পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/২৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'w૧ના সমাধিমন্দির বর্তমান আছে। তাহার পুত্র মুর কুতব গদী অধিকার করিয়া ১৪১৫ খৃষ্টাব্দে লোকান্তর গমন করেন। বাদশাহী সনন্দ । “ছোট দরগার” ভূসম্পত্তির “এক বাদশাহী সনন্দ”অদ্যপি বর্তমান আছে । তাহা সম্রাট শাহ জাহার রাজাদের দ্বাবিংশ বর্ষের (সুলতান মুজাখার স্বাক্ষরযুক্ত ) ভূমিদান পত্র। ইহার পূৰ্ব্বে যে দানপত্র ছিল, তাহা নষ্ট হইয়া গিয়াছে। হোসেন শাহের “ছোট দরগায়” ভূমিদান করিবার কথা শুনিতে পাওয়া যায়। তাহার কোনও দানপত্র বর্তমান নাই । সুজা খাঁ রাজমহলের রাজধানীতে বাস করিতেন। তাহার হস্তাক্ষর পাণ্ডুয়ার ছোটদরগার “বাদশাহী সনন্দে” রাজপ্রতিনিধির স্বাক্ষর বলিয়া কথিত । বাদশাহী মসজেদ। মুর কুতব আলমের সমাধির নিকটে যে মস্জেদ দেখিতে পাওয়া যায়, তাহা পৰবৰ্ত্তী সময়ে বাদশাহ ইউসফ শাহ কর্তৃক নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। প্রস্তরফলকে তাহায় নাম উল্লিখিত আছে । মুর কুতবের সমাধির সম্মুখেই তাহার পিতার সমাধি। তাহার দ্বারদেশে যে প্রস্তর ফলক সংযুক্ত আছে, তাহাতে প্রথমে কোরাণ হইতে শ্লোক উদ্ধৃত—তাহার পর আলা-উল-হকের দেহত্যাগের বিবরণ। তিনি বাদশাহ আবুল মোজাফফর মাহামুদ শাহের শাসনসময়ে পরলোক গমন করেন । এই প্রস্তর ফলকে আলা-উল-হকের নাম উল্লিখিত নাই, কেবল সাধুপুরুষ বলিয়াই উল্লেখ আছে। তজন্ত নানা তর্ক বিতর্ক প্রচলিত হইয়াছে। ছোটদরগার সহিত বাদশাহদিগের বিশেষ সংশ্ৰব ছিল। যে রাষ্ট্রবিপ্লবে মুসলমানের সিংহাসনে ভাতুড়িয়ার জমিদার গণেশ বাদশাহ হইয়া উপবেশন করিয়াছিলেন, তাহাতে ছোট দরগার সংশ্রব ছিল । পুরাতন স্মৃতি-চিহ্ন। ছোট দরগার পুরাতন অট্টালিকার ধ্বংসাবশেষের মধ্যে স্ববৃহৎ স্তম্ভের ও মকরের আক্কতিযুক্ত জলনির্গমনের মুরির পরিচয় প্রাপ্ত হওয়া যায়। একটি স্তম্ভের পাদপীঠ চারিহস্ত ব্যাসবিশিষ্ট,--যে অট্টালিকায় তাহ ব্যবহৃত হইয়াছিল, তাহা কিরূপ বৃহৎ ছিল, তাহ সহজেই অনুমিত হইতে পারে। ছোট দরগায় এরূপ বৃহৎ অট্টালিকা নিৰ্ম্মিত হইবার \ প্রবাসী । [ ৭ম ভাগ পরিচয় প্রাপ্ত হওয়া যায় না। তাহাতে মকরের মুখ ব্যবহৃত হইবারও সম্ভাবনা ছিল না। বনাভ্যন্তরে এই সকল পুরাতন প্রস্তরশিল্পের ধ্বংসাবশেষ দর্শন করিলে মনে হয়— ইহা অতি পুরাতন হিন্দু বা বৌদ্ধমন্দিরের ধ্বংসাবশেষ। তাহার যে সকল উপকরণ মাজেদ নিৰ্ম্মাণের উপযোগী বলিয়া বিবেচিত হইয়াছিল, তাহাট মুসলমান কর্তৃক রূপান্তরিত হইয়াছিল ;---যাহ উপযোগী বলিয়া বিবেচিত হয় নাই, তাহ অদ্যাপি পড়িয়া রহিয়াছে। নিকটে যে সকল পুরাতন সরোবর দেখিতে পাওয়া যায়, তাহাতে মনে হয়—এক সময়ে পৌণ্ডবদ্ধনের এই অংশ জনকোলাহলে পরিপূর্ণ ছিল। এখন সকল স্থানই নীরব। কেবল মেলা উপলক্ষে বৎসরের মধ্যে কখন কখন মুসলমান তীর্থযাত্রীর সমাগম বশত: পাণ্ডুয়ার বনভূমি কিয়ৎকালের জন্ত মুখরিত হইয়া থাকে। শ্ৰীঅক্ষয়কুমার মৈত্রেয়। ২/ যজ্ঞ ভঙ্গ । কনগ্রেসূত ভাঙ্গিয়া গেল। এবারকার কন্‌গ্রেসে একটা উপদ্রব ঘটবে এ আশঙ্কা সকল পক্ষেরই মনে পূৰ্ব্বে হইতেই জাগিয়াছে কিন্তু ঠিকমত প্রতিকারের চেষ্টা কোনো পক্ষই করেন নাই। দুই দলই কেবল নিজের বলবুদ্ধি করিবার চেষ্টা করিয়াছেন অর্থাৎ উপদ্রবের সংঘাতটা যাহাতে অত্যন্ত বাড়িয়া উঠে, সেইরূপ আয়োজন হইয়াছিল। সমস্ত দেশকে লইয়া যে যজ্ঞের অনুষ্ঠান হয় সেই যজ্ঞের কর্তার কে কোন বক্তৃতার বিষয় কেমন করিয়া বলিবেন বা লিখিবেন তাহাই ঠিক করিয়া খালাস পাইতে পারেন না। চারিদিকের অবস্থা বিচক্ষণতার সঙ্গে বিচার করিয়া তদনুসারে কাজের ব্যবস্থা করার ভার তাহাদের উপর। কোনো কারণে কৰ্ম্ম নষ্ট হইলে সেই কারণটাকে গালি দিয়া তাহারা নিস্কৃতি পাইতে পারিবেন না। বারুদের ভাণ্ডারে দেশলাই জালাইতে দিলে অগ্নিকাণ্ড ঘটে ইহাতে সন্দেহ নাই—এরূপ দুর্ঘটনা ঘটিলে হয় দেশলাই না হয় বারুদকেই কর্তৃপক্ষেরা আসামীর দলে দাড় করাইয়া থাকেন—জগতের সর্বত্রই তাহার প্রমাণ দেখা যায়।