-প্রস্তর বা চকমকির পাথর ) এবং থর লৌহের পরস্পর আঘাতে আগুন উৎপাদন করিতে জানে না। কারণ অরণ-প্রস্তর সুপ্রাপ্য হইলেও খরলৌহ সুপ্রাপ্য নহে। বস্তুতঃ অগ্নিমন্থ ( গনিআরি গাছ ) এবং অশ্বত্থ বৃক্ষের অরণি ও কুমার (মা এবং পো ) কাষ্ঠস্বয় ঘষিয়া আগুন করিতে দেখিয়াছি। অতএব বৈদিক কালের অরণি ও কুমার এখনও এদেশে বর্তমান। আগুনঃউৎপাদন ও পুরুরবা ও উর্বশীর উপাখ্যান ময়মনসিংহ হইতে প্রচারিত আরতি নামক মাসিকপত্র (১৩০৯ সাল অগ্র ) দ্রষ্টব্য। বঙ্কিম বাবু এ বিষয়ে কিছু লিথিয়াছিলেন বলিয়া জানিতাম না । সম্প্রতি জানিবার অবশরও নাই । টিলকের গ্রন্থে এবং প্রবাসী’তে সে গ্রন্থের আলোচনায় যুগ ও মহাযুগ গণনার উল্লেখ আছে। কএক বৎসর পূর্বে ‘নব্যভারতে কল্পযুগাদি নামে প্রবন্ধে কল্প ও যুগের জ্যোতিষিক আলোচনা করা গিয়াছে। উহার দুই এক স্থান পরিবর্তনের প্রয়োজন হইয়াছে বটে, কিন্তু মোটের উপর ঠিক আছে । ১৩০৫ সালের ফাল্গুন মাসের ‘সাহিত্যে” ওষধিপতি চন্দ্রের কথা আছে। ওষধি হইতে সোমলতার কথা মনে আসিতেছে। সংস্কৃত পংডিতের সাহায্য কত আবশুক হয়, তাহার এক দৃষ্টান্ত দিতেছি। তিন চারি বৎসর হইতে একটি লতা পুষিয়া আসিতেছি। পাশ্চাত্য কোন কোন পংড়িত এই লতাকেই বেদের সোমলত বলিয়াছেন । কিন্তু আমি সংস্কৃত শাস্ত্রের সোমলতার সহিত আমার পোষা লতা মিলাইবার সুবিধা পাই নাই। বেদ হইতে আযুৰ্বেদ পর্যন্ত সোমলতার যত বিশেষণ ও বিবরণ আছে, যদি তাহ কেহ অনুগ্রহ করিয়া একত্র করেন, তাহা হইলে মিলাইবার সুবিধা হয়। অবশ্য পরিশ্রমের কাজ। কিন্তু ‘প্রবাসী’র পাঠকদিগের মধ্যে কোন সংস্কৃতশাস্ত্রানুরাগী পাঠক নাই কি ? যদি কেহ থাকেন, তাহার অবগতির নিমিত্ত আমার সোমলতার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিতেছি। এই লতা বাস্তবিকই মাটিতে লতাইয়া যায়, কারণ ডাটা সরু, পুঁই ডাটার মত।