পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/২৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

০ম সংখ্যা । ] পিাততঃ কষ্টকর কিন্তু পরিণামে ধ্রুব লাভজনক ব্যাপারে স্তক্ষেপ করিতে, সৰ্ব্বদ কুষ্ঠা বোধ করেন। ইহার মাজের মেরুদণ্ড । ইহাদের উদাসীনতায় সমগ্র সমাজ শচল । জনসাধারণের সম্মিলিত মূলধনে কারখানা করিলেও কাৰ্য্য চালান যাইতে পারে। পাশ্চাত্য দেশসমূহে এসব র্য্য সম্মিলিত মূলধনেই পরিচালিত হইয়া থাকে। jখানকার দৈনিক শ্রমজীবীরাও কোন মতে উদরান্নের স্থান করিয়া কিছু সঞ্চয় করিতে পারিলেই তৎক্ষণাৎ তাহা গন না কোন কোম্পানির ২১টা অংশ ক্রয়ে নিয়োজিত র। আমাদের দেশস্থ সঞ্চয়ী লোকের কোম্পানির কাগজ য়ে যেমন সিদ্ধহস্ত, বিলাতের জনসাধারণ, সম্মিলিত ধনের কারবারের অংশ ক্রয়ে প্রায় তদ্রুপ উৎসাহ প্রদর্শন রিয়া থাকেন । সেইজন্য র্তাহীদের উন্নতিও সৰ্ব্বতোমুখী। দিন আমাদের দেশের লোকেরা ঐরূপ সম্মিলিত মূলধনের রবার করিবার অশেষ উপকারিতা ও আত্যন্তিক লঙ্গকতা উপলব্ধি করিতে না পরিবেন, ততদিন আমাদের বসা বাণিজ্যের উন্নতি সুদূর পরাহত। চিনি প্রস্তুত করিবার বরসায় সম্বন্ধে আরও অনেক ফ্রব্য থাকিলেও বাহুল্য ভয়ে লিপিতে পারিলাম না । স্থা হউক, র্যাহাঁদের জন্য এই প্রবন্ধ লিখিত হইয়াছে, বষয়ে তাহাদের মনোযোগ আকৃষ্ট হইলে দেশের একটা রুতর অভাব মোচনের আশা করা যায়। এসম্বন্ধে কেহ ণন বিশেষ তথ্য জানিতে ইচ্ছা করিলে আমার নিকট লিখিত ঠিকানায় পত্র লিখিবেন । শ্ৰীকেদারনাথ দাস । গুসকরা, বৰ্দ্ধমান । বকৃশিশ । শিশু পদার্থটা কি তাহ অনেকেই ভালরূপ জানেন। লার মাজিষ্ট্রেটু, আফিসের বড় সাহেব প্রভৃতি উচ্চপদস্থ রাজগণের সহিত সাক্ষাৎপ্রার্থ হইয়া উপস্থিত হইলে গ্র “বেহারা”কে দু’একটী রজতমুদ্রা দ্বারা পরিতুষ্ট না রলে প্রায়ই সাহের বাহাদুরের দর্শনলাভ কালা আদমির বকৃশিশু। @ ጓ› ভাগ্যে ঘটিয়া উঠে না। এই রজতমুদ্র দান বকৃশিশ নামে অভিহিত হইয়া থাকে । বন্ধুবান্ধবের গৃহে আতিথ্য গ্রহণ করিলে, বিদায়গ্ৰহণকালে বাড়ীর ভূতাবৰ্গকে কিছু দেওয়া একটা প্রথা হইয়া গিয়াছে। ইহার নামও বকৃশিশু। যদি এ বকৃশিশ না দেওয়া যায় ত ভুক্তভোগীরা বেশ জানেন যে নেড়া যদি ফের বেলতলায় যায় তাহা হইলে তাহার অবস্থাটা কিরূপ হয়। অর্থাৎ যদি দ্বিতীয় বার সেই বন্ধু বা আত্মীয়ের গৃহে আতিথ্য স্বীকার করিতে যাই ত আমুকে আর ভৃত্যগণ পূৰ্ব্বেকার মত আদর অভ্যর্থনা করিবে না— যেন বেটা গেলেই বাচি এইরূপ ভাব প্রকাশ করিবে । আফিসের চাপরাসীকেও বক্শিশ দিতে হয়। যদি তাহাকে তাহার এই প্রাপ্য হইতে বঞ্চিত করা হয়, তাহা কুইলে সে আর ভালরূপ খিদমদ করিবে না, এবং বড় সাহেবের নিকট বাবুর গুণগান করিবে না। অতএব এ বকৃশিশ দেওয়াও অনিবাৰ্য্য। রেলের গাড়ীতে বকৃশিশের বড়ই . ধূম । এখানে একটা সামান্ত কুলি হইতে কুলীন ব্রাহ্মণ পাশেল বাবু ও টিকেট্‌ কলেক্টার পর্য্যন্ত বক্শিশু দ্বারা বশীভূত হইয়া থাকেন। কুলিকে কিছু বক্শিশু দিলে বাবুর ত্রিশসের লগেজ অনায়াসে বিনা ওজনে তৃতীয় শ্রেণীর গাড়াতে প্রবেশ লাভ করে। হায়! অধুনা ষ্ট, আই, আরের কর্তৃপক্ষ বেচারা কুলিদের এ আয়ট একরকম বন্ধ করিয়া দিয়াছেন। এখন চলস্থ গাড়ীতেই যাত্রীগণের মাল ওজন করা হয় ; কাজেই যাত্রীরাও আর লুকাইয়া মাল লইয়া যাইতে বড় একটা ইচ্ছুক নয় এবং সেই জন্য কুলি বেচারাও যাঙ্গ কিছু বেশী পাঠত তাহ আর এখন পায় না। পার্শেল বাবুকে কিছু বক্শিশু দিলে মালের ওজন অনেক কম হইয়া যায়। টিকেট্‌কলেক্টরের হাতে কিছু পড়িলে গাড়ীতে সুবিধামত স্থান লাভ হয়। ব্যবসায়ীদের নিকট মাল বাবু কিছু প্রত্যাশ করেন। যিনি ভালরূপ বকৃশিশ্ব দিতে পারেন তাহারই মল সৰ্ব্বাগ্নে পাঠান হয় বা ছাড়ান হয়। পানি পাড়েকে একটা তামখণ্ড প্রদত্ত হইলে, তিনি যে রেল কোম্পানির চাকর, সকলকে সমভাবে জল জোগান যে তাহার একমাত্র কর্তব্য তাহা ভুলিয়া গিয়া, পাড়েজী বক্শিশদাতারই গোলাম হইয়া যান। বস্তুতঃ রেলের মশা মাছিটা পৰ্য্যন্ত বকৃশিশের বশ । আর এক শ্রেণীর